প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আগেই ঘোষণা করেছিলেন ভারতের সর্বোচ্চ সম্মান দু’জন ‘ভারতরত্ন’ প্রাপকের নাম। সেখানে ছিল দেশের প্রাক্তন উপপ্রধানমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আডবাণীর নাম।
এ বার আরও তিন ভারতীয়কে ‘ভারতরত্ন’ দেওয়ার ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সম্প্রতিই দেশের প্রাক্তন উপপ্রধানমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আডবাণীকে ‘ভারতরত্ন’ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন তিনি।
এ বার দেশের দুই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে এই সম্মান দেওয়ার কথা জানিয়েছেন মোদী। দু’জনের মধ্যে কেউই বিজেপি সরকারের প্রধানমন্ত্রী নন।
শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী মোদী জানিয়েছেন, কংগ্রেস সরকারের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নরসিংহ রাওকে ‘ভারতরত্ন’ দিচ্ছে তাঁর সরকার।
এর পাশাপাশি ভারতের পঞ্চম প্রধানমন্ত্রী তথা ভারতীয় লোক দলের প্রতিষ্ঠাতা চৌধরি চরণ সিংহকেও ‘ভারতরত্ন’ সম্মান দেওয়া হবে।
এই দুই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের পাশাপাশি এক বিজ্ঞানীকেও দেশের সর্বোচ্চ সম্মান প্রাপক হিসাবে ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
তাঁর নাম এমএস স্বামীনাথন। গত বছর সেপ্টেম্বরে মৃত্যু হয়েছে দক্ষিণ ভারতীয় কৃষিবিজ্ঞানী তথা একদা রাজ্যসভার সাংসদ স্বামীনাথনের।
ভারতের সবুজ বিপ্লবের অন্যতম রূপকার বলা হয় তাঁকে। তাঁকে এবং বাকি দুই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে মরণোত্তর ‘ভারতরত্ন’ সম্মান দেওয়া হবে।
এ বছর এই নিয়ে পঞ্চম ‘ভারতরত্ন’ প্রাপকের নাম ঘোষণা করল কেন্দ্র। যার মধ্যে বিজেপির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা তথা দেশের প্রাক্তন উপপ্রধানমন্ত্রী আডবাণী ছাড়া বাকি চারটিই মরণোত্তর সম্মান।
দেশের নবম প্রধানমন্ত্রী নরসিংহ ছিলেন দেশের প্রথম দক্ষিণ ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী। বর্তমান তেলঙ্গানার হায়দরাবাদে জন্ম তাঁর।
মৃত্যু হয় ২০০৪ সালে। অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। পরে কেন্দ্রে কংগ্রেস সরকারের বিদেশ দফতরের মন্ত্রী ছিলেন।
সামলেছেন প্রতিরক্ষা এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকও। তবে ইতিহাস তাঁকে মনে রাখে দেশে উদারীকরণের জনক হিসাবে।
তখন অর্থমন্ত্রী ছিলেন মনমোহন সিংহ। এ ছাড়া নরসিংহকে গান্ধী পরিবারের বিরাগভাজন বলেও চেনেন রাজনীতির কারবারিরা।
অন্য দিকে, চৌধরি চরণ ছিলেন মহাত্মা গান্ধীর একাগ্র অনুগামী। দরিদ্র কৃষক পরিবারে জন্ম। উত্তরপ্রদেশের এই নেতা ছিলেন কংগ্রেসের একনিষ্ঠ।
কিন্তু পরে তিনিও কংগ্রেস ছেড়ে নিজস্ব দল গঠন করেন। জনতা পার্টির সঙ্গেও ছিলেন উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চৌধরি চরণ।
আবার তাঁকে ভারতীয় কৃষকশ্রমিকদের চ্যাম্পিয়ন প্রতিনিধি বলেও সম্বোধন করেন ইতিহাসবিদরা। ১৯৮৭ সালে তাঁর মৃত্যু হয়।