বলিপাড়ার তারকাদের আবাসন নিয়ে আলোচনা শুরু হলে সবার প্রথমে অমিতাভ বচ্চন এবং শাহরুখ খানের কথাই মাথায় আসে। অমিতাভের ‘জলসা’ এবং শাহরুখের ‘মন্নত’ যেন নজরকাড়া। তবে বলিপাড়ায় এমন এক জন অভিনেতা রয়েছেন, যাঁর বাড়ি আকার-আয়তন এমনকি দামের দিক থেকেও ‘জলসা’ এবং ‘মন্নত’-এর চেয়ে অনেকটা এগিয়ে।
বলিপাড়া সূত্রে খবর, শাহরুখের ‘মন্নত’-এর বর্তমান বাজার মূল্য ২০০ কোটি টাকা।
এমনকি, অমিতাভের ‘জলসা’র আনুমানিক বাজার মূল্য ১০০ থেকে ১২০ কোটি টাকা বলে বলিপাড়া সূত্রে খবর।
তবে বলিপাড়ায় এক জন অভিনেতার এমন বাড়ি রয়েছে, যার আকার ‘মন্নত’ এবং ‘জলসা’র চেয়ে অনেক বড়। দামের দিক থেকে তুলনা করলে দেখা যায়, ‘মন্নত’-এর চেয়ে সেই বাড়িটির দাম চার গুণ বেশি।
অমিতাভের ‘জলসা’র যা দাম তার চেয়ে প্রায় ৬ থেকে ৮ গুণ বেশি মূল্যের বাড়িতে থাকেন বলিপাড়ার এক অভিনেতা।
বলিপাড়া সূত্রে খবর, শাহরুখ বা অমিতাভ নন, বরং বলিউডের যে অভিনেতা সবচেয়ে দামি বাড়িতে বসবাস করেন, তিনি হলেন সইফ আলি খান।
ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেটার নবাব ইফতিকর আলি খান পটৌডি বানিয়েছিলেন পটৌডি প্যালেস। ইফতিকর সম্পর্কে সইফের ঠাকুরদা হন।
সইফের ঠাকুরদা ছিলেন পটৌডির নবাব। ভোপালের এক বেগমকে বিয়ে করেছিলেন তিনি।
কানাঘুষো শোনা যায়, বিয়ের আগে ইফতিকর যেখানে থাকতেন বিয়ের পর সেই বাড়িটিই পুনর্নিমাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। ভোপালের বেগমের স্বাচ্ছন্দ্যের কথা চিন্তা করেই নাকি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ইফতিকর।
বলিপাড়া সূত্রে খবর, রাজপ্রাসাদের মতো বাড়ি তৈরি করতে চেয়েছিলেন বলে রবার্ট টোর রাসেল নামে এক বিদেশি স্থপতিকে কাজে নিযুক্ত করেছিলেন ইফতিকর।
ইফতিকরের পর পটৌডি প্যালেসে থাকতে শুরু করেন সইফের বাবা মনসুর আলি খান পটৌডি। বলিপাড়া সূত্রে খবর, খ্যাতনামী একটি হোটেল সংস্থার মালিক ফ্রান্সিস ওয়াজ়িয়ার্গ এবং অমন নাথের সঙ্গে চুক্তিপত্রে সই করেন মনসুর।
১৭ বছরের জন্য পটৌডি প্যালেসকে নিজেদের সুবিধার্থে ব্যবহার করতে পারে ফ্রান্সিস এবং অমনের হোটেল সংস্থা। ২০১১ সালে মনসুরের মৃত্যুর পর পটৌডি প্যালেস ভাড়া দেওয়া হত ওই হোটেল সংস্থাকে।
মনসুরের মৃত্যুর কিছু দিন পর নাকি পটৌ়ডি প্যালেস ফিরিয়ে দেওয়ার কথা সইফকে বলেছিলেন ফ্রান্সিস। এক পুরনো সাক্ষাৎকারে এমনটাই জানিয়েছিলেন সইফ।
সইফ বলেছিলেন, ‘‘ফ্রান্সিস আমায় বলেছিলেন আমার যদি কখনও মনে হয় তা হলে পটৌডি প্যালেস আবার কিনে নিতে পারি। আমিও ফেরত পেতে চেয়েছিলাম।’’
পটৌডি প্যালেস ফিরে পাওয়ার জন্য নিজের অধিকাংশ সঞ্চয় খরচ করে ফেলেছিলেন সইফ। সাক্ষাৎকারে সইফ বলেছিলেন, ‘‘ছবিতে অভিনয় করে যা টাকা জমিয়েছিলাম তা দিয়ে আবার পটৌডি প্যালেস কিনেছিলাম আমি। উত্তরাধিকার সূত্রে ওই বাড়ি তো আমারই।’’
সইফ আরও জানিয়েছিলেন, অতীতের সঙ্গে এত সহজে সম্পর্ক ছিন্ন করা যায় না। অন্তত তাঁর পরিবারের কোনও সদস্যই তা পারেন না বলে দাবি করেছিলেন অভিনেতা।