ঠেলাগাড়ি থেকে ব্যবসা শুরু। বর্তমানে শতাধিক কর্মচারী নিয়ে রেস্তরাঁ চালাচ্ছেন দুই বন্ধু। বিখ্যাত রন্ধনশিল্পী গেরি মেহিগানও এই রেস্তরাঁর প্রশংসা করেছেন।
দোসা এবং ইডলির মতো দক্ষিণ ভারতীয় খাবার বিক্রি করে প্রতি মাসে সাড়ে ৪ কোটি টাকা আয় করেন দুই বন্ধু।
বেঙ্গালুরুর ওই রেস্তরাঁ আয়ের দিক থেকে নেটব্যবহারকারীদের নজর কেড়েছে। এই রেস্তরাঁর ঘি পোড়ি ইডলি এবং মশলা দোসা জনপ্রিয়।
বেঙ্গালুরুর রেস্তরাঁর দুই মালিকের নাম রাঘবেন্দ্র রাও এবং দিব্যা। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, এক বন্ধুর মাধ্যমে দু’জনের আলাপ হয়।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, আমদাবাদের একটি কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর স্তরের পড়া শেষ করেছিলেন দিব্যা। রেস্তরাঁ খোলার স্বপ্ন ছিল তাঁর।
রাঘবেন্দ্রও নিজের একটি রেস্তরাঁ খোলার স্বপ্ন দেখতেন। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ১৫ বছর ধরে খাদ্যশিল্প জগতের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি।
রাঘবেন্দ্র এবং দিব্যা দু’জনে মিলে একটি ঠেলাগাড়ি করে দোসা এবং ইডলি বিক্রি করা শুরু করেন। বেঙ্গালুরুর শেষাদ্রিপুরমে প্রথম ব্যবসা শুরু করেন তাঁরা।
ঠেলাগাড়িতে দক্ষিণ ভারতের খাবার বিক্রি করে প্রচুর অর্থ সঞ্চয় করেন দুই বন্ধু। এর পর রেস্তরাঁ খোলার চিন্তাভাবনা করেন তাঁরা।
২০২১ সালে বেঙ্গালুরুর ইন্দিরানগরে প্রথম রেস্তরাঁ খোলেন রাঘবেন্দ্র এবং দিব্যা। রেস্তরাঁ খোলার পর তাঁদের নামডাক আরও বৃদ্ধি পায়।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিজেদের রেস্তরাঁর শাখা উদ্ধোধন করতে চান রাঘবেন্দ্র এবং দিব্যা।
শুধু দোসা বা ইডলি বানানোর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে চান না রাঘবেন্দ্র এবং দিব্যা। স্বাস্থ্যকর নানা ধরনের খাবারও তৈরি করতে চান তাঁরা।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, দু’জন মিলে একটি ঠেলাগাড়ির মাধ্যমে যে ব্যবসা শুরু করেছিলেন, বর্তমানে সেই ব্যবসায় ২০০ জনের বেশি কর্মচারী নিযুক্ত রয়েছেন।
প্রতি বছরে দোসা এবং ইডলি বিক্রি করে এই রেস্তরাঁ থেকে প্রতি বছর ৫০ কোটি টাকা উপার্জন করেন রাঘবেন্দ্র এবং দিব্যা।