Haunted Museum

রক্তমাখা ছাই থেকে ‘ভূতুড়ে পুতুল’! গা ছমছমে সংগ্রহশালায় আর কী কী রয়েছে?

আমেরিকার লাস ভেগাস শহরে রয়েছে একটি গা ছমছমে সংগ্রহশালাও। তার টানেও নাকি অনেকে পা রাখেন লাস ভেগাসে। কী কী রয়েছে এই মিউজ়িয়ামে? কেনই বা এতে ঢুকলে ভয়ে কেঁপে ওঠেন অনেকে?

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০২২ ১৫:৩৪
Share:
০১ ২০

নেশা ধরানো নৈশজীবন হোক বা জুয়া খেলার ‘স্বর্গ’, ক্যাসিনো-রেস্তরাঁ-হোটেল থেকে ঝাঁ-চকচকে শপিং মল— লাস ভেগাসে ছড়িয়েছিটিয়ে রয়েছে বিনোদনের নানা উপকরণ। তবে আমেরিকার এ শহরে রয়েছে একটি গা ছমছমে সংগ্রহশালাও। তার টানেও নাকি অনেকে পা রাখেন লাস ভেগাসে। কী কী রয়েছে এই মিউজ়িয়ামে? কেনই বা এতে ঢুকলে ভয়ে কেঁপে ওঠেন অনেকে?

ছবি: সংগৃহীত।

০২ ২০

নেভাদার এই মরুশহরে হুল্লোড়ে সময় কাটানোর পাশাপাশি বহু পর্যটকই নাকি অন্তত এক বার ঘুরতে যান জ়াক বেগানস-এর মিউজ়িয়ামে।

ছবি: সংগৃহীত।

Advertisement
০৩ ২০

হাজার হাজার বর্গফুট জুড়ে ছড়িয়ে থাকা এ মিউজ়িয়ামে রয়েছে এমন এক ‘ভূতুড়ে’ পুতুল, যার দিকে তাকালেই নাকি প্রচণ্ড মাথাযন্ত্রণা শুরু হয়। অনেকের আবার বুকে ব্যথা করে। রয়েছে সেই চেয়ারটি, যাতে নাকি শেষ সময়ে বসেছিলেন প্রয়াত পপ-তারকা মাইকেল জ্যাকসন। মিউজ়িয়াম জুড়ে এ ধরনের নানা সামগ্রীর ‘কুখ্যাতির’ কথা ফুটে উঠেছে টেলিভিশনে পর্দায়। খ্যাতি এনে দিয়েছে জ়াককেও।

ছবি: সংগৃহীত।

০৪ ২০

জ়াকের ‘ভূতুড়ে’ মিউজ়িয়ামটি যে জমিতে রয়েছে, এককালে তাঁর মালিক ছিলেন সিরিল এস নামে এক নামজাদা ব্যবসায়ী। সে ছিল ১৯৩৮ সালের কথা।

ছবি: সংগৃহীত।

০৫ ২০

১১,০০০ বর্গফুটের বিশাল জায়গায় উপরে এই মিউজ়িয়ামটি গড়ে উঠেছে। তিরিশের দশকের শেষে এই বিল্ডিংটি গড়ে তোলেন সিরিল। তবে বহু বছর পর তা হাতবদল হয়ে জ়াকের দখলে আসে।

ছবি: সংগৃহীত।

০৬ ২০

আধিভৌতিক বিষয়ে জ়াকের নিজেরও উৎসাহ কম নয়। ভূতুড়ে কারবার নিয়ে নিজের তৈরি খান দশেক তথ্যচিত্র এবং টেলিসিরিজ়ও তৈরি করে ফেলেছেন তিনি। তার সবক’টিতেই মুখ দেখিয়েছেন এই অভিনেতা।

ছবি: সংগৃহীত।

০৭ ২০

‘তেনাদের’ নানা কাণ্ড নিয়ে আমেরিকার টেলিভিশনে একটি জনপ্রিয় সিরিজ়ও তৈরি করেছিলেন জ়াক। ২০০৮ সালে ‘ঘোস্ট অ্যাডভেঞ্চার্স’ নামে একটি সিরিজ় খুবই জনপ্রিয় হয়েছিল। পরে ওই একই নামে একটি সিনেমাও তৈরি হয়েছিল। যার সহপ্রযোজক ছিলেন খোন জ়াক।

