সামনেই লোকসভা নির্বাচন। সেই আবহে বিজেপির বিরুদ্ধে নয়া অভিযোগ! নেপথ্যে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা ‘আম আদমি পার্টি’ (আপ)-র প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়াল। তাঁর দলের বিধায়কদের কিনে সরকার ফেলতে চাইছে বিজেপি, এমনই অভিযোগ অরবিন্দের।
শনিবার এই অভিযোগ এনে তিনি বলেন, ‘‘আমাদের দলের সাত জন বিধায়কের দলবদলের জন্য বিজেপির তরফে ২৫ কোটি টাকা করে দেওয়ার প্রস্তাব এসেছে।’’
টেলিফোনে আপ বিধায়কদের বিজেপির তরফে দেওয়া ঘুষের প্রস্তাব ‘রেকর্ড’ করা হয়েছে বলেও দাবি করেছেন কেজরীওয়াল।
এর আগে মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যে বিরোধীদের পরিচালিত সরকার ভাঙা নিয়ে বিজেপিকে দুষেওছেন।
সেই সঙ্গে আপ প্রধানের প্রশ্ন, রাজ্যে রাজ্যে ‘অপারেশন পদ্ম’-র জন্য বিপুল পরিমাণ টাকা কোথা থেকে পাচ্ছে নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের দল?
৭০ আসনের দিল্লি বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণের ‘জাদু সংখ্যা’ ৩৬। আপের বিধায়ক ৬২ জন। বিজেপির মাত্র আট।
মাত্র সাত জন বিধায়কে কিনে বিজেপি কী ভাবে সরকারের পতন ঘটাবে, সে বিষয়ে কোনও ‘ব্যাখ্যা’ অবশ্য মেলেনি আপ প্রধানের তরফে।
বছরখানেক আগে কেজরী দাবি করেছিলেন, পঞ্জাবের ১০ জন আপ বিধায়ককে কেনার চেষ্টা করছে বিজেপি। যদিও পরবর্তী সময়ে তেমন কোনও ‘তৎপরতা’র আঁচ দেখা যায়নি।
ইতিমধ্যেই লোকসভা ভোটে বাংলায় তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘একলা চলো’ নীতির জন্য কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরীকে দুষেছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালের আম আদমি পার্টি (আপ)।
চলতি সপ্তাহের বুধবার দিল্লির মন্ত্রী তথা আপ নেতা সৌরভ ভরদ্বাজ জানান, লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর যে কায়দায় ধারাবাহিক ভাবে তৃণমূলকে নিশানা করে চলেছেন তাতে বাংলায় দু’দলের সমঝোতা হওয়া কঠিন। এই নিয়ে সরগরম ‘ইন্ডিয়া’ জোটের অন্দরমহল।