Lok Sabha Election 2024

লোকসভা ভোটকাব্যে তাঁরা উপেক্ষিত, ফিরে তাকাল আনন্দবাজার অনলাইন

২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচন থেকে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন। ব্যবধান মাত্র তিন বছরের। গত তিন বছরে রাজ্য রাজনীতির মঞ্চে প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছেন অনেক নেতা-নেত্রী।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ এপ্রিল ২০২৪ ০৯:০৪
Share:
০১ ২০

২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচন থেকে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচন। ব্যবধান মাত্র তিন বছরের। কিন্তু সেই সংক্ষিপ্ত সময়েই রাজ্য রাজনীতির মঞ্চে প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছেন অনেক নেতা। কেউ দল বদলে গুরুত্ব হারিয়েছেন, কেউ ভোটে হেরে, কেউ জেলে গিয়ে। এই লোকসভা ভোটের কাব্যে যাঁরা উপেক্ষিত, তাঁদের দিকে ফিরে দেখল আনন্দবাজার অনলাইন।

০২ ২০

মুকুল রায়: তৃণমূল গঠনের সময় থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘আস্থাভাজন’। বাংলার রাজনীতিতে মুকুল এগিয়েছিলেন উল্কার গতিতে। মমতা তাঁকে রেলমন্ত্রীও করেছিলেন। রাজ্যে তৃণমূল সরকার গড়ার পর দলের অলিখিত দ্বিতীয় শীর্ষনেতা ছিলেন তিনিই। তবে ২০১৪ সালে লোকসভা ভোটের পর থেকে দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় তাঁর। ২০১৬ সালে সেই দূরত্ব কমলেও সে ভাবে আর তৃণমূলে জায়গা তৈরি করতে পারেননি মুকুল। ২০১৭ সালে বিজেপিতে যোগ দেন। ২০১৯-এর লোকসভা নি‌র্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির ‘অভাবনীয়’ সাফল্যের কৃতিত্ব অনেকে তাঁকেই দেন। বরাবরের রাজ্যসভা সাংসদ মুকুল ২০২১ সালের বিধানসভা কৃষ্ণনগর উত্তর থেকে বিধায়ক হন। কিন্তু এক মাসের মধ্যে পুত্র শুভ্রাংশুর হাত ধরে তৃণমূলে ফেরেন। তার পর থেকেই মুকুলের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। কথাবার্তায় অসংলগ্নতা দেখা দেয়। ঘনিষ্ঠদের বক্তব্য, ২০২১ সালে পত্নীবিয়োগের পর থেকে মানসিক ভাবে ধ্বস্ত তিনি। এখন পুরোপুরি অন্তরালে। আপাতত হাসপাতালে।

Advertisement
০৩ ২০

শোভন চট্টোপাধ্যায়: কলকাতার মেয়র এবং রাজ্যের তিনটি দফতরের মন্ত্রীর দায়িত্ব। রাজ্য রাজনীতিতে ‘জল শোভন’ বলে পরিচিত ছিলেন তিনি। সঙ্গে পরিচিত ছিলেন ক্ষুরধার রাজনৈতিক মস্তিষ্ক এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘অন্যতম আস্থাভাজন’ হিসেবে। নেহাতই ‘ব্যক্তিগত কারণে’ তৃণমূল থেকে দূরে চলে যান শোভন। ইস্তফা দেন সমস্ত সরকারি পদেও। তার পরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানেও মানাতে পারেননি। কার্যত সম্পর্কচ্ছেদ হয় পদ্মশিবিরের সঙ্গে। তবে ‘ঘর ওয়াপসি’ও হয়নি। অন্তত এখনও পর্যন্ত। মমতার সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক আগের মতোই রয়েছে বলে দাবি তাঁর। যেমন রাজ্য রাজনীতির বিভিন্ন কুশীলবেরা একান্ত আলাপচারিতায় দাবি করেন, রাজনীতি ‘জল শোভন’কে মিস্ করে।

০৪ ২০

পার্থ চট্টোপাধ্যায়: ২০০১ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত টানা পাঁচ বার বেহালা পশ্চিম কেন্দ্রের বিধায়ক। বামবিরোধী আন্দোলনে প্রথম থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে। দলে গুরুত্বও ছিল অসীম। কিন্তু নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার হন। অনতিবিলম্বে দলের সমস্ত পদ এবং মন্ত্রিত্ব থেকে অপসারিত হন। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও তৃণমূলের রণকৌশল তৈরিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন। কিন্তু এখন তাঁর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে লোকসভা ভোট পরিচালনার যাবতীয় দায়িত্ব স্থানীয় কাউন্সিলরদের। পার্থের নাম ভুলে যেতে চাইছে তৃণমূল।