ছবি: সংগৃহীত।

০৮ ২০

তাঁর টুপিতে অবশ্য আরও একটি পালক রয়েছে। নিজেকে ‘প্যারানর্মাল ইনভেস্টিগেটর’ হিসাবে পরিচয় দিতেও ভালবাসেন জ়াক। ভূত ধরে বেড়ানোই যাঁর নেশা। এর উপরে বেস্টসেলার বইও লিখে ফেলেছেন।

ছবি: সংগৃহীত।

০৯ ২০

জ়াকের মতো তাঁর মিউজ়িয়ামটিও কম আকর্ষণীয় নয়। হাজার হাজার বর্গফুট ধরে ছড়িয়ে থাকা মিউজ়িয়ামে মোট ৩৩টি ঘর রয়েছে। তাতে টিকিট কেটে ঢোকার পর গাইডের সাহায্যে ঘুরে বেড়াতে পারেন উৎসাহীরা। সেই মিউজ়িয়ামের এক-একটি ঘরে নাকি রয়েছে ভূতুড়ে জিনিসপত্র। সেগুলি কী কী?

ছবি: সংগৃহীত।

১০ ২০

জ়াকের মিউজ়িয়ামে পা রাখলেই দেখতে পাবেন মাইকেল জ্যাকসনের একটি চেয়ার। অনেকে যেটিকে মাইকেলের ‘প্রোপোফল চেয়ার’ বলে ডাকেন। ২০০৯ সালের ২৫ জুনের রাতে যে চেয়ারে বসে নাকি ‘প্রোপোফল’ সেবন করেছিলেন মাইকেল।

ছবি: সংগৃহীত।

১১ ২০

ঘিয়ে রঙের ওই চেয়ারটি থাকত মাইকেলের শোয়ার ঘরে, ঠিক তাঁর বিছানার কাছেই। লস অ্যাঞ্চেলেসের হোমবি হিলসের প্রাসাদে পপ-তারকার শেষ সময়ে তাঁকে পরীক্ষা করেছিলেন চিকিৎসক কনরাড মারে। মাইকেলের মৃত্যুতে কনরাডের ভূমিকাও এককালে আতশকাচের তলায় ছিল।

ছবি: সংগৃহীত।

১২ ২০

কনরাডের দাবি, গদিমোড়া ওই চেয়ারে বসেই বেশি মাত্রায় ‘প্রোপোফল’ নিয়েছিলেন মাইকেল। সে জন্যই কি মাইকেলের মৃত্যু হয়েছিল? এ নিয়ে রহস্য মেটেনি। তবে ওই ওষুধটি অ্যানাস্থেটিকের কাজ করে। এমনকি, ঘুমের ব্যঘাত ঘটলেও চিকিৎসকের পরামর্শে এর সেবন করেন অনেকে। ওই চেয়ারটিও নিজের দখলে নিয়েছেন জ়াক।

ছবি: সংগৃহীত।

১৩ ২০

জ়াকের মিউ়জ়িয়ামে পর্যটকদের সবচেয়ে টানে বোধ হয় ‘পেগি ডল’। অনেকের দাবি, দুনিয়ার সবচেয়ে ভূতুড়ে পুতুল এটি। একটি অর্ধচন্দ্রাকৃতি খোপে বসানো হয়েছে পুতুলটিকে। সাদাটে ফ্রকের নিরীহ চেহারার একটি বাচ্চার মুখের আদলের এই পুতুলটিকে দেখলেই নাকি বুকে ব্যথা, মাথা ধড়ফড় করা শুরু হয়।

ছবি: সংগৃহীত।

১৪ ২০

‘পেগি ডলের’ মধ্যে নাকি দুষ্ট আত্মা বাসা বেঁধে রয়েছে। জ়াকের টেলি-সিরিজ়ে যত বার পেগির মুখ ভেসে উঠেছে, তত বারই নাকি দর্শকেরা অস্বস্তিতে পড়েছেন। তাঁদের গা শিরশির করে উঠেছে। এক বার নাকি টিভিতে পেগিকে দেখার পর হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল এক মহিলার। তা নিয়েও শিরোনামে উঠে এসেছিল এই পুতুলটি।

