প্রতীকী চিত্র
হ্যারি পটারের বই না পড়ে থাকুন, সিনেমা নিশ্চয়ই দেখেছেন। যদি দেখে থাকেন, জানবেন ওখানে ‘ডার্ক লর্ড’ নামে পরিচিত খলচরিত্রটি প্রভূত গণ্ডগোল বাধিয়েছিল। তাঁকে শক্ত হাতে দমন করেন নায়ক স্বয়ং।
হঠাৎ কেন এই প্রসঙ্গের উত্থাপন? এই কথার উত্তরে বলি অবসর অভিমুখী মানুষের জীবনেও সাধারণত একটি ‘ডার্ক লর্ড’ অর্থাৎ সুপার ভিলেন থাকে। সংক্ষেপে তার নাম ‘কস্ট অফ ইনভেস্টমেন্ট’ বা বিনিয়োগের খরচ।
একটু বিশদে বলা যাক। আপনি মিউচুয়াল ফান্ড কেনেন এবং বিক্রি করেন। অন্য সময় আপনি অল্প হলেও স্টক মার্কেটে ট্রেডিং করেন। স্বাস্থ্যবিমা কেনেন বছর বছর। মানে নানাবিধ সেভিংস ও বিনিয়োগ প্রোডাক্ট কেনেন। আপনার পোর্টফোলিয়ো সময়ে সময়ে ফুলে-ফেঁপে ওঠে।
কিন্তু এর প্রতিটির পিছনে খরচ আছে। ছোট করে বলতে গেলে, এই খুচরো খরচাগুলি একসঙ্গে ধরলে ভয়াল আকার নেবে। বিভিন্ন ব্রোকারেজ, কমিশন ইত্যাদি নিয়ে আয়তনে কম হবে না। এবং যত বেশি ট্রেডিং করবেন, তত আপনার কমিশন তথা ব্রোকারেজের খাতে খরচ বাড়বে স্বাভাবিক নিয়মেই।
তা হলে কি নির্ভেজাল হাত গুটিয়ে বসে থাকতে হবে? না, কখনওই নয়। সব করবেন কিন্তু কিছুই যেন নিরর্থক না হয়। প্রতিটি পদক্ষেপ যেন ভেবেচিন্তে নেওয়া হয়। একসঙ্গে একই ধরনের প্রোডাক্ট না কেনাই ভাল, তাতে নিরর্থক খরচ বেড়ে যায়। এই খরচ না হওয়াই শ্রেয়।
সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যদি ‘কস্ট অফ ইনভেস্টমেন্ট’ ধারাবাহিক ভাবে ১০ শতাংশের বেশি হয়, তা হলে সমূহ বিপদ। লগ্নিকারী যেন এই ব্যাপারটির দিকে বিশেষ নজর দেন। কিছু বিশেষ প্রোডাক্টে, যেমন বিমা, কমিশন বাবদ খরচ এমনিতেই বেশি, প্রধানত প্রথম বছর। কাজেই সাবধানে থাকুন। খরচ কমিয়ে চলাও আপনার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।