অমিতাভ বচ্চন থেকে শাহরুখ খান— বড় পর্দায় ‘ডন’-এর চরিত্রে অভিনয় করে বলিপাড়ার সেরা খলনায়কের তালিকায় নাম লিখিয়ে ফেলেছিলেন তাঁরা। কিন্তু বলিউডজগতের একাংশের মতে খলনায়কের তালিকায় এগিয়ে রয়েছেন বলি অভিনেতা অজিত খান ওরফে হামিদ আলি খান।
১৯৭৩ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছিল প্রকাশ মেহরা পরিচালিত ‘জঞ্জীর’ ছবিটি। এই ছবিতে অজিতের পাশাপাশি অভিনয় করেছিলেন অমিতাভ বচ্চন, প্রাণ, জয়া বচ্চনের মতো বলি তারকারা।
‘জঞ্জীর’ ছবিটি অমিতাভের কেরিয়ারে একটি মাইলফলক। ইনস্পেক্টর বিজয় খন্নার চরিত্রে অমিতাভের অভিনয় পছন্দ হয়েছিল দর্শকের।
‘জঞ্জীর’ ছবিতে ডনের চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন অজিত। সেটে উপস্থিত কেউ কেউ তাঁকে জিজ্ঞাসা করতেন যে তিনি ডনের মতো নিখুঁত চালচলন রপ্ত করলেন কী করে? ডনেরা কি সত্যিই এ রকম হন? এই প্রশ্ন থাকত অনেকের।
আসলে অনেকেই জানতেন না যে বড় পর্দায় নিজের চরিত্র নিখুঁত ভাবে ফুটিয়ে তুলতে এক জন আসল ডনের সঙ্গে দিনের পর দিন সময় কাটিয়েছিলেন অজিত।
‘জঞ্জীর’ ছবির চিত্রনাট্য রচনার দায়িত্বে ছিলেন সেলিম খান এবং জাভেদ আখতারের জুটি। তাঁরা একত্রে সেলিম-জাভেদ জুটি নামে অধিক পরিচিত।
বলিপাড়ায় কানাঘুষো শোনা যায়, সেলিমের সঙ্গে নাকি যোগাযোগ ছিল এক ডনের।
সেলিমের যোগসূত্রে সেই ডনের সঙ্গে দেখা করতে যান অজিত। সেলিম নিজে থেকেই অজিতের সঙ্গে ওই ডনের দেখা করিয়ে দেন বলেও শোনা যায়।
অজিত জানান, সিনেমায় যেমন দেখানো হয় যে কথায় কথায় খলনায়কেরা, বিশেষত ডনেরা খুব চিৎকার করেন, আদতে তা হয় না।
ডনের বাড়িতে গিয়ে অনেকটা সময় কাটান অজিত। ডনেরা কী ভাবে হাঁটাচলা করেন, তাঁদের হাবভাব কী রকম সবই আসল ডনের সঙ্গে থেকে রপ্ত করেন অজিত।
ডনের সঙ্গে কিছু দিন সময় কাটানোর পর শুটিংয়ে ফেরেন অজিত।
‘জঞ্জীর’ ছবিতে খলনায়কের চরিত্রে নিখুঁত অভিনয় করেন অজিত। বলিপাড়ায় কানাঘুষো শোনা যায়, সেলিমের দৌলতে ডনের সঙ্গে আলাপ হয়েছিল বলেই ‘জঞ্জীর’ ছবিতে নিজের শ্রেষ্ঠ অভিনয় করেছেন অজিত।