Green Card

স্থায়ী ভাবে আমেরিকায় থাকার ইচ্ছায় ইতি? গ্রিন কার্ড পাওয়ার আগেই মারা যেতে পারেন ৪ লাখ ভারতীয়

ক্যাটো ইনস্টিটিউটের ডেভিড জে বিয়ারের ওই গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে, গ্রিন কার্ডের অপেক্ষা তালিকায় নাম থাকা প্রায় চার লক্ষ ২৪ হাজার মানুষ অনুমতিপত্র হাতে পাওয়ার আগেই মারা যাবেন। যার মধ্যে ৯০ শতাংশেরও বেশি ভারতীয়।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৮:৩৪
Share:
০১ ১৬

দীর্ঘ দিনের অপেক্ষা। ঝুলে রয়েছে ভাগ্য। আর এই অপেক্ষা করতেই করতেই মারা যেতে পারেন আমেরিকার গ্রিন কার্ড পাওয়ার আশায় থাকা চার লক্ষ ভারতীয়! এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষায়।

০২ ১৬

ওই সমীক্ষা অনুযায়ী, আমেরিকায় পাকাপাকি ভাবে বসবাস করার ছাড়পত্র বা গ্রিন কার্ড পাওয়ার অপেক্ষা তালিকায় প্রায় ১০ লক্ষেরও বেশি ভারতীয়ের নাম রয়েছে। যার মধ্যে গ্রিন কার্ড পাওয়ার দীর্ঘ প্রক্রিয়ার কারণে চার লক্ষেরও বেশি মানুষ অপেক্ষা করতেই মারা যেতে পারেন।

Advertisement
০৩ ১৬

সেই সমীক্ষা অনুযায়ী, আমেরিকার গ্রিন কার্ড পাওয়ার যে অপেক্ষা তালিকা, তা দিনে দিনে দীর্ঘ হয়ে চলেছে। মাত্রা ছাড়িয়েছে তালিকায় থাকা বিভিন্ন দেশের অপেক্ষমান নাগরিকদের সংখ্যা।

০৪ ১৬

সমীক্ষা বলছে, যে গতিতে সমগ্র প্রক্রিয়া এগোচ্ছে, তাতে এই তালিকা সম্পূর্ণ হতে ১৩৪ বছর সময় লাগবে।

০৫ ১৬

ক্যাটো ইনস্টিটিউটের ডেভিড জে বিয়ারের ওই গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে, গ্রিন কার্ডের অপেক্ষা তালিকায় নাম থাকা প্রায় চার লক্ষ ২৪ হাজার মানুষ অনুমতিপত্র হাতে পাওয়ার আগেই মারা যাবেন।

০৬ ১৬

বয়সের কারণেই স্বাভাবিক মৃত্যুর কথাই এখানে ধরা হয়েছে। এই চার লক্ষ ২৪ হাজার মানুষের মধ্যে ৯০ শতাংশেরও বেশি ভারতীয়। সংখ্যায় যা প্রায় চার লক্ষের কাছাকাছি।

০৭ ১৬

ওই সমীক্ষা বলছে, ‘‘নতুন করে আবেদন করা ভারতীয়দের গ্রিন কার্ড পাওয়ার জন্য আজীবন অপেক্ষা করতে হতে পারে। গ্রিন কার্ড পাওয়ার আগেই মারা যেতে পারেন প্রায় চার লক্ষ ভারতীয়।’’

০৮ ১৬

আমেরিকার অভিবাসন আইন অনুযায়ী, প্রতি বছর প্রতিটি দেশের জন্য মাত্র সাত শতাংশ গ্রিন কার্ড বরাদ্দ থাকে।

০৯ ১৬

গ্রিন কার্ডের লাগামছাড়া চাহিদা এবং সীমিত বরাদ্দ সংখ্যার কারণেই অপেক্ষা তালিকায় নামের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে সমীক্ষায় বলা হয়েছে।

১০ ১৬

একই সঙ্গে, আমেরিকায় থাকা বহু ভারতীয় সন্তান শীঘ্রই তাঁদের বাবা-মায়ের থেকে আলাদা হতে পারেন বলেও আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

১১ ১৬

বাবা-মা আমেরিকায় থেকে গেলেও আমেরিকা ছাড়তে হতে পারে সন্তানদের। সেই সংখ্যা এক লক্ষেরও বেশি।

১২ ১৬

সমীক্ষা অনুযায়ী, ১.৩৪ লক্ষ এমন ভারতীয় আমেরিকায় রয়েছেন, যাদের বয়স ২১ পেরোলেই তাঁদের এইচ-৪ ভিসা শেষ হয়ে যাবে। নতুন করে আবেদন করতে হতে হবে তাঁদের।

১৩ ১৬

কিন্তু দীর্ঘ অপেক্ষা তালিকার কারণে তাঁরা তা না-ও পেতে পারেন। হয় তাঁদের পড়ুয়া ভিসা নিয়ে সে দেশে থাকতে হবে, নয়তো আমেরিকা ছাড়তে হবে।

১৪ ১৬

প্রসঙ্গত, গ্রিন কার্ড অনাবাসীদের ভোটাধিকার না দিলেও আমেরিকায় স্থায়ী ভাবে থাকার অন্যান্য সুযোগ সুবিধা দেয়। প্রতি বছর গ্রিন কার্ডের অনুমোদন চেয়ে তাই বহু আবেদন জমা পড়ে আমেরিকার প্রশাসনের কাছে।

১৫ ১৬

বছরে এক লক্ষ আবেদনে ছাড়পত্রও দেয় প্রশাসন। কিন্তু আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞায় থমকে যায় সেই প্রক্রিয়া। গ্রিন কার্ডের লক্ষ লক্ষ আবেদন ছাড়পত্র না পেয়ে জমতে থাকে।

১৬ ১৬

ক্ষমতায় আসার পরই আমেরিকার অভিবাসন আইনে আমূল সংস্কার করতে উদ্যোগী হন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। অভিবাসীদের নিয়ে ট্রাম্পের কুখ্যাত ‘জিরো টলারেন্স নীতি’, যার জেরে বহু শরণার্থী তাদের পরিবারকে হারিয়েছেন, তা-ও বাতিল করে নতুন করে তৈরির নির্দেশ দিয়েছিলেন বাইডেন। তবে সেই নীতি নিয়ে সম্পূর্ণ জটিলতা এখনও কাটেনি।

—ফাইল চিত্র।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement