চিনের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ (বিআরআই)-এর মাধ্যমে পদ্মা সেতু নির্মাণ করা হয়নি। এমনকি, কোনও বিদেশি তহবিলের সাহায্যও নেওয়া হয়নি। তিল তিল করে নিজেরাই স্বপ্নের পদ্মা সেতু তৈরি করছে বাংলাদেশ। সাফ জানিয়ে দিল হাসিনা সরকার।
বিপুল অর্থ ব্যয়ে তৈরি হাসিনা সরকারের ‘স্বপ্নের সেতু’ গড়তে বিদেশি সাহায্য নেওয়া হয়েছে বলে বিভিন্ন মহলে দাবি করা হয়েছিল।
বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে এক বিবৃতিতে ওই দাবি নস্যাৎ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সরকারের টাকাতেই পদ্মা সেতু তৈরি হয়েছে বলে স্পষ্ট ভাবে জানানো হয়েছে।
আগামী ২৫ জুন থেকে চালু হচ্ছে এই সেতুর পথ চলা।
পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এটি দোতলা সেতু। নীচের তলায় রেলপথে চলবে ট্রেন। সেতুর উপরে চার লেনের চওড়া রাস্তায় ছুটবে গাড়ি।
প্রায় ১০ হাজার কোটি বাংলাদেশি মুদ্রার ব্যবহার সামলে তৈরি করা এই পদ্মা সেতু বাংলাদেশের জাতীয় উৎপাদন (জিডিপি)-কে এক ধাক্কায় ১.২ শতাংশ বাড়িয়ে দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
সেতুটি পুরোদমে চালু হলে রেলপথে কলকাতা থেকে ঢাকা যেতে সময় লাগবে মাত্র ছয় থেকে সাড়ে ছয় ঘণ্টা।
পদ্মা সেতুকে জলের মধ্যে ধরে রাখবে ৪০টি স্তম্ভ।
প্রত্যেকটি স্তম্ভই তৈরি হয়েছে মজবুত পাইল ইস্পাত দিয়ে।
জলের নীচে ১২২ মিটার পর্যন্ত গভীরে গিয়েছে এই স্তম্ভের ভিত। পৃথিবীর আর কোনও দেশে আর কোনও সেতুর স্তম্ভ এত গভীরে নেই।
পদ্মা সেতুর ভূমিকম্প প্রতিরোধ ব্যবস্থা বা ‘ফ্রিকশন পেন্ডুলাম বিয়ারিং’ পৃথিবীর অন্য সব সেতুর চেয়ে অনেক বেশি। প্রায় ১০ হাজার টন।
২০১০ সাল থেকে সেতুটির পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ সরকার।
১০ বছর আগে, বিশ্ব ব্যাঙ্ক পদ্মা সেতু প্রকল্প থেকে হাত তুলে নেওয়ার পরে একে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিলেন হাসিনা।
১৯৭১-এ আমেরিকার বিদেশ সচিব হেনরি কিসিঙ্গার ব্যঙ্গ করে বাংলাদেশকে ‘তলা-বিহীন ঝুড়ি’ বলেছিলেন।
যাবতীয় কটাক্ষের জবাব দিয়ে বাংলাদেশ সরকার জানিয়েছে, জুনেই পদ্মা সেতুর সড়ক পথ খুলে দেওয়া হবে। তবে রেলব্রিজটি শেষ হতে আরও ক’দিন সময় লাগবে বলে জানা গিয়েছে।