অভিনেত্রী পুনম পাণ্ডেই প্রথম নন। এর আগে এই অভিনব উপায় অবলম্বন করেছিলেন এক বিখ্যাত বলিউড পরিচালক। নিজের ছবির প্রচার করতেই এই উপায় নিয়েছিলেন সেই পরিচালক। কিন্তু কে তিনি?
পুনম পাণ্ডের মৃত্যুসংবাদ পাওয়া যায় তাঁরই ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে। এক দিন বাদে লাইভে এসে জানান দিলেন, তিনি জীবিত।
এই প্রচার কৌশলের জন্য চারদিকে ছিছিক্কার পড়ে যায়। যদিও পুনমের দাবি, জরায়ু-মুখের ক্যানসার নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতেই এমন পদক্ষেপ।
কিন্তু তাঁর এই কৌশল একেবারেই ভাল চোখ দেখেননি সাধারণ মানুষ থেকে বলিউড তারকারা।
পুনমের এই কাণ্ডকে কেউ নাম দিয়েছেন ‘গিমিক’, কেউ বলেছেন ‘স্টান্ট’। তাঁর উপর বেজায় চটেছেন পুজা ভট্ট, একতা কপূররে মতো তারকা।
তবে পুনম একা নন, ১৯৯৪ সালে মৃত্যুকে হাতিয়ার করেন পূজা ভট্টেরই বাবা পরিচালক মহেশ ভট্ট।
রীতিমতো খবরে বিজ্ঞাপন দিয়ে অভিনেত্রী মনীষা কৈরালাকে ‘মৃত’ ঘোষণা করেন পরিচালক।
ঘটনাটা প্রায় ৩০ বছর আগের। সেই সময় মনীষার কেরিয়ার ঊর্দ্ধমুখী। সেই সময় মনীষা, নার্গাজুন ও রম্যাকে নিয়ে একটি ক্রাইম ঘরানার ছবি তৈরি করেন মহেশ।
ছবির নাম ‘ক্রিমিনাল’। এই ছবিতে কুমার শানুর কণ্ঠে ‘তুম মিলে’ গানটি এখনও সমান জনপ্রিয়। ছবিতে নার্গাজুনের স্ত্রীয়ের চরিত্রে দেখা যায় মনীষাকে।
তবে ছবিতে তাঁকে খুব বেশি ক্ষণ পর্দায় দেখা যায়নি। কারণ, গল্পে খুন হয়ে যায় অভিনেত্রীর চরিত্রটি।
ছবির ট্রেলার দেখেই সন্দেহ এসে পড়ে নার্গাজুনের চরিত্রের উপর। তবে যাঁরা ছবি দেখেছেন, তাঁরা জানেন ছবিতে আসল খুনি ছিলেন গুলশন গ্রোভার।
সেই সময় ছবির প্রচার-পরিকল্পনার অঙ্গ হিসেবে মহেশ কাগজে বিজ্ঞাপন দিয়ে মনীষাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সেই খবরে বেশ চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। শেষে সত্য প্রকাশ্যে আসতেই নিন্দার মুখে পড়তে হয় পরিচালককে। এফআইআরও দায়ের করা হয় আলিয়া ভট্টের বাবার নামে।