অভিনয়জগতে এমন বহু তারকা অভিনেত্রী রয়েছেন যাঁরা কৃত্রিম পদ্ধতিতে নিজেদের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করিয়েছেন। তালিকা দীর্ঘ হলেও তা প্রকাশ্যে স্বীকার করেন না অনেকেই। কখনও টিকোলো নাক আবার কখনও বা ঠোঁটের ভোল পাল্টে ফেলা— চাহিদা অনুযায়ী রূপ পেতে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়েছেন বহু বলি তারকা। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কাটাছেঁড়া করে চেহারার বদল ঘটানোর কথা স্বীকারও করেছেন কেউ কেউ।
সমাজমাধ্যম প্রভাবী উরফি জাভেদ সম্প্রতি প্লাস্টিক সার্জারি নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। চোখের তলায় কালো দাগ কমাতে ‘ফিলার’ করিয়েছেন বলে জানিয়েছেন উরফি।
শৈশব থেকেই চোখের নীচে কালো দাগ নিয়ে সমস্যায় পড়েছিলেন উরফি। একাধিক বার ট্রোলড হয়েছেন তিনি। তাই অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন। ‘আন্ডারআই ফিলার’-এর পাশাপাশি ‘লিপ ফিলার’ও করিয়েছেন তিনি।
বলিউডের পাশাপাশি দক্ষিণী ছবিতে অভিনয় করেও জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন শ্রুতি হাসন। নিজেকে সুন্দর দেখাতে অস্ত্রোপচারের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনিও।
ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে শ্রুতি জানিয়েছিলেন, তাঁর নাকের সামনের অংশে ‘ফিলার’ করিয়েছেন তিনি। ‘নোজ় জব’ এর পাশাপাশি ঠোঁটেরও অস্ত্রোপচার করিয়েছেন অভিনেত্রী।
অভিনয়জগতে কেরিয়ার শুরু করার সময় থেকেই ঠোঁটের গড়ন নিয়ে বার বার কটাক্ষের স্বীকার হয়েছিলেন বলি অভিনেত্রী অনুষ্কা শর্মা। ২০১৪ সালে তাঁর ছবির জন্যই অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
২০১৫ সালে প্রেক্ষাগৃহে অনুরাগ কাশ্যপের পরিচালনায় মুক্তি পেয়েছিল ‘বম্বে ভেলভেট’ ছবিটি। এই ছবির জন্য ঠোঁটের অস্ত্রোপচার করিয়েছিলেন তিনি।
যদিও ঠোঁটের গড়ন আজীবনের জন্য বদলে ফেলেননি অনুষ্কা। সিনেমার জন্য অস্থায়ী ‘ফিলার’ করিয়েছিলেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
নব্বইয়ের দশক থেকে অভিনয় শুরু করেছিলেন শিল্পা শেট্টি। নাকের গড়ন নিয়ে কম কথা শুনতে হয়নি নায়িকাকে।
নাকের গড়ন ঠিক করার জন্য অস্ত্রোপচার করিয়েছিলেন শিল্পা। বহু দিন এই কথা গোপন রাখলেও ২০০০ সালের দিকে প্রকাশ্যে তা স্বীকার করেন অভিনেত্রী। তিনি যে ‘নোজ় জব’ করিয়েছেন, তা প্রকাশ্যে জানান তিনি।
আশি থেকে নব্বইয়ের দশকে হলিউডের প্রথম সারির জনপ্রিয় মডেল অভিনেত্রী হিসাবে নিজের নাম লিখিয়েছিলেন সিন্ডি ক্রফোর্ড। ‘ফেয়ার গেম’, ‘দ্য সিমিয়ান লাইন’-এর মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি।
সুন্দরী হিসাবেও নামডাক হয়ে যায় সিন্ডির। তবে নিজের জীবন নিয়ে স্পষ্ট কথা বলতে কোনও দিনই ভয় পাননি অভিনেত্রী। তাই কী ভাবে তিনি মুখের গড়ন এমন তৈরি করেছেন, তা-ও খোলসা করেন তিনি।
সিন্ডি প্রকাশ্যে স্বীকার করেন, ২৯ বছর বয়স থেকে ইঞ্জেকশন নেন তিনি। ভিটামিন ইঞ্জেকশনের পাশাপাশি বোটক্স এবং কোলাজেন প্রক্রিয়ারও সাহায্য নিয়েছেন বলে জানান অভিনেত্রী।সিন্ডি প্রকাশ্যে স্বীকার করেন, ২৯ বছর বয়স থেকে ইঞ্জেকশন নেন তিনি। ভিটামিন ইঞ্জেকশনের পাশাপাশি বোটক্স এবং কোলাজেন প্রক্রিয়ারও সাহায্য নিয়েছেন বলে জানান অভিনেত্রী।