আপনার লিখিত অনুমতি ছাড়া জোর করে কার্ড গছিয়ে দেওয়ার দিন শেষ
অফিস থেকে বাড়িতে এসেই চমক। নতুন ক্রেডিট কার্ড পাঠিয়ে দিয়েছে ব্যাঙ্ক! এই বার কার্ড ছিঁড়ে ফেরত পাঠালেন ব্যাঙ্কে। তার পর আতঙ্কে দিন কাটানো। ব্যাঙ্ক কার্ড বাতিল করল কিনা তার অপেক্ষায়।
গত ডিসেম্বর থেকেই এই যুগের অবসান। আপনার লিখিত অনুমতি ছাড়া জোর করে কার্ড গছিয়ে দেওয়ার দিন শেষ। শুধু তাই নয়, আপনি যদি আপনার ব্যবহার করা কার্ড ফেরত দিতে চান তা হলে ব্যাঙ্ককে কিন্তু সাত দিনের মধ্যে তা কার্যকর করতে হবে। হ্যাঁ, শর্ত অবশ্যই আছে। আর তা হলে কার্ড ফেরত নেওয়া কার্যকর করতে আপনার ওই কার্ডের যাবতীয় দায় চুকিয়ে দিতে হবে।
যদি কোনও দায় না থাকে তা হলে সাত দিনের সীমা ব্যাঙ্ককে মানতেই হবে। আর যদি আপনার কাছ থেকে পাওনা বকেয়া থাকে, তাও কিন্তু ওই সাত দিনের সীমার মধ্যেই ব্যাঙ্ক আপনাকে জানিয়ে দেবে। কার্ড ফিরিয়ে নেওয়ার কাজ সাত দিনের মধ্যে চালু না করলে প্রতি দিন দেরির জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কটিকে একটি নির্দিষ্ট হারে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
এখানেই শেষ নয়। আপনি যদি নতুন কার্ড পাওয়ার ৩০ দিন পর তা প্রথম ব্যবহার করেন তা হলে আপনার কাছে ওটিপি আসবে। আপনি সেই ওটিপি দিলেই তবে সেই লেনদেন হবে এবং কার্ডটি চালু হবে। এই নিয়মটি করা হয়েছে আপনার সুরক্ষার স্বার্থেই। যাতে অন্য কেউ ওই কার্ডটি ব্যবহার না করতে পারে। অভিজ্ঞতা বলে, আগে অনেক সময়েই দেখা গিয়েছে যার নামে কার্ড তিনি জানলেন না, অথচ তাঁর নামে ইস্যু করা কার্ড অন্য কেউ ব্যবহার করতে শুরু করে দিয়েছে। এটা আটকাতেই এই নতুন নিয়ম।
নতুন নিয়মে আপনার সুরক্ষার জন্য আরও দায় চেপেছে ব্যাঙ্কের ঘাড়ে। এখন থেকে ব্যাঙ্ককে ক্রেডিট কার্ডে লেনদেন বাবদ যে সুদ আপনার ঘাড়ে চাপে তা নির্দিষ্ট ভাবে জানাতেই হবে। এবং তা কী ভাবে কাটা হয়ে থাকে বিলের মধ্যে তা নির্দিষ্ট করে জানাতে বাধ্য থাকবে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক।
বিশেষজ্ঞদের কাছে সমাধান খুঁজতে সঞ্চয় নিয়ে আমাদের প্রশ্ন পাঠান — takatalk2023@abpdigital.in এই ঠিকানায় বা হোয়াটস অ্যাপ করুন এই নম্বরে — ৮৫৮৩৮৫৮৫৫২আপনার আয়, খরচ এবং সঞ্চয় জানাতে ভুলবেন না। পরিচয় গোপন রাখতে চাইলে অবশ্যই জানান।