শনিবার ভারতীয় সময় রাতে বিরাট কোহলির একটি ভিডিয়ো কল। উল্টো পারে যে স্ত্রী অনুষ্কা শর্মা, সেটা বিরাটকে দেখেই বোঝা যাচ্ছিল। কিন্তু যেটা বোঝা যায়নি, সেটা হল শনি-রাতে বিরাটকে এই রূপে দেখা যাবে। বিশ্বজয়ের আনন্দ, তৃপ্তি বলে কথা। সেই অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ তো চেনা মেজাজে না হওয়াই স্বাভাবিক।
বিরাটের হাতে আইফোন। মুখের হাসি বুঝিয়ে দিল, ও পারে শুধু অনুষ্কা নন, নিশ্চয়ই আছে পুত্র অকায় ও কন্যা ভামিকা। কী করছে তারা? জানা যায়নি। শুধু এটুকু বোঝা গিয়েছে তাদের কাণ্ড দেখে মাথায় হাত বিরাটের।
তার পরেই বিরাটের ট্যারা চোখ। জিভ বেরিয়ে গিয়েছে। গোটা বিশ্ব দেখল, সন্তানদের সঙ্গে বাড়িতে কী ভাবে মজা করেন বিরাট।
বিশ্বকাপ ফাইনালে ম্যাচের সেরার হালুম। মোবাইলটা মুখের সামনে থেকে একটু দূরে নিয়ে গিয়ে হালুম করছেন বিরাট। যে ডান হাতে ক্রিকেটবিশ্ব শাসন করেন, সেই হাত তখন বাঘের থাবা। সবার প্রশ্ন, তাঁর মোবাইল স্ক্রিনে তখন কে, অকায় না ভামিকা?
‘খেলা’ শেষে বিরাট তখন হাঁটু মুড়ে বসে। খানিক শান্ত। উচ্ছ্বাসটা চাপা। বাঁ হাতে চুমু ছুড়ছেন। চোখে-মুখে আর দুষ্টুমি নয়, বরং প্রেম। এ বার নিশ্চিত ভাবেই এসে গিয়েছেন অনুষ্কা।
অনুষ্কাও বুঝি চুমু ছুড়ছেন। বিরাটের শান্ত হাসি যে সে কথাই বুঝিয়ে দিচ্ছে।
এ বার কি ভামিকা, অকায় দুষ্টুমি শুরু করে দিয়েছে? প্রাণপণে দৌড়চ্ছে তারা? আর কী দেখে হাসিমুখ বিরাটের মাথায় হাত উঠবে?
সন্তানদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন কি অনুষ্কা? স্ত্রীর হার দেখে বিরাটের হাসি তো থামছেই না।
বিরাটও এ পার থেকে সামলানোর চেষ্টা করছেন হয়তো। বোঝানোর চেষ্টা করছেন সন্তানদের। পারছেন না। যত ব্যর্থ হচ্ছেন, তত চওড়া হচ্ছে হাসি। বিশ্বকাপ ফাইনালে জেতার তৃপ্তি যতটা, এই খেলায় হেরে যাওয়ার তৃপ্তি যে তার থেকে বেশি।