অবশেষে বিয়েটা সেরেই ফেললেন অভিনেত্রী সায়নী দত্ত। গত মাস তিনেক ধরে তাঁরই বিয়ের প্রস্তুতির কথা শোনা যাচ্ছিল।
আনন্দবাজার অনলাইনকে সায়নী আগেই জানিয়েছিলেন, পঞ্জাবি মতে বিয়ে করবেন তিনি। সেই মতো ফোর্ট উইলিয়ামের ভিতর গুরুদ্বারে বিয়ে করলেন অভিনেত্রী। ভিন্টেজ গাড়িতে করে এলেন সায়নীর বর।
পরিবারের লোকজন এবং ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের উপস্থিতিতে বিয়ে সারলেন তিনি। ডিজ়াইনার লাল লেহঙ্গায় সেজেছিলেন নায়িকা। সেই সঙ্গে ছিল মানানসই সোনার গয়না।
অন্য দিকে, সায়নীর স্বামী গুরবিন্দরজিৎ সমরার পরনে ছিল সাদা রঙের শেরওয়ানি এবং মাথায় লাল পাগড়ি। দু’জনের মুখেই দেখা গেল হালকা হাসি। শুক্রবার শুধু মাত্র ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে সময় কাটাবেন বলে ঠিক করেছেন নবদম্পতি।
পার্ক স্ট্রিটের একটি হোটেলে দুপুরে খাওয়াদাওয়ার আয়োজন করা হয়েছে। শুক্রবার অবশ্য টলিপাড়ার কেউ আসবেন না। সকলের জন্য বিশেষ আয়োজন করা হয়েছে ১৬ ডিসেম্বর, শনিবার। সব্যসাচী মুখোপাধ্যায়ের নকশা করা অরগ্যানজ়া শাড়িতে সাজবেন তিনি।
তবে সেই অনুষ্ঠানে থাকতে পারবেন না অভিনেতা আবীর চট্টোপাধ্যায়। শহরে থাকছেন না তিনি। তাই আবীর শুক্রবারই সায়নীর সঙ্গে দেখা করে গেলেন।
গত দু’দিন ধরে মেহন্দি, আইবুড়োভাত, গায়েহলুদ ধুমধাম করে পালন করেছেন নায়িকা। পরিকল্পনা মতোই বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হচ্ছে সায়নীর।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেওয়া শাড়ি পরে আইবুড়োভাত খেয়েছেন সায়নী। মেনুতে যেমন বেক্ড ফিশ ছিল, তেমনই আবার সায়নীর জন্য ছিল বাঙালি খাবারের আয়োজন। লন্ডন থেকে হবু স্বামী এসে পড়েছিলেন আগেই। একসঙ্গে ফ্রেমবন্দি হলেন হবু বর-কনে।
গায়ে হলুদের আগে হলুদ রঙের জামদানিতে সেজেছিলেন অভিনেত্রী। গুরবিন্দরজিতের পরনে ছিল হলুদ পাঞ্জাবি।
ভাইপোর সঙ্গে আদুরে ছবি, আইবুড়োভাত, গায়েহলুদের বিভিন্ন মুহূর্ত আনন্দবাজার অনলাইনের সঙ্গে ভাগ করে নিলেন নায়িকা।
আনন্দবাজার অনলাইনকে সায়নী বলেন, “বিরিয়ানি, বেক্ড ফিশ— অনেক কিছুই ছিল মেনুতে। আমি খুব বেশি খেতে পারিনি বুধবার। তবে বৃহস্পতিবার প্রচুর বিরিয়ানি খেয়েছি। অনেক দিন খাওয়া হয় না। যদিও আমি এই খাবারটা একটু এড়িয়েই চলি। তবু প্রচুর খেয়েছি। আমি খুব উত্তেজিত। দারুণ লাগছে। সবাই এসেছে। বন্ধুরাও সবাই আছে।”
১৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠানের পর ২২ ডিসেম্বর মুম্বইয়ে আরও একটি রিসেপশন হওয়ার কথা। বিয়ের পর তিনি মূলত লন্ডনেই থাকবেন। তবে ভাল কাজের সুযোগ এলে নিশ্চয়ই করবেন। নায়িকা জানান, বছরে একটা ভাল কাজ করতে পারলেই তিনি খুশি।