অভিনয় দক্ষতা হোক বা নৃত্যশৈলী— নব্বইয়ের দশকে উপার্জনের নিরিখে তালিকার শীর্ষে ছিলেন মাধুরী দীক্ষিত নেনে। রোম্যান্টিক ছবিতেই অধিকাংশ ক্ষেত্রে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। কেরিয়ারের ঝুলিতে রয়েছে একাধিক হিট ছবি।
বলিপাড়া সূত্রে খবর, শাহরুখ খান, আমির খান এবং অনিল কপূরের মতো একাধিক বলি তারকার সঙ্গে অভিনয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন মাধুরী। ফলত বহু হিট ছবি অভিনেত্রীর কাছ থেকে হাতছাড়া হয়। তালিকায় কোন কোন ছবি রয়েছে?
১৯৮৯ সালে যশ চোপড়ার পরিচালনায় প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘চাঁদনি’। এই ছবিতে অভিনয় করেন ঋষি কপূর, শ্রীদেবী, বিনোদ খন্না, ওয়াহিদা রহমানের মতো তারকারা। তবে ‘চাঁদনি’ ছবিতে অভিনয় করার কথা ছিল মাধুরীর।
বলিপাড়া সূত্রে খবর, ‘চাঁদনি’ ছবিতে বিনোদ খন্নার প্রেমিকার চরিত্রে অভিনয়ের কথা ছিল মাধুরীর। কিন্তু এই ছবিতে ক্যামিয়ো চরিত্রে অভিনয় করতে চাননি অভিনেত্রী। তাই এই ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছিলেন তিনি।
১৯৮৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ইলজ়াম’ ছবির মাধ্যমে বড় পর্দায় আত্মপ্রকাশ করেন গোবিন্দ। এই ছবিতে গোবিন্দের বিপরীতে অভিনয়ের জন্য ছবিনির্মাতাদের প্রথম পছন্দ ছিলেন মাধুরী।
বলিপাড়া সূত্রে খবর, মাধুরী কোনও নবাগত অভিনেতার বিপরীতে অভিনয় করুন তা চাননি অভিনেত্রীর ম্যানেজার। তাই এই ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব খারিজ করে দেন মাধুরী।
‘ইলজ়াম’ ছবিতে মাধুরীর পরিবর্তে গোবিন্দের বিপরীতে অভিনয় করতে রাজি হন নীলম। এই ছবির মাধ্যমেই বলিপাড়ায় জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন নীলম।
রাজীব রাইয়ের পরিচালনায় ‘ত্রিদেব’ ছবিতে সানি দেওলের বিপরীতে অভিনয় করেন মাধুরী। পরিচালক তাঁর ‘বিশ্বাত্মা’ ছবিতেও অভিনয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন মাধুরীকে।
বলিপাড়া সূত্রে খবর, তারকা সমন্বিত ‘বিশ্বাত্মা’ ছবিতে অভিনয় করতে রাজি হননি মাধুরী। পরিচালক রাজীবের প্রস্তাব মাধুরী ফিরিয়ে দিলে তাঁর পরিবর্তে দিব্যা ভারতীকে এই ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়।
১৯৯৩ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘ডর’। মুক্তির পর বক্স অফিসেও ভাল ব্যবসা করে শাহরুখ খান, সানি দেওল এবং জুহি চাওলার ছবি।
বলিপাড়া সূত্রে খবর, জুহি নন বরং ‘ডর’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য নির্মাতাদের প্রথম পছন্দ ছিল মাধুরী। কিন্তু সেই সময় শুটিংয়ের কাজে ব্যস্ত থাকার কারণে ‘ডর’ ছবির প্রস্তাব ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছিলেন মাধুরী।
১৯৯৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘দামিনী’ ছবিতে ঋষি কপূর এবং সানি দেওলের পাশাপাশি অভিনয় করতে দেখা যায় মিনাক্ষী শেশাদ্রিকে। কিন্তু মিনাক্ষী প্রথম পছন্দ ছিল না ছবিনির্মাতাদের।
বলিপাড়া সূত্রে খবর, ‘দামিনী’ ছবির জন্য মাধুরীকে অভিনয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু একাধিক ছবির শুটিং নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে ‘দামিনী’ ছবির শুটিংয়ের জন্য সময় বার করতে পারেননি অভিনেত্রী। তাই এই ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব খারিজ করে দিতে হয় তাঁকে।
১৯৯৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘বাজ়িগর’ ছবিতে শাহরুখ খানের বিপরীতে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন মাধুরী। কিন্তু এই ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। পরে সেই চরিত্রে অভিনয় করে বড় পর্দায় আত্মপ্রকাশ করেন শিল্পা শেট্টি।
নব্বইয়ের দশকে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘১৯৪২: অ্যা লভ স্টোরি’ ছবিটি রোম্যান্টিক ঘরানার ছবি হিসাবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। এই ছবিতে অনিল কপূর এবং মনিষা কৈরালার জুটিও দর্শকের পছন্দ হয়।
বলিপাড়া সূত্রে খবর, ‘১৯৪২: অ্যা লভ স্টোরি’ ছবির নায়িকা হিসাবে মাধুরীকে প্রথম পছন্দ হয়েছিল ছবিনির্মাতাদের। কিন্তু শুটিংয়ের জন্য মাধুরী সময় বার করতে না পারায় মনিষাকে পরে এই ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়।
১৯৯৫ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘অকেলে হম অকেলে তুম’। আমির খানের বিপরীতে মুখ্যচরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পান মাধুরী। বলিপাড়া সূত্রে খবর, একই ধরনের চরিত্রে অন্য একটি ছবিতেও অভিনয় করছেন বলে ‘অকেলে হম অকেলে তুম’ ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন মাধুরী।
ইন্দ্র কুমারের পরিচালনায় প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় ‘ইশক’ ছবিটি। এই ছবিতেও আমিরের বিপরীতে অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছিলেন মাধুরী। কিন্তু সময় না থাকার কারণে এই ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন তিনি। আমিরের সঙ্গে পরে এই ছবিতে জুটি বেঁধে অভিনয় করতে দেখা যায় জুহিকে।
১৯৯৯ সালে সুরজ বরজাতিয়ার পরিচালনায় প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় পারিবারিক ছবি ‘হম সাথ-সাথ হ্যায়’। এই ছবিতে অভিনয় করতে দেখা যায় সলমন খান, সইফ আলি খান, করিশ্মা কপূর, তব্বু, মণীশ বহেল, সোনালি বেন্দ্রে, নীলমের মতো তারকাদের।
বলিপাড়া সূত্রে খবর, ‘হম সাথ-সাথ হ্যায়’ ছবিতে সাধনার চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয় মাধুরীকে। কিন্তু সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন অভিনেত্রী। পরে তব্বু সেই চরিত্রে অভিনয় করতে রাজি হন।