বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্যায়ের খেলা শুক্রবার শেষ হয়েছে। শনিবার রাত থেকেই শুরু হবে নক আউট পর্ব। বহু সমর্থককে হতাশ করে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছে জার্মানি, উরুগুয়ের মতো বিশ্বকাপ জেতা দল। গ্রুপ পর্বে হারতে হয়েছে প্রায় সব নামী দলকেই।
এ বারের বিশ্বকাপের প্রথম অঘটনটি ঘটায় সৌদি আরব। মেসির আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে দিয়ে চমকে দেন সালেহ আলসেরিরা।
ম্যাচে নীল-সাদাদের গোটা তিনেক গোল অফসাইডের কারণে বাতিল হয়। মেসি গোল করলেও ১-২ গোলে হেরে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করতে হয় প্রাক্তন বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। তবে আর্জেন্টিনাকে হারালেও নকআউটে ওঠা হয়নি সৌদির।
পরের চমকে দেওয়া ফল তার ঠিক পরের দিন। ই গ্রুপের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল জার্মানি এবং জাপান। পিছিয়ে থেকেও পর পর দু’গোল দিয়ে প্রাক্তন বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে দেয় সূর্যোদয়ের দেশ।
প্রথম ম্যাচেই হেরে নড়ে যায় জার্মানি। সেই ধাক্কা গ্রুপ পর্বের বাকি ম্যাচগুলিতেও কাটিয়ে উঠতে পারেননি টমাস মুলাররা। গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয় প্রাক্তন বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের।
পরের অঘটন রবিবার। এফ গ্রুপের সেই ম্যাচে বেলজিয়ামকে হারিয়ে চমকে দেয় মরক্কো। দ্বিতীয়ার্ধের জোড়া গোলে হারতে হয় দি’ব্রুইন, অ্যাজ়ারদের দেশকে।
প্রথম ম্যাচ জিতে টুর্নামেন্ট শুরু করায় আগ্রহ ছিল অ্যাজারদের নিয়ে। কিন্তু মরক্কোর কাছে হেরে গ্রুপ থেকেই ছিটকে যায় বেলজিয়াম।
পরের ধাক্কাটা অপেক্ষা করছিল বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের জন্য। টিউনিশিয়ার কাছে এক গোলে হারতে হয় এমবাপেদের। ম্যাচের একেবারে শেষ মুহূর্তে গ্রিজ়ম্যান গোল করলেও তা অফসাইডের জন্য বাতিল হয়।
ম্যাচ হারলেও নক আউটে উঠতে অবশ্য সমস্যা হয়নি গত বারের চ্যাম্পিয়নদের। অন্য দিকে জিতলেও নক আউটে যেতে পারেনি টিউনিশিয়া।
কোস্টা রিকাকে ৭ গোল দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করা স্পেনকে অনেকেই যখন অপ্রতিরোধ্য ভাবছিলেন, ঠিক তখনই জাপানের সামনে ভেঙে পড়ে স্প্যানিশ আর্মাডা।
মোরাতার গোলে অবশ্য প্রথমে এগিয়ে গিয়েছিল স্পেনই। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে ৩ মিনিটের ব্যবধানে ২ গোল করে ম্যাচ জেতে জাপান।
এর পর ধাক্কা খায় পর্তুগাল। প্রথম দুই ম্যাচে ঘানা এবং উরুগুয়েকে উড়িয়ে শুরু করা সিআর সেভেনরা যেন গোল নষ্টের প্রদর্শনীতে নেমেছিল শুক্রবার রাতে।
রোনাল্ডোদের ১-২ গোলে হারিয়ে শেষ ষোলোর টিকিট পাকা করে দক্ষিণ কোরিয়া।
যখন মনে করা হচ্ছিল অঘটনের গ্রুপ পর্বের এখানেই শেষ, তখন বোধহয় আড়ালে হাসছিলেন ফুটবল দেবতা।
গ্রুপের শেষ ম্যাচে গোল করার একাধিক সুযোগ হেলায় হারিয়ে একেবারে শেষ মুহূর্তের গোলে হেরে যায় নেমারহীন ব্রাজিল। ক্যামেরুনের কাছে হারলেও অবশ্য নক আউটে যাওয়া আটকায়নি প্রাক্তন বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের।