প্রতীকী ছবি।
নতুন আর্থিক বছর দরজায় কড়া নাড়ছে। মাথায় ঘুরছে কর বাঁচানোর কথা। আয়করের ৮০ সিসি ধারায় টাকা সরিয়ে সংসার চালাবেন কী করে, তা নিয়েও ভাবনা কুরে খাচ্ছে। মার্চ শেষ হতে চলল। বছরের শুরুতেই বলে দিয়েছেন কত টাকা জমাবেন। এ বার তো চাপে। তাই না? কিন্তু কর বাঁচানোর সঞ্চয়েও তো কর দিয়ে চলেছেন। হয়ত দেওয়া কর আর বাঁচানো করের অনুপাতে কর দেওয়ার পাল্লাটাই ভারি! খতিয়ে দেখেছেন?
• বিমা যদি বিমার জন্য না করে থাকেন, তা হলে কিন্তু আপনি চাপে। ভাবছেন কর বাঁচাচ্ছেন? ভেবেছেন প্রিমিয়ামের উপর জিএসটি-র কথা? প্রতি ১০০ টাকা বিমায় কিন্তু ১৮ শতাংশ জিএসটি। আপনি যদি ২০ শতাংশ আয়করের সীমাতেও থাকেন, তা হলে আপনার ছাড় কিন্তু মাত্র ৫ টাকা ৬০ পয়সার মতো। কর তো দিচ্ছেনই। জিএসটি কি কর নয়?
• বিমা নানান রকম। বিমা ভেদে প্রিমিয়ামের উপর জিএসটির বিভিন্ন হার হল ১৮, ৪.৫,২.২৫ এবং ১.৮ শতাংশ। আপনি কী দিচ্ছেন, আর ছাড় বাবদ কী পাচ্ছেন একটু খতিয়ে দেখুন
• কর ছাড়ের সব প্রকল্পেই কিন্তু টাকা ভাঙানোর উপর নানান শর্ত আছে। কর বাঁচাতে সঞ্চয় করে দেড় লক্ষ টাকার পুরোটার সুযোগ নিতে গিয়ে বিপদও ডেকে আনতে পারেন আপত্কালীন সঞ্চয়ের অভাবে।
• সঞ্চয়ের একমাত্র লক্ষ্য কিন্তু কর বাঁচানো নয়। এটা মাথায় রেখে এগোতে হবে।
• কোন প্রকল্পে বিনিয়োগ করা উচিত, তা কিন্তু আপনার লক্ষ্যের উপর নির্ভর করে। আর সেই লক্ষ্য কিন্তু শুধুই কর বাঁচানো হতে পারে না। তাই লক্ষ্য ঠিক করে কর বাঁচান।
• যদি কর বাঁচাতে সঞ্চয় করতেই হয় মাথায় রাখতে পারেন ইএলএসএস-এর মতো প্রকল্প।
• এনপিএস-এ বিনিয়োগে ছাড় থাকলেও ম্যাচিওরিটিতে ছাড় নেই।
• সেই অর্থে পিপিএফ-ও কর বাঁচানোর ভাল পথ।
• মাথায় রাখুন বেশির ভাগ কর ছাড়ের সঞ্চয় প্রকল্পেই কিন্তু কিছু না কিছু কর আছেই। তাই কী দিচ্ছেন আর কী পাচ্ছেন তা মিলিয়ে এই পথে হাঁটুন।
• আয়করের নীচের হারে থাকলে, ভাবুন বেশি রিটার্নের বিনিয়োগের কথা। পুরো দেড় লক্ষ বিনিয়োগে আপনার লাভ নাও হতে পারে।