প্রতীকী চিত্র
টার্নওভার রেশিও আপনাকে বলে আপনার ফান্ডে কতবার সিকিউরিটিজ অদল-বদল হচ্ছে। মাথায় রাখুন, যতবার এটা হবে তত ফান্ড পরিচালনার খরচ বাড়বে আর গচ্চা কিন্তু আপনারই যাবে। আর তার মানে, আপনার লাভের টাকা কমবে। তাই যে ফান্ডে টার্নওভার রেশিও বেশি এবং তাতে যদি আপনার টাকা থাকে, তাহলে তার উপর নজর এবং প্রয়োজনে টাকা সরিয়ে নেওয়া যুক্তিযুক্ত হতে পারে।
তবে যদি পরিস্থিতি এমন হয় যে বাজারে অনিশ্চয়তা বেড়েছে এবং এই রেশিও বাড়লেও আপনার ফান্ডের পরিস্থিতি ভাল, তাহলে কিন্তু বুঝতে হবে যে ফান্ড পরিচালক কেনাবেচা করে আপনার বিনিয়োগকে সামলানোর চেষ্টা করছে। তবে এই সূচকে চোখ রাখা কিন্তু প্রয়োজন যদি আপনি মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করে থাকেন।
পোর্টফোলিও কী?
মিউচুয়াল ফান্ড আপনার কাছ থেকে টাকা নিয়ে বিভিন্ন সিকিউরিটিজ/শেয়ারে বিনিয়োগ করে থাকে। এই বিভিন্ন শেয়ার/সিকিউরিটিজকে একযোগে ফান্ডের পোর্টফোলিও বলে। আপনার বিনিয়োগের ঝুলি হিসাবেও ভাবতে পারেন একে।
পোর্টফোলিও টার্নওভার রেশিও কী?
এই অনুপাত হল ফান্ডের মধ্যে কতবার শেয়ার বদল হল তার সূচক।
কী ভাবে মাপা হয়?
এটা হিসাব করা হয় শেয়ার কেনা বা বেচা, যার অঙ্ক কম তাকে গড় সম্পদের (শেয়ার বা বন্ড বা দুই, পোর্টফোলিওতে যা আছে) দাম দিয়ে। এটি সাধারণত গোটা বছরের লেনদেনের ভিত্তিতে করা হয়ে থাকে।
এই রেশিও কম হলে কী বুঝব?
সাধারণত এই রেশিও কম হলে মনে করা হয় যে পরিচালক আপনার ফান্ড পরিচালনা করছেন তিনি নিজের উপর খুব আস্থাবান এবং শেয়ার/সিকিউরিটিজ কিনে তা দীর্ঘকালীন ভিত্তিতে ধরে রাখায় বিশ্বাসী।
আর রেশিও যদি বেশি হয়?
তার মানে আপনার ফান্ড পরিচালক আপনার বিনিয়োগ ধরে রাখতে বা বাড়াতে বাজারে নিয়মিত কেনাবেচা করে থাকেন।
সেটা কি খারাপ?
আপনি বিনিয়োগ করেছেন লাভের আশায়। আপনি আপনার বিনিয়োগের ভার অন্যকে দিলেও আপনার টাকা ঠিক ভাবে খাটছে কি না, তা কিন্তু দেখার দায় আপনারই। এই রেশিও বেশি হওয়া সত্ত্বেও যদি আপনার বিনিয়োগের বৃদ্ধির হার আপনার প্রত্যাশা পূরণ করে, তাহলে চিন্তার কিছু নেই। কিন্তু এই রেশিও উপরের দিকে, আর আপনার বিনিয়োগের আয়ের আশানুরূপ বৃদ্ধি হচ্ছে না তাহলে বুঝতে হবে আপনার বিনিয়োগ নিয়ে নতুন করে ভাবার সময় এসে গিয়েছে।