বলি অভিনেতা অভিষেক বচ্চন এবং জন আব্রাহাম বড় পর্দায় কখনও চোর-পুলিশের ভূমিকায় তো কখনও সমকামী প্রেমিকের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। ২০০৪ সাল থেকে বন্ধুত্ব রয়েছে দুই তারকার।
সেই অভিষেকই দাবি করলেন, জন নাকি ভুল করে অভিনয়ের পেশায় চলে এসেছেন। তিনি যদি পেশায় ‘মেকানিক’ হতেন তা হলে ভাল হত বলেও মন্তব্য করেন অমিতাভ-পুত্র। জনের সম্পর্কে হঠাৎ এমন মন্তব্য কেন করলেন অভিষেক?
২০০৪ সালে যশরাজ ফিল্মসের প্রযোজনায় ‘ধুম’ ছবিতে প্রথম একসঙ্গে অভিনয় করেছিলেন জন এবং অভিষেক। জনকে দেখা গিয়েছিল চোরের ভূমিকায়। পুলিশের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন অভিষেক।
‘ধুম’ ছবির পর চার বছরের বিরতি। ২০০৮ সালে আবার বড় পর্দায় একসঙ্গে অভিনয় করেছিলেন জন এবং অভিষেক। কর্ণ জোহরের প্রযোজনায় ‘দোস্তানা’ ছবিতে দুই তারকাকে একসঙ্গে জুটি বাঁধতে দেখা গিয়েছিল।
বলিপাড়ার অন্দরমহল সূত্রে খবর, ‘দোস্তানা’ ছবির শুটিংয়ের সময় জন এবং অভিষেকের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছিল। সেই বন্ধুত্ব এখনও বজায় রয়েছে বলেও জানা যায়।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিষেককে প্রশ্ন করা হয় যে, বাইক সম্পর্কে তাঁর কী ধারণা রয়েছে? অভিষেক সেই প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘‘আমার কোনও ধারণা নেই। কিন্তু আমার এক বন্ধু রয়েছে জন আব্রাহাম। এই বিষয়ে ওর অগাধ জ্ঞান রয়েছে।’’
অভিষেক বলেন, ‘‘জন ভুল পেশায় চলে এসেছে। অভিনেতা না হয়ে ও যদি মেকানিক হত, তা হলে জীবনে অনেক উন্নতি করত।’’
অভিষেক জানান, বাইকের প্রতি জনের ভালবাসা অগাধ। বাইক সংগ্রহের শখ রয়েছে তাঁর।
বাইক কেনার পর তার সমস্ত যন্ত্রপাতি খুলে আবার জুড়ে ফেলেন জন। বাইক মেরামতেও জনের হাত নিপুণ। এমনটাই দাবি করেন অভিষেক।
বাইক নিয়ে জনের জ্ঞান অগাধ বলেও জানান অভিষেক। জন সারা দিন বাইক নিয়েই সময় কাটিয়ে দিতে পারেন। এত দ্রুত এবং নিপুণ ভাবে জন বাইক সারাই করতে পারেন যা দেখে মনে হয় তিনি ‘মেকানিক’ হলেই ভাল হত। এমনটাই দাবি করেন বচ্চন-পুত্র।
বলিপাড়ায় কানাঘুষো শোনা যায়, বিলাসবহুল গাড়ির পরিবর্তে বাইকে যাতায়াতের মাধ্যমেই স্বচ্ছন্দবোধ করেন জন।
অনেক সময় গণ পরিবহণ ব্যবহার করতেও দেখা যায় জনকে। জন এক পুরনো সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘‘আমার বাবা সাধারণ ভাবে জীবন যাপন করার পক্ষে ছিলেন। বাবাকে দেখে আমিও সে ভাবেই বাঁচার চেষ্টা করি।’’
চলতি বছরে ‘পাঠান’ ছবিতে খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করে বহুল প্রশংসা কুড়িয়েছেন জন।