০৫ ২০

জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক: আশির দশক থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুগামী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (রাজ্য রাজনীতিতে বেশি পরিচিত ‘বালু’ নামে)। ২০০১ থেকে ২০২১ পর্যন্ত সব বিধানসভা নির্বাচনেই লড়েছেন। জিতেছেন। মন্ত্রিও হয়েছেন। কিন্তু আপাতত রেশন দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়ে জেলে। লোকসভায় কখনও প্রার্থী না হলেও উত্তর ২৪ পরগনায় পাঁচটি আসনে ভোট পরিচালনার দায়িত্ব থাকত তাঁর। বালুর শূন্যস্থান পূরণ করবে কে, সে প্রশ্ন উঠছে জেলা তৃণমূল সংগঠনের অন্দরে।

০৬ ২০

অনুব্রত মণ্ডল: রাজ্য রাজনীতিতে বেশি পরিচিত ‘কেষ্ট’ নামে। তিনিও আর বঙ্গ রাজনীতির ভোটমঞ্চে নেই। ২০১১ সালে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতা বদলের পর বীরভূমের রাজনীতিতে ‘অপ্রতিরোধ্য’ হয়ে উঠেছিলেন অনুব্রত। জেলায় সমস্ত ভোট পরিচালনার দায়িত্বে থাকতেন তিনি। বিবিধ বিতর্কিত মন্তব্য করে বার বার সতর্কিত হয়েছেন। ভোটের সময় ‘গৃহবন্দি’ থাকতে হয়েছে। কিন্তু অনুব্রতকে ‘দাবায়ে’ রাখা যায়নি। ২০২২ সালে গরু পাচার মামলায় সিবিআই তাঁকে গ্রেফতার করে। এখন তাঁর ঠিকানা দিল্লির তিহাড় জেল।

০৭ ২০

আব্দুল মান্নান: খানিকটা ‘অভিমান’, খানিকটা ‘অনুযোগ’ নিয়ে রাজনীতি থেকে দূরে সরে আছেন। ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের সময়ে মান্নান বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। তবে ২০২১ সালে চাঁপদানি বিধানসভায় পরাজয়ের পর রাজনীতি থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন। কংগ্রেসশ্রুতি: প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরীর সঙ্গে মতবিরোধের জেরেই এই ‘দূরত্ব’। এমনকি, রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ বাংলায় প্রবেশের পরেও মান্নানকে সেখানে দেখা যায়নি। লোকসভা ভোটের প্রচারেও গরহাজির প্রবীণ নেতা এবং প্রাক্তন অঙ্কের শিক্ষক।

০৮ ২০

মদন মিত্র: তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক সময়ের ‘বিশ্বস্ত ছায়াসঙ্গী’। রাজ্যে পালাবদলের পর মন্ত্রীও হয়েছিলেন। দক্ষ সংগঠক ছিলেন। রঙচঙে পোশাক এবং মেজাজের জন্যও পরিচিত। মুখ্যমন্ত্রী মমতাও তাঁকে ‘কালারফুল বয়’ আখ্যা দিয়েছেন। এই লোকসভা নির্বাচনে তাঁকে প্রায় দেখাই যাচ্ছে না। যদিও তাঁর ঘনিষ্ঠ এবং অনুগামীদের দাবি, ‘‘শারীরিক অসুস্থতার কারণে দাদা একটু কম বেরোচ্ছেন।’’ ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে কামারহাটি কেন্দ্রে জেল থেকেই লড়েছিলেন মদন। হেরে যান। তবে জেল থেকে বেরিয়ে আবার কামারহাটি যাতায়াত শুরু করেন। ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে জেতেন। কিন্তু মন্ত্রিসভায় জায়গা হয়নি। ক্ষুব্ধ হলেও তৃণমূলেই থেকেছেন।

০৯ ২০

রুদ্রনীল ঘোষ: একদা সিপিএম। মাঝে তৃণমূল। অধুনা বিজেপি। অভিনেতা থেকে নেতা হয়ে ওঠার পথে এই হল রুদ্রনীলের লেখচিত্র। বামপন্থা ছেড়ে ২০১৪ সালে তৃণমূলের ‘কাছের মানুষ’। মুখ্যমন্ত্রী মমতার প্রচারে গিয়ে ‘টিএমসি’র অর্থ বোঝাতেন— টেম্পল (মন্দির), মস্ক (মসজিদ) এবং চার্চ (গির্জা)। তৃণমূলের কারিগরি শিক্ষার চেয়ারম্যান করা হয় রুদ্রনীলকে। বিভাগীয় মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাসের সঙ্গে নীতিগত বিরোধের কারণে সেখান থেকে সরিয়ে ক্রেতাসুরক্ষা দফতরে বড় পদ দেওয়া হয়। কিন্তু ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে চলে যান। ভবানীপুরে প্রার্থীও হন। কিন্তু তৃণমূলের শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের কাছে হারেন। লোকসভা ভোটে টিকিটের আশায় ছিলেন। শিকে ছেঁড়েনি। বিজেপির ‘ইন্টেলেকচুয়াল সেল’-এর দায়িত্বে। প্রচার করছেন বলে দাবি। কিন্তু সে ভাবে চোখে পড়ছেন না এখনও পর্যন্ত।

