২০২৩ সালে বেতন বাড়তে চলেছে ভারতের সমস্ত বেতনভোগী কর্মচারীর। এমন তথ্যই উঠে আসছে উইলিস টাওয়ারস ওয়াটসন (ডব্লিউটিডব্লিউ) বেতন বাজেট পরিকল্পনা রিপোর্টে।
বিভিন্ন সংস্থা বেতনভুক কর্মচারীদের সামগ্রিক বেতন ১০ শতাংশ অবধি বৃদ্ধি করতে পারে বলেও রিপোর্টে উঠে এসেছে।
শ্রমের সীমাবদ্ধতা এবং মুদ্রাস্ফীতির উদ্বেগের কারণে ভারতের সংস্থাগুলির কর্মচারীদের গড় বেতন বৃদ্ধি পেতে পারে।
ডব্লিউটিডব্লিউ-র প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০২৩ সালের গড় বেতন বৃদ্ধি গত বছরের তুলনায় অনেকটাই বেশি হতে পারে।
জানেন কি কোন সংস্থাগুলির কর্মচারীদের গড় বেতন সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পাবে?
ডব্লিউটিডব্লিউ-র রিপোর্ট অনুযায়ী, আর্থিক পরিষেবা, ব্যাঙ্ক, প্রযুক্তি, মিডিয়া এবং গেমিং সংস্থাগুলির কর্মচারীদের বেতন ২০২৩ সালে সব চেয়ে বেশি বৃদ্ধি পাবে।
আর্থিক পরিষেবা এবং ব্যাঙ্কগুলির গড় বেতন সর্বোচ্চ ১০.৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেতে পারে। প্রযুক্তি সংস্থাগুলির গড় বেতন বাড়তে পারে ১০.২ শতাংশ পর্যন্ত। মিডিয়া এবং গেমিং সংস্থাগুলিতে কর্মচারীদের ১০ শতাংশ অবধি বেতন বৃদ্ধি হতে পারে বলে দাবি করেছে রিপোর্ট।
ভারতের কর্পোরেট পরিকাঠামো যুক্ত সংস্থাগুলি বাজেট সংশোধন করছে। আর এর ফলেই বেতন বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। একই সঙ্গে কোভিড অতিমারি আবহে দু’বছর ধরে বাজার থমকে থাকার পর এই প্রথম সংস্থাগুলি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে তাদের বাজেট সংশোধন করছে বলেও রিপোর্টে উঠে এসেছে।
প্রতিবেদনে অনুযায়ী, এই বছর ভারতের অর্ধেকেরও বেশি অর্থাৎ প্রায় ৫৮ শতাংশ নিয়োগকর্তারা গত বছরের তুলনায় বেশি বেতন বৃদ্ধির জন্য বাজেট তৈরি করছে।
সংস্থাগুলির মধ্যে এক চতুর্থাংশ অর্থাৎ ২৪.৪ শতাংশ জানিয়েছে যে তারা বেতন বাজেটে কোনও পরিবর্তন আনছে না।
আর মাত্র ৫.৪ শতাংশ সংস্থা জানিয়েছে যে তারা গত বছরের বেতন বাজেট আরও কমিয়ে এনেছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, ভারতের প্রায় ৪২ শতাংশ সংস্থা এক বছরের মধ্যে অনেক বেশি আয়ের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামছে। আবার ৭.২ শতাংশ সংস্থার মতে চলতি বছরে তাদের সংস্থার আয় কমতে পারে।
ভারতে গড় বেতন প্রায় ১০ শতাংশ বৃদ্ধি পেলেও চিনে এই বছর সংস্থাগুলির গড় বেতন বৃদ্ধি পেতে পারে ৬ শতাংশ। একই সঙ্গে হংকংয়ে ৪ শতাংশ এবং সিঙ্গাপুরে ৪ শতাংশ গড় বেতন বৃদ্ধি পাবে।
অন্য দিকে, ভারতে কর্মচারীদের স্বেচ্ছায় চাকরি ছাড়ার হারও ১৫.১ শতাংশের কাছাকাছি থাকবে। এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় কর্মচারীদের চাকরি ছাড়ার নিরিখে স্থান হতে পারে দ্বিতীয়। প্রথম স্থানে থাকতে পারে হংকং।