হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে ছিটকে গিয়েছে নেমারের ব্রাজিল এবং রোনাল্ডোর পর্তুগাল। সেরা হওয়ার দৌড়ে এখন আর্জেন্টিনা, ফ্রান্স, মরক্কো এবং ক্রোয়েশিয়া। তার মধ্যে মেসির আর্জেন্টিনা এবং লুকা মড্রিচের ক্রোয়েশিয়ার ভাগ্য পরীক্ষা রয়েছে মঙ্গলবার রাতেই। একটি দল জিতে নেবে বিশ্বসেরার তকমা। সে দেশের মাথায় উঠবে বিশ্বকাপের মুকুট। সেরা এবং সেরার থেকে এক-দু’পা পিছিয়ে থাকা দলগুলি পুরস্কার হিসাবে কত টাকা করে পাবে? কত টাকা পাবে বেশ কয়েক ধাপ পিছিয়ে থাকা দলগুলি?
ফুটবল বিশ্বকাপের সেরাদের পুরস্কার অর্থ আমাদের দেশের আইপিএল বা ক্রিকেট বিশ্বকাপ জেতা দলগুলির প্রাপ্ত টাকা থেকে কতটা বেশি বা কম?
বিশ্ব ফুটবলের নিয়ামক সংস্থা ‘ফিফা’ এই বছরের শুরুতে বিশ্বকাপের মোট পুরস্কার হিসাবে প্রায় ৩৬৪০ কোটি টাকা (৪৪০ মিলিয়ন ডলার) দেওয়ার কথা জানিয়েছিল।
এর মধ্যে সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেওয়া দল পাবে ২০৬ কোটি টাকা (২৫ মিলিয়ন ডলার) করে।
চতুর্থ স্থান অর্জনকারী দল আবার আলাদা করে ২০৬ কোটি টাকা আয় করবে।
বিশ্বকাপে যে দল তৃতীয় স্থান অর্জন করবে, তারা পাবে ২২৩ কোটি টাকা (২৭ মিলিয়ন ডলার)।
রানার্স, অর্থাৎ দ্বিতীয় স্থানে থাকা দল পাবে ২৪৮ কোটি টাকা (৩০ মিলিয়ন ডলার)।
আর সেরার সেরা দল? বিশ্বকাপের তাজ মাথায় পরার পাশাপাশি বিজয়ী দলের হাতে আসবে ৩৪৭ কোটি টাকা (৪২ মিলিয়ন ডলার)।
কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নেওয়া দলগুলি অর্থাৎ, ব্রাজিল, পর্তুগাল, নেদারল্যান্ডস এবং ইংল্যান্ড ১৪০ কোটি টাকা (১৭ মিলিয়ন ডলার) করে পাবে।
প্রি-কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা প্রত্যেক দল ফিফার কাছ থেকে পাবে ১০৭ কোটি (১৩ মিলিয়ন ডলার) করে।
অন্য দিকে ফিফার পুরস্কার অর্থ থেকে বাদ যাবে না গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে যাওয়া দলগুলিও। এই দলগুলি ৭৪ কোটি টাকা (৯ মিলিয়ন ডলার) করে পাবে।
হিসাব বলছে ফুটবল বিশ্বকাপে খেলা দলগুলিকে যে টাকা পুরস্কার হিসাবে দেওয়া হয়, তার থেকে অনেক কম টাকা দেওয়া হয় ক্রিকেট বিশ্বকাপ খেলা বা আইপিএল খেলা দলগুলিকে।
২০১৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপ জেতা ইংল্যান্ড পেয়েছিল ২৮.৬ কোটি টাকা (৪ মিলিয়ন ডলার)। দ্বিতীয় স্থানে থাকা নিউজিল্যান্ড পেয়েছিল প্রায় ১৫ কোটি টাকা।
২০১৯ সালের আগে এই টাকার অঙ্ক ছিল আরও কম। ২০১৫ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়নের পুরস্কারের অঙ্ক ছিল ২৫ কোটি টাকার কাছাকাছি। সেই টাকা পেয়েছিল অস্ট্রেলিয়া।
হিসাব অনুযায়ী, ২০০৮ থেকে শুরু হওয়া আইপিএলের সেরা দলগুলির প্রাপ্ত নগদ পুরস্কারের পরিমাণ আরও কম।
২০০৮ সালে আইপিএল শুরুর বছর চ্যাম্পিয়ন হয়ে রাজস্থান রয়্যালস্ পেয়েছিল মাত্র ৪.৮ কোটি। সেই অঙ্ক বহু বার বেড়ে এখন এসে পৌঁছেছে ২০ কোটিতে।
২০২১ সালে আইপিএল জয়ী চেন্নাই সুপার কিংস্ এবং ২০২২ সালের গুজরাত টাইটানস্ বিজেতার পুরস্কার হিসাবে ২০ কোটি টাকা করে পেয়েছিল। যা ফুটবল বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকে ছিটকে যাওয়া দলগুলির প্রাপ্ত টাকার থেকেও কম।