প্রতীকী চিত্র।
এ কথা তো সবাই জানেন যে আপনি অবসর নিন বা অবসর থেকে দূরেই থাকুন, আপনার দুই প্রধান শত্রু হল মুদ্রাস্ফীতি এবং আয়কর। এই দু’টি যদি বাদও দেন, তা হলে কি আপনার জীবনে পূর্ণমাত্রার শান্তি ফিরবে? উঁহু, এমনটি ভাবা বাতুলতা। কারণ আপনি অশান্তির একটি প্রবল কারণ বেমালুম ভুলে যাচ্ছেন। অঙ্ক কষার ভুলে অথবা বাজারের খারাপ হালের কারণে আপনার আয় কিন্তু নিরাশার কারণ হতে পারে। আমি আজ ঠিক এই কথাটি নিয়েই আলোচনা করছি।
আপনি যথেষ্ট আটঘাট বেঁধে লগ্নি করেছিলেন। বেছে বেছে স্থায়ী আমানত, বন্ড, শেয়ার ইত্যাদি কিনেছিলেন। তবুও পুরো সুফল পেলেন না। এমনটি তো বিশ্ব জুড়ে হয়েই চলেছে। ভারতের বাজারও আলাদা কিছু নয় এবং আপনিও পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ বিনিয়োগকারী নন। তবে আপনি খুব সাবধানী মানুষ, অকারণে প্ররোচনায় পা দিয়ে কষ্ট পান না। অথবা খেয়ালখুশির বশবর্তী হয়ে লগ্নি করেন না।
তা হলে? শুনে রাখুন, আপনার বড় ভুলটি সম্ভবত হয়েছে যখন আপনি দরকার মতো পোর্টফোলিয়োর পুনর্বিন্যাস করেননি। হয় খেয়াল করেননি, নয়তো স্রেফ এড়িয়ে গিয়েছেন। তাই মনে রাখবেন—
১) নানান জায়গায় লগ্নি করে পোর্টফোলিয়ো তৈরি করলেই কাজ শেষ হয় না। কড়া চোখে নজরদারি করে যেতে হবে প্রতিটি লগ্নির উপর।
২) নজরদারি মানেই পরিবর্তন নয়। কিন্তু প্রয়োজনে অদল-বদল করতে পিছপা হবেন না। নিয়মিত এটা করে যেতেই হবে।
৩) নির্মম ভাবে বদল বা বিক্রি করতে রাজি থাকুন। পোর্টফোলিয়োর যে অংশটি আশানুরূপ আয় দেখাচ্ছে না সেটি ছেঁটে ফেলুন। বাগানের মালি যেমন গাছের শুকনো ডালপালা ছেঁটে সুন্দর ভাবে ফুল ফোটান, ঠিক সেই রকম ভাবে নিজের সঞ্চয়কে সাজিয়ে রাখুন।
৪) বিশেষত আপনার যে শেয়ারগুলি তলিয়ে যাচ্ছে এবং পড়েই রয়েছে, সেগুলিকে আলাদা ভাবে চিহ্নিত করুন এবং বিক্রি করে দিন দরকার মতো। দুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভাল। নতুন ভাল শেয়ার বা ফান্ড বেছে তাতে লগ্নি সরিয়ে নিন।