দাম্পত্য কলহ তো প্রায় সব সংসারেই কমবেশি লেগে থাকে। বহু দম্পতির মধ্যেকার বিবাদ আবার আদালত পর্যন্ত গড়ায়।
তবে স্বামী-স্ত্রী আদালতে গিয়ে নিজেদের মধ্যে ৬০ বার মামলা ঠোকাঠুকি করেছেন, এমন বড় একটা শোনা যায় না।
সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের একটি মামলার শুনানির সময় জানা গিয়েছে এমনই এক দম্পতির কথা। যাঁরা একে অপরের বিরুদ্ধে ৬০ বার মামলা রুজু করেছেন।
যদিও তাঁদের 'দম্পতি' বলাটা কতটা যুক্তিসঙ্গত, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। কারণ, আইনি পথে বিবাহ বিচ্ছেদ না হলেও গত ১১ বছর ধরেই আলাদা রয়েছেন তাঁরা। তার আগে অবশ্য ৩০ বছর এক ছাদের তলায় সংসার করেছেন এই যুগল।
৪১ বছরের মধ্যে ৬০ বার আইনি লড়াইয়ের আদালতে একে অপরকে টেনে এনেছেন স্বামী-স্ত্রী! বুধবার তাঁদের এ হেন কীর্তির খবর জায়গা করে নিয়েছে দেশের বহু সংবাদমাধ্যমে।
সুপ্রিম কোর্টে গড়ানো মামলায় ওই দম্পতির নাম-পরিচয় অবশ্য গোপন রাখা হয়েছে। তবে সংবাদমাধ্যমে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তা নিয়ে তুমুল হইচই পড়ে গিয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টে ওই মহিলা এবং তাঁর স্বামীর একটি মামলার শুনানি চলছিল প্রধান বিচারপতি এনভি রমণার নেতৃত্বাধীন একটি বেঞ্চে। তাতে রয়েছেন বিচারপতি কৃষ্ণ মুরারি এবং বিচারপতি হিমা কোহলী।
মামলার শুনানির সময় ওই মহিলা এবং তাঁর স্বামীর আইনি লড়াইয়ের ইতিহাস জেনে হতবাক বিচারপতিরাও।
একে অপরের বিরুদ্ধে এত বার আইনি লড়াই করেছেন! সব শুনে বিস্ময় চেপে রাখতে পারেননি বিচারপতিরা। শুনানির সময় কী মন্তব্য করেছেন তাঁরা?
বিচারপতিদের মন্তব্য, ‘‘কী আর করা যাবে! কিছু মানুষজন কেবলমাত্র ঝগড়াঝাঁটি করতেই ভালবাসেন! তাঁরা সব সময়ই আদালতে থাকতে চান। নিজেদের আদালতে না দেখলে যেন ঘুম আসে না!’’
তবে শুধুমাত্র ওই মহিলা এবং তাঁর স্বামীকে কটাক্ষ করে থেমে থাকেননি বিচারপতিরা। তাঁদের আইনজীবীরা যে সততার সঙ্গে নিজেদের কাজ করছেন না, সে কথাও মনে করছে আদালত।
এই যুগলেরর মধ্যে বিবাদ মেটাতে দাওয়াইও দিয়েছে শীর্ষ আদালত। ওই মহিলা এবং তাঁর স্বামীকে ধ্যান করার পরামর্শ দিয়েছেন বিচারপতিরা।