প্রতীকী ছবি
অ্যাকাউন্টে স্যালারি ঢোকার পর থেকেই আগের মাসে দেখা শখের জুতো, জামা-কাপড় অর্ডারটা দিতেই হবে। তার সাথে বন্ধুদের সাথে প্রিয় রেস্তোরাঁয় জমিয়ে আড্ডাটাও দিতে হবে। সপ্তাহান্তের ছুটিটাও বা কেন বাদ যাবে! সব শখ পূরণ করার পর ১৫ তারিখ হতে না হতেই দেখা গেলো পকেটের করুণ অবস্থা। তাহলে কি উপায়ে নিজের শখ পূরণ করেও টাকা সঞ্চয় করা যায়?
খরচের হদিস রাখুন
টাকা জমানোর প্রথম পদক্ষেপই হলো টাকা খরচের হিসেব রাখা। খুঁটিনাটি যেকোনো কেনাকাটা থেকে মোবাইলের বিল পর্যন্ত ছোট থেকে বড় যেকোনো খরচের হদিস রাখতে হবে। স্প্রেডশীট হোক কি ফ্রি অনলাইন অ্যাপ, আপনার সুবিধা মতো যেকোনো উপায়ে মাসে কোন খাতে কি খরচ হচ্ছে তার হিসেব নথিভুক্ত করে রাখা প্রয়োজন।
বাজেটের মধ্যে থাকুক সঞ্চয়ও
মাসে কি কি খাতে কি খরচ হচ্ছে এটা জানার পর এবার পালা একটা বাজেট তৈরী করার। আপনার বাজেটে আপনার আয়ের সাপেক্ষে ব্যয়গুলির হিসেব রাখুন, যাতে আপনি আপনার ব্যয়ের পরিকল্পনা করতে পারেন এবং অতিরিক্ত ব্যয় সীমাবদ্ধ করতে পারেন। আপনার বাজেটে একটি সঞ্চয় বিভাগ অন্তর্ভুক্ত করুন এবং আপনি আপনার সুবিধা ও সামর্থ্য অনুযায়ী সঞ্চয়ের পরিমান স্থির করুন। শেষে আপনার আয়ের ১৫ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত সঞ্চয় বাড়ানোর পরিকল্পনা রাখুন।
খরচ কমানোর উপায় খুঁজুন
অপ্রয়োজনীয় খরচ যেমন সিনেমা দেখা, শপিং করা এগুলো কম করুন এতে অনেক বেশি সঞ্চয় বাড়বে। নির্দিষ্ট মাসিক খরচ যেমন আপনার গাড়ী বীমা বা মোবাইলের বিল থেকেও কিভাবে সঞ্চয় করা যায় তার উপায় সন্ধান করুন।
লক্ষ্য নির্ধারণ করুন
প্রথমে স্থির করুন স্বল্প মেয়াদের জন্য এবং দীর্ঘ মেয়াদের জন্য কি সঞ্চয় করতে চান। তারপর অনুমান করুন যে আপনার কত টাকা প্রয়োজন এবং এটি সংরক্ষণ করতে আপনার কতদিন সময় লাগতে পারে।
অটোমেটিক সেভিংস
প্রায় সব ব্যাংকের সেভিংস অ্যাকাউন্টে অটোমেটিক সেভিংস অপসন থাকে ৷ এর সুবিধা হলো প্রতিটি পেচেকের একটি অংশ সরাসরি আপনার সেভিংস অ্যাকাউন্টে চলে যাবে, যার ফলে ব্যাংকে টাকা সঞ্চয় করা নিয়ে ভাবতে হবে না এবং আপনার অর্থ ব্যয় করার সম্ভাবনাও কমবে।
প্রতি মাসেই আপনি আপনার বাজেটের উপর নজর রাখুন। এতে শুধুমাত্র যে আপনার সঞ্চয় বাড়বে তা নয় বরং কোন খাতে কত বেশি খরচ হচ্ছে সেগুলির সমাধানও হবে ৷
এই প্রতিবেদনটি ‘টাকা টক্’ ফিচারের অংশ।