ইরানের বিদেশমন্ত্রীর পাকিস্তান সফরের আগেই ইরান সীমান্তে হত্যা করা হল ৯ পাকিস্তানিকে। যা নিয়ে নতুন করে উত্তেজনা ছড়াল ইরান-পাকিস্তান সম্পর্কে।
ক্ষেপণাস্ত্র হামলা এবং পাল্টা হামলায় উত্তপ্ত হয়েছিল ইরান এবং পাকিস্তানের পরিবেশ। দুই দেশের পারস্পরিক বোঝাপড়ায় সেই উত্তেজনা কিছুটা কমলেও, আবার পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে।
ইরান সীমান্তে ন’জন পাকিস্তানিকে অজ্ঞাতপরিচয় বন্দুকবাজেরা গুলি করে হত্যার পর থেকেই আবার শুরু হয়েছে দোষারোপের পালা।
ইরানে পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত মহম্মদ মুদস্সির টিপু সমাজমাধ্যমে জানিয়েছেন, সরাবনে এলাকায় ন’জন পাকিস্তানি নাগরিককে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
এই ঘটনার দায় এখনও কোনও ব্যক্তি বা গোষ্ঠী নেয়নি বলেও জানিয়েছেন টিপু। ইরানের সিস্তান-বালুচিস্তান প্রদেশের এই ঘটনা নিয়ে ফের দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার আবহ তৈরি হচ্ছে।
পাক বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মুমতাজ জহরা বালুচ বলেন, “এটি অত্যন্ত নিন্দনীয় ঘটনা। আমরা এই হামলার প্রতিবাদ করছি। ইরান প্রশাসনের সঙ্গে এই ঘটনা নিয়ে যোগাযোগ করা হয়েছে। দ্রুত তদন্ত করে যাতে হামলাকারীদের ধরা যায়, সে কথাও জানানো হবে।”
অন্য দিকে, ইরানের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র নাসির কনানুও এই ঘটনার নিন্দা করেছেন। সোমবার পাকিস্তান সফরে যাওয়া কথা ইরানের বিদেশমন্ত্রী হোসেন আমিররাদ্দোলাহিয়ানের।
তার আগেই এই ঘটনায় অস্বস্তি বাড়িয়েছে। নতুন করে উত্তেজনার আবহ তৈরি করেছে। যদিও ইরানে বিদেশমন্ত্রীর দাবি, পাকিস্তান এবং ইরানের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক নষ্ট করার চক্রান্ত চলছে। কিন্তু দুই বন্ধু দেশ এই চক্রান্ত সফল হতে দেবে না।
গত ১৬ জানুয়ারি পাকিস্তানের বালুচিস্তানে জঙ্গি ঘাঁটি লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় তারা। হামলার পর পরই ইরান দাবি করেছিল, জঙ্গি সংগঠন জইশ আল অদলের ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিতেই এই হামলা চালানো হয়েছে।
সেই হামলার পাল্টা জবাব দেয় পাকিস্তানও। তারাও ইরানের সিস্তান-বালুচিস্তান প্রদেশে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।
হামলা, পাল্টা হামলায় দু’দেশের মধ্যে যুদ্ধের আবহ তৈরি হয়। যদিও তা প্রশমনে দুই দেশই সমঝোতার রাস্তায় হাঁটে।