লক্ষ্য ছিল বিশ্বভ্রমণ করবেন। তাই অর্থ উপার্জন করতে অনেক রকম কাজই করেছেন মেগান মীক।
বছর সাতাশের মেগান ব্রিটেনের বাসিন্দা। পরিবারকে ছেড়ে তিনি অস্ট্রেলিয়ায় আসেন কাজ খুঁজতে।
ভার্জিন এয়ারলাইন্সের বিমানসেবিকা হিসাবে কাজ করলেও তিনি এর আগে আরও অনেক জায়গায় কাজ করেছেন।
কখনও অস্ট্রেলিয়ার ব্যস্ততম রেস্তরাঁয়, কখনও বা খামারে কাজ করেছেন মেগান।
কিন্তু তবুও তাঁর অর্থের টান পড়ছিল। তাই বিমানসেবিকার কাজ ছেড়ে দিয়ে তিনি খনির কাজকর্মে নিযুক্ত হন।
তবে, মেগানের কাজের ধরণ ভিন্ন। তিনি দু’সপ্তাহ খনিতে কাজ করেন এবং পরের সপ্তাহে ঘুরে বেড়ান মলদ্বীপ, তাইল্যান্ড, বালিতে। বিভিন্ন বিলাসবহুল রেস্তরাঁয় খাওয়াদাওয়া করেন। তার পর ছবি তুলে নেটমাধ্যমে দেন।
অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিম প্রান্তে পিলবরা খনি এলাকায় মেগান কর্মরত। দু’সপ্তাহ ধরে টানা ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা কাজ করে তিনি লক্ষ অর্থ উপার্জন করেন।
কর দিয়েও মেগানের কাছে ২,৬৪৩ আমেরিকান ডলার অবশিষ্ট থাকে, যার ভারতীয় মুদ্রায় যার মূল্য ২ লক্ষ ৮ হাজার ৬৬৭ টাকা।
অস্ট্রেলিয়ায় আসার পর তিনি বালি, তাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, সিঙ্গাপুর, ক্রোয়েশিয়া, আমেরিকা, মলদ্বীপ-সহ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়িয়েছেন।
মেগানের একটি ব্লগ রয়েছে, যেখানে তিনি ভ্রমণ সংক্রান্ত সকল তথ্য ‘ই-বুক’-এর মাধ্যমে ভ্রমণপিপাসুদের সঙ্গে ভাগ করে থাকেন।
তিনি ১২ দিন একটি হোটেলে একা ছিলেন। নেটমাধ্যমে নিজের বহু ছবিই আপলোড করেন মেগান। কিন্তু এমন অনেকেই রয়েছেন, যাঁরা সঠিক তথ্যের অভাবে কম খরচায় ভাল করে ঘুরতে পারেন না।
তাঁদের কথা ভেবেই এই ব্লগ লেখা শুরু করেন তিনি। একটি সংবাদ সংস্থাকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় মেগান জানান, তাঁর প্রেমিকও খনিতে কাজ করেন। মেগানের মতোই ঘুরতে ভালবাসেন ডিলান।
২০১৯ সালে জামাইকা ঘুরতে যাওয়ার সময় ডিলানের সঙ্গে তাঁর আলাপ হয়। তবে তাঁরা দু’জন এক খনিতে কাজ করেন না। তাই মেগান মাঝে মাঝে একাই ঘুরতে বেরিয়ে পড়েন।