প্রতীকী চিত্র।
লোকে বলে ক্রেডিট কার্ড মানেই খারাপ। অনেকে তো ভয়েই ব্যবহার করতে চান না ক্রেডিট কার্ড। কিন্তু আজকের দুনিয়ায় হোটেলের মতো অনেক জায়গাই আছে যেখানে কিন্তু ক্রেডিট কার্ড ছাড়া আপনি অচল। একাধিক ক্রেডিট কার্ড? এতেও কিন্তু লাভ আছে। দেখে নেওয়া যাক ঠিক ব্যবহারের কয়েকটি লাভ।
• ব্যবহারের সময় জানুন: ক্রেডিট কার্ডে বিল ডেটের পর থেকে ৪৫ দিন পর্যন্ত আপনি কেনাকাটা করলে আপনার কোনও সুদ লাগবে না। তাই বিল ডেট মাথায় রাখলে আপনি কিন্তু জিনিস কিনতে ৪৫ দিন পর্যন্ত ঋণ পাচ্ছেন সুদ ছাড়া।
• সময়ের আগে বিলের টাকা মেটান: অনেকেই বিল মেটানোর জন্য শেষ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করেন। এতে অনেক সময় ক্রেডিট কার্ডের বিল সময়ে মেটানো হয় না। বাড়িতে বিপদ হতে পারে, ভুলে যেতে পারেন দিনটি। এতে আপনার ক্রেডিট রেটিং বাড়ে। কিন্তু যাঁরা সময়ে টাকা দেওয়া অভ্যাস করে ফেলেছেন, তাঁদের কিন্তু ঋণের যোগ্যতা বেড়ে যায়। এতে কম সুদে ব্যক্তিগত ঋণ পাওয়ার সুযোগও পাওয়া যায়।
• রিওয়ার্ড থেকেও লাভ: ক্রেডিট কার্ডে কেনাকেটা করলে রিওয়ার্ড পাওয়া যায়। সব কার্ডে রিওয়ার্ডের শর্ত এক নয়। এরকম ক্রেতাও আছেন যাঁরা গোটা মাসের কেনাকাটা করেন ক্রেডিট কার্ডে। কিন্তু মাসের শেষে পুরো টাকাটাই শোধ করে দেন। আর জমানো রিওয়ার্ডের টাকা দিয়ে হয়ত পুজোর বাজারই করে ফেলেন। অথবা বেড়ানোর প্লেনের টিকিট। মাথায় রাখবেন এই পথে হাঁটার একটা বিপদও আছে। আপনি যদি সাবধানী না হন, তাহলে কিন্তু ঋণের ফাঁদেও পা দিয়ে ফেলতে পারেন।
• বড় কিছু কিনতে চান? ক্রেডিট কার্ডে কিনতে পারেন। তারপর তা সহজ কিস্তিতে (ই এম আই) শোধ করতে পারেন। এই পথে হাঁটতে গেলে কিন্তু আপনাকে ওই খরচকে ব্যাঙ্কে জানিয়ে ঋণে পরিবর্তন করতে হবে। আপনার যদি ক্রেডিট রেটিং ঠিক থাকে তাহলে আপনাকে সুদও কম গুণতে হবে। এই কাজটা আপনি অ্যাপ বা নেট ব্যাঙ্কিং মারফত করে ফেলতে পারেন
• কার্ড ব্যবহারে সাবধান থাকুন: ক্রেডিট কার্ড কিন্তু যেখানে সেখানে ব্যবহার করবেন না। মাথায় রাখুন, এখন কিন্তু আপনি কত টাকা পর্যন্ত এক জায়গায় খরচ করতে পারবেন তার সীমা, বিদেশি টাকায় কেনা এসমস্তই আপনি নেট ব্যাঙ্কিং-এ গিয়ে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। বিদেশে ব্যবহার করতে হলে ওই সময়টুকুই শুধু বিদেশি মুদ্রায় কেনাকেটার জন্য খোলা রাখুন।