১০ ২০

রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়: ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের আগে মন্ত্রিত্ব এবং তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে। তবে নিজের কেন্দ্র ডোমজুড়ে হারেন। তার পর বেশ কয়েক দিন বাংলার রাজনীতি থেকে উধাও! বিজেপির সঙ্গেও দূরত্বও বাড়ে। ২০২১ সালেই ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তৃণমূলে ফেরেন। ত্রিপুরায় তৃণমূলের সংগঠন পোক্ত করার দায়িত্ব পান। তবে খুব দাগ কাটতে পারেননি। আপাতত কাঁথি এবং তমলুক কেন্দ্রে ভোটের কাজ দেখাশোনা আর মাঝেমধ্যে চ্যানেলের বিতর্কে অংশগ্রহণেই সীমাবদ্ধ তিনি।

১১ ২০

অনুপম হাজরা: ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে বোলপুর থেকে তৃণমূলের টিকিটে সাংসদ। কিন্তু তার পর থেকেই বিবিধ কারণে দলের ‘অস্বস্তি’র কারণ হতে থাকেন। এক সময় তাঁর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে তৃণমূল। সাসপেন্ডও করা হয়। অনুপম যোগ দেন বিজেপিতে। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে যাদবপুরে লড়েছিলেন। ‘চমকপ্রিয়’ অনুপমের মনোনয়নে শামিল হতে এসেছিলেন ভারতীয় কুস্তিগির ‘দ্য গ্রেট খলি’। ভোটবাক্সে ‘চমক’ লাগেনি। অনুপম হারেন। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে টিকিট জোটেনি। তবে বীরভূমের বিজেপি প্রার্থীদের হয়ে ভোটপ্রচার করেছিলেন। রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্যের জেরে তাঁকে পদচ্যুত করে পদ্মশিবির। এই লোকসভা ভোটেও টিকিট পাননি। মাঝেমধ্যে ফেসবুকে ঘাই মারা ছাড়া প্রচারেও দেখা যাচ্ছে না সে ভাবে।

১২ ২০

দীনেশ ত্রিবেদী: জনতা দল, কংগ্রেস এবং তৃণমূল ঘুরে তিনি বিজেপিতে। ২০০২ সালে দীনেশকে রাজ্যসভায় পাঠিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০০৯ সালে ব্যারাকপুরে তড়িৎ তোপদারকে হারিয়ে লোকসভার সাংসদ হন। প্রথমে কেন্দ্রে প্রতিমন্ত্রী হন। পরে রেলমন্ত্রীও। কিন্তু ভাড়াবৃদ্ধি নিয়ে সংঘাত বাধে মমতার সঙ্গে। তাঁকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরান মমতা। দূরত্ব কমলে গত লোকসভা নির্বাচনে ব্যারাকপুর থেকেই তৃণমূলের হয়ে বিজেপির অর্জুন সিংহের বিরুদ্ধে টিকিট পান। জেতেননি। ২০২০ সালে আবার তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠান মমতা। কিন্তু ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যসভার বক্তৃতায় তৃণমূল ছাড়ার ঘোষণা করেন দীনেশ। যোগ দেন বিজেপিতে। যদিও সেখানে তেমন গুরুত্বপূর্ণ পদ পাননি। লোকসভা ভোটের ব্যারাকপুরের প্রার্থী হিসেবে তাঁর নাম তরঙ্গ তুলেই মিলিয়ে যায়। কারণ, তার আগেই অর্জুন ‘লক্ষ্যভেদ’ করে বসে আছেন! সেতার বাজাতে চৌখস দীনেশ আপাতত মৌনী। বিজেপির প্রচারমঞ্চেও দেখা যাচ্ছে না।

