অক্ষয় কুমার থেকে বোমান ইরানি, আরশাদ ওয়ারসি— বলিপাড়ার একাধিক অভিনেতা অভিনয়জগতে আসার আগে নানা রকম পেশায় ছিলেন। কেউ চা বিক্রি করতেন, কেউ আবার দরজায় দরজায় গিয়ে বিক্রি করতেন নানা ধরনের প্রসাধনী। তালিকায় রয়েছে আরও বলি তারকার নাম।
নব্বইয়ের দশক থেকে বলিউডের সর্বোচ্চ উপার্জনকারী অভিনেতাদের তালিকায় নাম লিখিয়ে ফেলেছেন অক্ষয় কুমার। কিন্তু অভিনয়ে নামার আগে নানা ধরনের কাজ করতেন তিনি।
বলিপাড়া সূত্রে খবর, গয়নার দোকানে কাজ করতেন অক্ষয়। তার পর হোটেলে খাবার পরিবেশনের কাজও করেছেন তিনি।
হিন্দি ফিল্মজগতের কৌতুকাভিনেতা হিসাবে জনপ্রিয় আরশাদ ওয়ারসি। ‘মুন্নাভাই এমবিবিএস’-এর সার্কিট অভিনয় শুরুর আগে দরজায় দরজায় গিয়ে প্রসাধনী বিক্রি করতেন।
ছোটবেলা থেকে অর্থাভাবে দিন কেটেছিল বলি অভিনেতা বোমান ইরানির। মায়ের সঙ্গে একটি বেকারির দোকানে চা এবং কেক বিক্রি করতেন তিনি।
ছবি তোলার শখ ছিল বোমানের। মুম্বইয়ে এক খ্যাতনামী আলোকচিত্রীর সঙ্গে কাজ করেছিলেন তিনি। তার পর ছবি তুলেও উপার্জন করতে শুরু করেন।
‘রং দে বসন্তি’ এবং ‘ভাগ মিলখা ভাগ’-এর মতো জনপ্রিয় ছবি রয়েছে রাকেশ ওমপ্রকাশ মেহরার কেরিয়ারের ঝুলিতে। বলিপাড়ার অন্যতম খ্যাতনামী পরিচালক এবং প্রযোজক হিসাবে পরিচিতি গড়ে তুলেছেন তিনি। কিন্তু হিন্দি ফিল্মজগতে আসার আগে অন্য পেশায় ছিলেন রাকেশ।
বলিপাড়া সূত্রে খবর, ছবিনির্মাণের ক্ষেত্রে আসার আগে চা বিক্রি করতেন রাকেশ। এমনকি রোজগারের প্রয়োজনে ভ্যাকিউম ক্লিনারও বিক্রি করতে হয়েছে তাঁকে।
শুধু হিন্দি ফিল্মজগতেই নয়, দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতেও এমন অভিনেতা রয়েছেন যাঁরা অর্থাভাবের মধ্যে দিন কাটিয়েও ধাপে ধাপে নিজের স্বপ্নপূরণ করেছেন।
দক্ষিণী ফিল্মজগতের জনপ্রিয় অভিনেতা রজনীকান্তের প্রথম জীবন সম্পর্কে কমবেশি অনেকেই জানেন। অভিনয়ে আসার আগে তিনি বাসের কন্ডাক্টর ছিলেন।
তামিল ইন্ডাস্ট্রির প্রথম সারির অভিনেতাদের মধ্যে নাম রয়েছে অজিত কুমারের। নব্বইয়ের দশক থেকে অভিনয় নিয়ে কেরিয়ার গড়ে তুলেছেন তিনি।
কানাঘুষো শোনা যায়, অভিনয়ে নামার আগে শাড়ি, জামাকাপড় বিক্রি করতেন অজিত। তাঁর বন্ধুর কাপড়ের ব্যবসা ছিল। সেখানেই কাজ করতেন তিনি। পরে সেই সংস্থার ‘সেল্স’ শাখায় কাজ করেন অভিনেতা।