এক দিন আগে বলেছিলেন, ‘‘যে যা-ই বলুক, হাল ছাড়ার লোক নই আমি। শেষ পর্যন্ত লড়ে যাব।’’ যুদ্ধং দেহি ভাবমূর্তির সেই লিজ় ট্রাসের আত্মবিশ্বাসে টোল পড়ল মাত্র ৮৯ সেকেন্ডেই।
বৃহস্পতিবার লিজ় তাঁর ১০ ডাউনিং স্ট্রিটের বাসভবনের সামনে দাঁড়িয়ে বিদায়ী ভাষণ পড়তে শুরু করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে হাল ছাড়ার কথা জানাতে তাঁর সময় লাগল ঠিক ৮৯ সেকেন্ড। অর্থাৎ পুরো দেড় মিনিটও নয়।
তবে এই অল্প সময়েই একটি রেকর্ডও করে ফেললেন ট্রাস। বৃহস্পতিবার ইস্তফা দেওয়ার পর ব্রিটেনের সবচেয়ে কম সময় পদে থাকা প্রধানমন্ত্রী হিসাবে রেকর্ড করলেন তিনি।
তাঁর আগে এই রেকর্ড ছিল জর্জ ক্যানিংয়ের। ১৮২৭ সালে মাত্র ১১৯ দিন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন নিজের দফতরেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বৃহস্পতিবার এমনই কিছু সংখ্যা, রেকর্ড জড়িয়ে গেল লিজ়ের নামের সঙ্গেও।
৪৫— মাত্র ৪৫ দিনের জন্য লিজ় ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন।
৪৫%— ৪৫-এর আরও একটি গেরোতে ফেঁসেছিলেন লিজ়। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর তাঁর ৪৫ শতাংশ কর ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত বিপুল সমালোচনার মুখে পড়ে। বিশেষজ্ঞদের কথায়, এর জেরেই ইস্তফা দিতে বাধ্য হন লিজ়।
৮৯— ডাউনিং স্ট্রিটে দাঁড়িয়ে ইস্তফার ঘোষণাপত্রটি পড়তে ৮৯ সেকেন্ড সময় লেগেছিল লিজ়ের।
৬০— প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে বাকিদের হারিয়ে লিজ শীর্ষ পদটি জিতে নেন ঠিক ৬০ দিনের মাথায়।
২— লিজ়ের স্বল্পমেয়াদি প্রধানমন্ত্রিত্বে দু’জন মন্ত্রী ইস্তফা দেন। অর্থমন্ত্রী কোয়াসি কোয়ারতেঙ্গ এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রেভারম্যান।
১৩— তাঁর নিজের দল কনজারভেটিভ পার্টির অন্দরেই ১৩ জন আইনসভার সদস্য চেয়েছিলেন, লিজ় ইস্তফা দিন।