কানাডা থেকে সাম্মানিক নাগরিকত্ব পেয়েছিলেন বলি অভিনেতা অক্ষয় কুমার। বিদেশি নাগরিকত্ব বর্জন করার পর ৭৭তম স্বাধীনতা দিবসে ভারতীয় নাগরিকত্ব ফিরে পেলেন অক্ষয়।
এক দিকে নাগরিকত্ব ফিরে পাওয়ার আনন্দ, অন্য দিকে সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ছবির প্রশংসা— অক্ষয়ের সময় যে ভাল যাচ্ছে, তা নিয়ে সন্দেহ নেই। কিন্তু এর মাঝেই নায়কের ব্যক্তিগত অতীত জীবনে উঁকিঝুঁকি মারা শুরু হয়েছে বলিপাড়ায়।
বলিউডের একাধিক অভিনেত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক, বিচ্ছেদ এমনকি হিন্দি ফিল্মজগতের এক নায়িকার সঙ্গে গোপনে বাগ্দান পর্বও সেরে ফেলেছিলেন অক্ষয়। তা খোদ স্বীকার করেছেন অভিনেত্রীও।
নব্বইয়ের দশকে বলিপাড়ায় চর্চায় এসেছিল অক্ষয় কুমার এবং রবিনা টন্ডনের জুটি। শুধু বড় পর্দার সামনেই নয়, ক্যামেরার পিছনেও তাঁদের সম্পর্কের রসায়ন নিয়ে কম আলোচনা হত না।
১৯৯৪ সালে ‘মোহরা’ ছবিটি মুক্তির পাশাপাশি অক্ষয় এবং রবিনার প্রেমকাহিনি নিয়েও আলোচনা শুরু হয়। কানাঘুষো শোনা যেতে থাকে যে, দুই তারকা গোপনে আংটিবদলও করে ফেলেছেন। তবে তাঁরা গাঁটছড়া বাঁধলেন না কেন?
এক পুরনো সাক্ষাৎকারে অক্ষয়ের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে রবিনাকে প্রশ্ন করা হলে অভিনেত্রী বলেন, ‘‘আজকাল কলেজের মেয়েরা প্রতি সপ্তাহে তাঁদের প্রেমিক বদলায়। কবে, কখন এক বার আংটিবদল হয়েছিল। আরে, লোকে তো নিজেদের জীবনে এগিয়ে যায়, না কি?’’
রবিনা জানান, দুই পরিবারের উপস্থিতিতে অক্ষয়ের সঙ্গে আংটিবদল হয়েছিল তাঁর। কিন্তু অক্ষয় তা গোপন রাখতে চেয়েছিলেন। এমনকি রবিনা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলেন যে, বিয়ের পর অভিনয় ছেড়ে দেবেন তিনি।
অক্ষয়ের প্রসঙ্গে রবিনা বলেন, ‘‘অক্ষয় এতগুলো মেয়েকে প্রেম নিবেদন করেছিল যে, তার হিসাব রাখা কঠিন হয়ে যেত। মুম্বইয়ে যত তরুণী রয়েছেন, তাঁদের তিন-চতুর্থাংশ তরুণীর বাবা-মাকেই হয় তো অক্ষয় নিজের বাবা-মা বলে সম্বোধন করত।’’
বলিপাড়ায় কানাঘুষো শোনা যায়, কেরিয়ার এবং সংসারের মধ্যে রবিনাকে যে কোনও একটি বেছে নিতে বলেছিলেন অক্ষয়। বাগ্দানের সময় রবিনা অভিনয়জগৎ থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু অক্ষয়ের আচরণ দেখে অভিনেত্রীর সিদ্ধান্তে বদল আসে।
রবিনা জানান, অক্ষয় নাকি একাধিক বার পরকীয়ায় জড়িয়েছিলেন। পরে আবার সে কারণে রবিনার কাছে গিয়ে ক্ষমাও চাইতেন অভিনেতা। রবিনা বলেন, ‘‘তিন বছর একই ভাবে কাটিয়েছি। সম্পর্কে বিশ্বাসঘাতকতা আমার পছন্দ নয়। কিন্তু আমি সেটাই পেয়েছি। আমাকে বিয়ে করতে চেয়েছিল ও। কিন্তু আমি একই ভুলের পুনরাবৃত্তি করিনি। নিজের পেশাকেই বেছে নিয়েছিলাম আমি।’’
বলিপাড়ার অন্দরমহল সূত্রে জানা যায়, রবিনার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর নাকি রবিনার মতো দেখতে মহিলাদের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর চেষ্টা করতেন অক্ষয়।
বর্ষীয়ান অভিনেত্রী রেখার সঙ্গেও নাকি সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন অক্ষয়। পরে নাকি রেখার সঙ্গেও বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন অভিনেতা।
বলিপাড়ায় কানাঘুষো শোনা যায়, বলি অভিনেত্রী শিল্পা শেট্টির সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন অক্ষয়। সে কারণেই রেখার সঙ্গে অভিনেতার সম্পর্ক ভেঙে যায়।
২০০১ সালে বলি অভিনেত্রী টুইঙ্কল খন্নার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন অক্ষয়। বর্তমানে ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর পরিচয় ‘ফ্যামিলি ম্যান’ হিসাবে গড়ে উঠলেও, তিনি যে এককালে বলিউডের ‘ক্যাসানোভা’ ছিলেন সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।