সঞ্চয়ই উন্নতির ও স্থায়ী জীবনযাপনের সিঁড়ি। শুধু আয় আর ব্যয় নয়, টাকা জমাতে না পারলে ভাঁড়ার দিনের শেষে শূন্যই থেকে যাবে। এই মন্ত্রে বিশ্বাস করে প্রতি দিন বহু মানুষ টাকা জমানোর হিসাব কষে চলেছেন। পরিসংখ্যান বলছে, সঞ্চয়ের নিরিখে ছেলেদের থেকে অনেক পদক্ষেপে এগিয়ে রয়েছেন মেয়েরা।
বাস্তবিকই দেখা যায়, বিবাহিত দম্পতিদের ক্ষেত্রে টাকা জমানো, ব্যয় ইত্যাদির অনুপাত সঠিক ভাবে ধরে রেখে সংসারকে স্থায়ী রাখার দায়িত্ব বাড়ির কর্ত্রীর উপরেই বর্তায়। অনেক সময়ে তাঁরা উপার্জন না করলেও মাসের শুরুতে তাঁদের স্বামী চোখ বন্ধ করে মাইনের টাকা স্ত্রীয়ের হাতে তুলে নিশ্চিন্ত থাকেন।
এই চিত্র কেবল এ দেশেই নয়, বিদেশেও একই ভাবে মেয়েরা অনেক গুণে এগিয়ে থাকেন টাকা জমানো ও ঋণ শোধের নিরিখে। অথচ গড়ে ছেলেদের থেকে মেয়েরা আয়ের নিরিখে ২০ শতাংশ পিছিয়ে থাকেন।
যদিও সমীক্ষা বলছে এখন ছেলেরাও গুটিগুটি পায়ে মেয়েদের টেক্কা দিতে এগিয়ে এসেছেন সঞ্চয়ের পথে, তবে এই হিসাব নেহাতই কেজো ও খাতায় কলমে। সঞ্চয়ী মানসিকতার দিক থেকে মেয়েরা এখনও এগিয়ে।
অথচ আর্থিক উপদেষ্টাদের মতে, কেবল সঞ্চয়ের হিসাব বুঝলেই চলবে না, এগিয়ে চলা সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নিজেদের স্বার্থে আয় বাড়াতে হবে মেয়েদেরও। প্রয়োজন মতো ঝুঁকিও নিতে হবে।
সমীক্ষা বলছে, আয়ের নিরিখে পিছিয়ে থাকায় মেয়েরা নিজেদের রোজগারের টাকায় বেশি রিটার্নের আশায় ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগ করতে সাহস পান না। সেই দিক থেকে ছেলেরা অনেক সাহসী ও দু’পা এগিয়ে। ছেলেরা নিজেদের আয় বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে দরকারে ঝুঁকির প্রকল্পে লগ্নি করতেও পিছপা হন না। রিটার্ন যাই হোক না কেন, অনেক ক্ষেত্রেই লাভ পান তাঁরা।
বিশেষজ্ঞ ও উপদেষ্টাদের মতে, মেয়েদের হাতে টাকা বাড়ানোর এক মাত্র উপায় হল কেবল সুরক্ষিত প্রকল্পের ছত্রছায়ায় লুকিয়ে না থেকে, শেয়ার বাজার বা নতুন কোনও প্রকল্পকে যাচাই করে দরকার মতো ঝুঁকি নিয়েও বিনিয়োগ করা।
উপদেষ্টারা একবাক্যে বলেন, মেয়েদের টাকা বিনিয়োগ নিয়ে কোনও দ্বিমত নেই, কেবল ঝুঁকির কথা উঠলেই তাঁরা এক কথায় পিছিয়ে আসেন, এগোতে চান না।
তাই কেবল এক তরফা সঞ্চয়ের কথা না ভেবে ভাল রিটার্নের আশা থাকলে মেয়েদেরও ঝুঁকি নিতে শিখতে হবে।
‘টাকা টক্’-এর প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘বন্ধন মিউচুয়াল ফান্ড’।
(বিশেষজ্ঞদের কাছে সমাধান খুঁজতে সঞ্চয় নিয়ে আমাদের প্রশ্ন পাঠান — takatalk2023@abpdigital.in এই ঠিকানায় বা হোয়াটস অ্যাপ করুন এই নম্বরে — ৮৫৮৩৮৫৮৫৫২আপনার আয়, খরচ এবং সঞ্চয় জানাতে ভুলবেন না। পরিচয় গোপন রাখতে চাইলে অবশ্যই জানান।)