প্রতীকী ছবি
দেশের প্রান্তিক মানুষের কাছে উন্নত পরিষেবা পৌঁছে দিতে প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে ২০২৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর বিশ্বকর্মা পুজোর দিনে শুরু হয়েছিল বিশ্বকর্মা যোজনা প্রকল্প। প্রান্তিক এলাকায় যে সময়ে মানুষ ঐতিহ্যবাহী শিল্পের কাজ করে চলেছে, তাঁদের কর্মপদ্ধতি এবং জীবনযাপনের মানোন্নয়ন, কাজের আধুনিকীকরণ এবং কাজের স্বীকৃতি দিতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই বিশেষ প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন। এই স্কিমের জন্যে ইতিমধ্যেই ১৩ হাজার কোটি টাকা মঞ্জুর করেছে কেন্দ্র।
প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা যোজনা কী?
পিএম বিশ্বকর্মা যোজনা হল একটি কেন্দ্রীয় খাতের প্রকল্প যা ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কুটিরশিল্প মন্ত্রকের পক্ষ থেকে চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্পটির মাধ্যমে কারিগর শ্রেণির মানুষদের জমানত মুক্ত ঋণ, দক্ষতার প্রশিক্ষণ, আধুনিক যন্ত্রপাতি বা সরঞ্জাম, ডিজিটাল লেনদেনের জন্য ইনসেন্টিভ এবং মার্কেট লিঙ্কেজ সাপোর্টের সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। এই উদ্যোগটির মাধ্যমে কারিগরদের প্রযুক্তিগত ভাবে উন্নত করে তোলার চেষ্টা হচ্ছে, যাতে তাঁদের দেশীয় এবং বিশ্বব্যাপী উন্নত বাজারের প্রতিযোগিতার জন্য সমর্থ করে তোলা যায়।
১৮ বছর বয়স হলেই এই স্কিমের জন্য আবেদন করা যায়। তবে যে শিল্পকর্মের নিরিখে আবেদন করা হবে, তাতে দক্ষতা থাকতে হবে। বর্তমানে মোট ১৮ ধরনের কারিগরদের এই সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে। এর মধ্যে ছুতোর, নৌকা প্রস্তুতকারী, কামার, স্বর্ণকার, চর্মকার, কুমোর, মূর্তিশিল্পী, রাজমিস্ত্রি, নাপিত, ধোপা, মালাকার, দর্জি, মাছ ধরার জাল প্রস্তুতকারকদের মতো পেশাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা যোজনার সুবিধা:
কারিগরদের তাঁদের নিজ নিজ কাজের দক্ষতার স্বীকৃতি হিসাবে একটি পিএম বিশ্বকর্মা সার্টিফিকেট প্রদান করা হবে। এছাড়াও তাঁরা পাবেন নির্দিষ্ট আইডি কার্ড।
দক্ষতার মূল্যায়নের পরে সুবিধাভোগীরা কাজের জন্য নির্দিষ্ট আধুনিক সরঞ্জাম-সহ একটি ১৫ টাকার টুলকিট ইনসেন্টিভ পাবেন।
প্রতিদিন ৫০০ টাকা স্টাইপেন্ড-সহ কারিগরদের একটি ৫-৭ দিনের প্রাথমিক দক্ষতার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এর মধ্যে আধুনিক সরঞ্জাম ব্যবহার, ডিজিটাল ও আর্থিক লেনদেন, ব্র্যান্ডিং, বিপণন, ঋণ-সহায়তা-সহ একাধিক বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
প্রাথমিক প্রশিক্ষণের পরে কারিগরেরা ১ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জমানত মুক্ত ঋণ পাওয়ার যোগ্য হয়ে উঠবেন। এ ক্ষেত্রে ১৮ মাসে ঋণ পরিশোধ করার সুবিধাও পাওয়া যাবে।
কী ভাবে রেজিস্ট্রেশন করবেন?
‘পিএম বিশ্বকর্মা পোর্টালে’ (PM Vishwakarma Portal) গিয়ে ‘হোম’ (Home) অপশনে ক্লিক করুন। এর পরে ‘হাউ টু রেজিস্ট্রার’ (How to Register) অপশনে ক্লিক করে মোবাইল নম্বর ভেরিফিকেশন এবং আধার কেওয়াইসি প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করুন। এ বার রেজিস্ট্রেশন ফর্মের জন্যে আবেদন করুন। এরপর পিএম বিশ্বকর্মা ডিজিটাল আইডি এবং সার্টিফিকেট ডাউনলোড করুন এবং স্কিমের অধীনে আপনার প্রয়োজনীয় সুবিধালাভের আবেদন নিশ্চিত করুন।
‘টাকা টক্’-এর প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘বন্ধন মিউচুয়াল ফান্ড’।
এই প্রতিবেদনটি ‘টাকা টক্’ ফিচারের অংশ।