ছবি: সংগৃহীত।

১৫ ২০

পেগির ‘ভূতুড়ে’ কীর্তি নিয়ে নেটমাধ্যমেও হইচই হয়েছিল। এক জন লিখেছিলেন, ‘‘টিভিতে পেগিকে দেখার পর ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। সে রাতে দুঃস্বপ্নও দেখি। সাধারণত, এ ধরনের স্বপ্ন দেখি না। তবে খুব মনে রয়েছে, কী ভয়ানক দুঃস্বপ্ন দেখেছিলাম।’’ অন্য জনের মন্তব্য, ‘‘পেগিকে দেখার পর কারও কি প্রচণ্ড মাথা ধরে ছিল? এক বার মোটে তাকিয়েছিলাম। অদ্ভুত...। ওর কালো চোখ দুটো ভয় পাইয়ে দিয়েছিল!’’

ছবি: সংগৃহীত।

১৬ ২০

জ়াকের মিউজ়িয়ামে একটি শয়তানের চেয়ার ঘিরেও কম কথা ছড়ায়নি। তাতে বসেই নাকি শয়তান দোল খায়। ডেভিড গ্লাটজ়েলের দাদা কার্ল গ্লাটজ়েল জুনিয়রের কাছ থেকে চেয়ারটি কিনেছিলেন জ়াক। সেই চেয়ারটির উপর নাকি শয়তানের আত্মা ভর করে।

ছবি: সংগৃহীত।

১৭ ২০

লোকজন বলাবলি করে, ১১ বছরের ডেভিডকে নিজেদের দখলে নিয়ে নিয়েছিল চল্লিশটি দুষ্ট আত্মা। তার পর থেকেই অদ্ভুত আচরণ করতে সে। ডেভিডের ঘরেই নাকি ওই চেয়ারটি রাখা ছিল। ২০১৯ সালে এক সংবাদমাধ্যমের দাবি ছিল, চেয়ারটি আপনাআপনিই দুলত, মাটি থেকে কিছুটা উপরে উড়ে বেড়াত। এমনকি, কখনও আবার একেবারে হাওয়ায় মিলিয়ে যেত।

ছবি: সংগৃহীত।

১৮ ২০

সে বছর ‘শয়তানের’ চেয়ারে বসার পর নাকি এক বার অদ্ভুত অভিজ্ঞতা হয়েছিল খোদ জ়াকের। তাঁর দাবি ছিল, ‘‘শয়তানের চেয়ারে বসার পর আমার পিঠ জুড়ে এতটাই ব্যথা করতে শুরু করে যে রাতে ঘুমাতে পারিনি। অনেক দিন পর্যন্ত সে ব্যথা ছিল। অথচ এমন কোনও ভারী জিনিসও তুলিনি।’’

ছবি: সংগৃহীত।

১৯ ২০

‘ভূতুড়ে’ মিউজ়িয়ামে একটি পুরনো ভ্যান ঘিরে লোকজনের আগ্রহও কম নয়। জ্যাক কেভরকিয়ান নামে আমেরিকার এক প্যাথোলজিস্টের টেলিভিশন শোয়ে ওই ভ্যানটিকে দেখা যেত। চিকিৎসকের সহায়তায় আত্মহত্যার পক্ষে সওয়াল করা জ্যাকের কাছ থেকে ভ্যানটি ৩২,৫০০ ডলারে কিনেছিলেন জ়াক। ওই ভ্যানে করেই নাকি আত্মঘাতী হওয়া ১৩০ ব্যক্তির দেহ বয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

ছবি: সংগৃহীত।

২০ ২০

জ়াকের কাছে রয়েছে বহু সিরিয়াল কিলারের সংগ্রহে থাকা জিনিসপত্রও। সে সবই তাঁর মিউজ়িয়ামে দেখা যায়। ষাটের দশকের কুখ্যাত অপরাধী চার্লস ম্যানসনের রক্তমাখা ছাই থেকে সিরিয়াল কিলার টেড বান্ডির চশমা— সবেতেই হামলে পড়েন উৎসাহীরা।

ছবি: সংগৃহীত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
আরও গ্যালারি
Advertisement