সাময়িক বিরতির পর আবার বড় পর্দায় হাজির হবেন বলি অভিনেতা নানা পাটেকর। বিবেক অগ্নিহোত্রী পরিচালিত ‘দ্য ভ্যাকসিন ওয়ার’ ছবিতে অভিনয় করতে দেখা যাবে নানাকে। কিন্তু ছবির প্রচারের মুখে নিজের শেষকৃত্য নিয়ে হঠাৎ আলোচনা করলেন অভিনেতা।
ছবির প্রথম ঝলক প্রকাশের পর প্রশংসা কুড়িয়েছেন নানা। ছবি প্রসঙ্গে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় জীবন এবং মৃত্যু নিয়ে কথা বলেন তিনি।
সাক্ষাৎকারে নানা জানান, জীবন নিয়ে কোনও রকম ভুল ধারণা পোষণ করেন না তিনি। কোনও রকম কৃত্রিমতায় বিশ্বাসী নন অভিনেতা।
নানার দাবি, জীবনের আসল সত্য বুঝে গিয়েছেন তিনি। খুব সাধারণ ভাবে জীবনযাপন করেন নানা। জীবনে চলার পথে কিছু নীতিও মেনে চলেন তিনি।
নানা জানান যে তিনি মৃত্যুকে বিশ্বাস করেন, তাই জীবনের সত্য বোঝেন। নিজের শেষকৃত্য নিয়েও মন্তব্য করেন অভিনেতা।
নানা বলেন, ‘‘মৃত্যুর সময় ১২ মন ওজনের কাঠ লাগবে। শেষকালে এইটুকু সম্পত্তিই থাকবে আমার কাছে। সেই কাঠও আমি সংগ্রহ করে রেখেছি।’’
কাঠের প্রকৃতি নিয়েও আলোচনা করেন নানা। অভিনেতা বলেন, ‘‘আমার শেষকৃত্যের সময় যেন একেবারে শুকনো কাঠ ব্যবহার করা হয়। আমার এটুকুই ইচ্ছা। আমার দেহ পোড়ানোর সময় ভুল করেও যেন ভেজা কাঠ ব্যবহার করা না হয়।’’
শেষকৃত্যের মুহূর্তে ভেজা কাঠ ব্যবহারের মধ্যেও জীবনদর্শন খুঁজে পান নানা। অভিনেতার দাবি, ভেজা কাঠ দিয়ে দেহ পোড়ালে প্রচুর ধোঁয়া হবে। ধোঁয়ার কারণে অনেকের সমস্যা হবে।
নানা জানান, তাঁর শেষকৃত্যের সময় যাঁরা সেখানে উপস্থিত থাকবেন তাঁদের চোখে ধোঁয়া লাগার ফলে জল পড়তে শুরু করবে। কে আদতে কাঁদছেন তা বোঝা যাবে না।
নানার দাবি, বর্তমানে দুনিয়া কৃত্রিমতায় ভরে গিয়েছে। আসল-নকলের পার্থক্য খুব সহজে বোঝা যায় না।
মৃত্যুর সময় কোনও রকম কৃত্রিমতা চান না নানা। সাক্ষাৎকারে এমনটাই দাবি করলেন তিনি।
নানা বলেন, ‘‘আমার মৃতদেহ পোড়ানোর সময় হয়তো কারও চোখে ধোঁয়া লেগে গেল। তাঁর চোখ ছলছল করে উঠল। সেখানে উপস্থিত বাকিরা ভাবতেই পারেন যে মৃত্যুশোকে কাঁদছেন। এই ঘটনা ঘটুক তা আমি একেবারেই চাই না।’’
নানার মন্তব্য, ‘‘মারা যাওয়ার দু’-চার দিন পর কেউ আপনাকে আর মনে রাখবে না। আমার মৃত্যুর পর যেন কেউ আমার ছবি না লাগায়, পরিবারের সকলকে এমন নির্দেশই দিয়ে রেখেছি আমি।’’