১৩ ২০

রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়: ভাল নাম ‘অনিন্দ্য’। কিন্তু ‘রাজু’ নামে বেশি পরিচিত। একদা পেশাদার ফুটবলার ছিলেন। অতঃপর পদ্মশিবিরের রাজনীতিতে। সেই সূত্রেই চ্যানেলে চ্যানেলে বিজেপির নিয়মিত বক্তা। তাঁকে ২০২১ সালে কামারহাটিতে প্রার্থী করেছিল দল। হারেন মদন মিত্রের কাছে। তার পর থেকেই বাংলার রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিকতা কমেছে তাঁর। বিশেষ নজরেও পড়েন না। এই লোকসভা ভোটেও বিজেপির মিটিং-মিছিলে দেখা যাচ্ছে না।

১৪ ২০

যশ দাশগুপ্ত: পেশা অভিনয়। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে টেনে এনেছিলেন মুকুল রায়। হুগলির চণ্ডীতলা কেন্দ্রে প্রার্থী করেছিল পদ্মশিবির। পর্দার জাদু রাজনীতিতে দেখাতে পারেননি। রাজনীতির আঙিনায় তাঁর আগমনও যেমন আচমকা, প্রস্থানও আচমকাই। নীরবেও বটে। আপাতত তাঁর ব্যস্ততার ক্ষেত্র তিনটি— স্ত্রী নুসরত জাহান, পুত্রসন্তান এবং নিজের প্রযোজিত ছবিতে অভিনয়।

১৫ ২০

শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়: ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভোট ময়দানে আগমন হয়েছিল টলিউডের বেশ কয়েক জন অভিনেতা-অভিনেত্রীর। তাঁদের অন্যতম ছিলেন শ্রাবন্তী। বেহালা পশ্চিম কেন্দ্র থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে লড়তে নেমে ৫০ হাজার ভোটে হারেন। তার পর থেকে রাজনীতির ধারেপাশে দেখা যায়নি।

১৬ ২০

পায়েল সরকার: শ্রাবন্তীর পাশের কেন্দ্র বেহালা পূর্বের প্রার্থী হয়েছিলেন টলিউডে তাঁর সহকর্মী পায়েল সরকার। তৃণমূল প্রার্থী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের কাছে হেরে রাজনীতিকে বিদায় জানিয়েছেন পায়েল।

১৭ ২০

কৌশানী মুখোপাধ্যায়: কৃষ্ণনগর উত্তরে তৎকালীন বিজেপির মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন অভিনেত্রী কৌশানী। জয় নিয়ে নিশ্চিত থাকলেও ফলঘোষণার পর দেখা যায় যে, হেরেছেন। এর পরে আর রাজনীতির ময়দানে সে ভাবে দেখা যায়নি তাঁকে। এই লোকসভা নির্বাচনেও তৃণমূলের হয়ে প্রচারে নামতে দেখা যায়নি ।

১৮ ২০

পার্নো মিত্র: ২০২১ সালের বিধানসভায় তৃণমূলের প্রার্থী তাপস রায়ের বিরুদ্ধে বরাহনগরে বিজেপির টিকিটে দাঁড়িয়েছিলেন। ৩৫ হাজার ভোটে হারেন। তিন বছরে সমীকরণ অনেক বদলে গিয়েছে। তৃণমূল ছেড়ে তাপস এখন বিজেপিতে। এই লোকসভা ভোটে কলকাতা উত্তরের পদ্মের প্রার্থী তিনি। তবে পার্নো রাজনীতির ময়দান থেকে উবে গিয়েছেন ২০২১ সালের হারের পর। আপাতত তিনি ব্যস্ত এবং সক্রিয় দু’টি বিষয়ে—অভিনয় এবং সমাজমাধ্যম।

১৯ ২০

তনুশ্রী চক্রবর্তী: গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। হাওড়ার শ্যামপুরে তৃণমূলের প্রার্থী কালিপদ মণ্ডলের কাছে হেরে যান। তার পর থেকে রাজনীতি থেকে যোজন দূরত্ব রেখেছেন। লোকসভার ভোটকাব্যে তিনি উপেক্ষিতা না কি তিনিই কাব্যকে উপেক্ষা করছেন, সেটা নিয়ে গবেষণা হতে পারে।

২০ ২০

অঞ্জনা বসু: বিজেপিতে যোগ দিয়ে ২০২১ সালে সোনারপুর দক্ষিণের প্রার্থী হন টলিউডের এই অভিনেত্রী। তৃণমূলের অভিনেত্রী প্রার্থী লাভলি মৈত্রের কাছে হারেন। এর পর বিজেপির হয়ে খুব একটা ‘সক্রিয়’ হতে দেখা যায়নি। তবে মাঝেমধ্যে বিজেপির সম‌র্থনে এখনও কথা বলতে শোনা যায়। তবে লোকসভা নির্বাচনে ময়দানে খুব ‘সক্রিয়’ দেখা যাচ্ছে না।

সব ছবি- ফাইল চিত্র।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement