২৪ অগস্ট হরিয়ানার ফরিদাবাদে একটি বেসরকারি হাসপাতালের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হরিয়ানার রাজ্যপাল বন্দারু দত্তাত্রেয় এবং সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর।
একটি মঠের সহায়তায় এই হাসপাতালটি তৈরি করা হবে বলে জানা গিয়েছে। নাম রাখা হয়েছে অমৃত সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল।
বিভিন্ন সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই হাসপাতালটি ভারতের বৃহত্তম বেসরকারি হাসপাতাল। আবার কোনও কোনও সংবাদ সংস্থার মতে, এটি এশিয়ার বৃহত্তম বেসরকারি হাসপাতাল।
১৪ তলার এই হাসপাতালের প্রতিটি বিভাগে রয়েছে আধুনিক প্রযুক্তি। হাসপাতালে মোট শয্যার সংখ্যা ২,৬০০। এ ছাড়া আলাদা ভাবে থাকবে ৫৩৪টি ক্রিটিক্যাল বেড কেয়ারের ব্যবস্থাও।
প্রাইভেট ওয়ার্ডগুলিতে মোট ১০০০টি শয্যা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। হাসপাতাল জুড়ে থাকবে মোট ৮১টি দফতর। ৬৪টি মডিউলার অপারেশন থিয়েটারও থাকবে অমৃত সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে।
মা ও শিশুদের জন্য আলাদা একটি ফ্লোর থাকবে হাসপাতালে। ৮০০ জন চিকিৎসকের সঙ্গে ২,৫০০ প্যারামেডিক্যাল স্টাফও থাকবেন হাসপাতালে।
রোগীদের হাসপাতাল থেকে অন্যত্র স্থানান্তর করার জন্য ছাদের উপর হেলিপ্যাডের ব্যবস্থাও থাকছে।
হাসপাতালে কোনও রোগী ভর্তি হলে তাঁর পরিবারের সদস্যদের যেন থাকার জায়গা খুঁজতে বেশি দূরে যেন যেতে না হয়, তাই হাসপাতাল এলাকার মধ্যেই ৪৯৮টি ঘরবিশিষ্ট একটি অতিথি আবাস তৈরি করা হবে। অনেকের মতে, এটি চার তারা হোটেলকেও হার মানাবে।
হাসপাতালটি এমন ভাবে তৈরি করার পরিকল্পনা করা হয়েছে যাতে প্রতিটি তলাকেই এক একটি আলাদা ‘মিনি হাসপাতাল’ বলা যায়।
এই হাসপাতালের সঙ্গে একটি মেডিক্যাল কলেজ তৈরি করারও চিন্তাভাবনা রয়েছে। প্রতি বছর ১৫০ জন এমবিবিএস এবং ১০০ জন স্নাতকোত্তর (এমডি এবং এমএস) ছাত্রকে ভর্তি নেওয়া হবে এই মেডিক্যাল কলেজে।
তৈরি করা হবে একটি নার্সিং কলেজও। পড়াশোনার পাশাপাশি এই হাসপাতালের একটি অংশে পুনর্বাসন কেন্দ্রের ব্যবস্থাও থাকবে।
গবেষণার জন্য আলাদা করে সাত তলা জুড়ে একটি বিশেষ রিসার্চ সেন্টারও তৈরি করা হবে। সেখানে থাকবে রোবটিক ল্যাবরেটরিও।
হাসপাতাল জুড়ে যা কাজকর্ম হবে তা সবই হবে ‘পেপারলেস’ পদ্ধতিতে। অর্থাৎ কাগজের ব্যবহার না করে ডিজিটাল মাধ্যমে কাজ করা হবে।
হাসপাতালের নির্মাণকার্য সম্পূর্ণ শেষ করতে পাঁচ থেকে ছয় বছর সময় লাগতে পারে বলে জানা গিয়েছে। প্রাথমিক ভাবে ৫৫০টি শয্যা নিয়ে হাসপাতালটি চালু হবে।
কাজ এগোতে থাকলে পরবর্তী ধাপে আরও শয্যা সংযোজন করা হবে। পরিকল্পনামাফিক আগামী দেড় বছরের মধ্যে হাসপাতালের একটি অংশ চালু করা হবে যেখানে ৭৫০টি শয্যার ব্যবস্থা থাকবে।
এই হাসপাতাল তৈরি করতে মোট খরচ হবে আনুমানিক ছ’হাজার কোটি টাকা।