আমেরিকার বহু নাগরিক বিশ্বাস করেন ভিন্গ্রহীরা রয়েছে। আছে তাদের যান আনআইডেন্টিফায়েড ফ্লাইং অবজেক্ট অর্থাৎ ইউএফও।
সাম্প্রতিক একটি সমীক্ষা বলছে, আমেরিকার প্রায় ১০ শতাংশ মানুষ ইউএফও আছে বলে বিশ্বাস করেন।
বছরের পর বছর ধরে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকেই ইউএফও দেখতে পাওয়া নিয়ে নানা খবর প্রকাশিত হয়। তবে ভিন্গ্রহী বা তাদের এমন যান সত্যিই আছে কি না তা নিয়ে অন্ত নেই সন্দেহের। শেষ নেই তর্কেরও। কিন্তু এ নিয়ে হাতেনাতে প্রমাণ জোটেনি এখনও।
কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মুখেই যদি ভিন্গ্রহের জীব বা তাদের ব্যবহৃত যান নিয়ে নানা দাবি শোনা যায় তা হলে বিস্ময়ের আর সীমা থাকে না। যদিও এ নিয়ে যথোপযুক্ত কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি এখনও পর্যন্ত।
তবে আমেরিকারই এক মহাকাশচারীর একটি বিস্ময়কর দাবি ঘিরে শোরগোল পড়ে যায়।
মহাকাশচারীর নাম ফ্র্যাঙ্কলিন স্টোরি মাসগ্রেভ। সেই স্টোরির ‘গল্প’ নিয়েই শোরগোল পড়ে গিয়েছিল একসময়।
১৯৯৫ সালে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন মাসগ্রেভ। তাতে তিনি দাবি করেন যে, মহাকাশে তিনি সাপের মতো দেখতে বিশাল এক প্রাণী দেখতে পেয়েছিলেন।
সাক্ষাৎকারে মাসগ্রেভ বলেন, ‘‘দু’টি মিশনে থাকাকালীন আমি ৬-৮ ফুট লম্বা সাপের মতো দেখতে প্রাণী দেখেছিলাম। এর কোনও উত্তর আমার কাছে নেই।’’
মাসগ্রেভের মতে, যত উচ্চতায় ওড়া যাবে ততই ‘আশ্চর্যজনক জিনিস’ দেখতে পাওয়া যায়। পৃথিবীর বাইরে অনেক প্রাণী রয়েছে বলেও সাক্ষাৎকারে দাবি করেছিলেন মাসগ্রেভ।
আকাশে তাঁর দেখা সেই সাপ রাবারের মতো ছিল বলেও সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন মাসগ্রেভ। সেই সাপের ছবিও তিনি তুলেছিলেন বলে দাবি করেছিলেন মাসগ্রেভ।
তাঁর মতে পৃথিবীর বাইরে এককোষী প্রাণী এবং অন্যান্য সভ্যতা লক্ষ লক্ষ বছর ধরে চলে আসছে।
মাসগ্রেভ যে সে লোক নন। তিনি এক জন চিকিৎসক। আবার পেশায় এক জন মহাকাশচারী। শারীরতত্ত্ব এবং জীবপদার্থবিদ্যায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রিও রয়েছে তাঁর।
মোট ছ’বার মহাকাশ অভিযানে গিয়েছিলেন মাসগ্রেভ। ভিন্গ্রহীদের নিয়ে তাঁর এই দাবির পর স্বাভাবিক ভাবেই শোরগোল পড়ে যায়।
তবে ভিন্গ্রহীদের নিয়ে সব দাবিই এসে থমকে গিয়েছে এক জায়গায়। মহাকাশবিজ্ঞানীরা চান হাতেনাতে প্রমাণ। যা এখনও হাতে আসেনি সে ভাবে।