প্রতীকী চিত্র
ইক্যুইটি মানেই ঝুঁকি এবং ঝুঁকি মানেই রিটার্নের উপর প্রবল চাপ। এই কথাটা মেনে পুরোটা না বুঝেই বহু মানুষ, বিশেষ করে অবসরপ্রাপ্তরা শেয়ার থেকে মুখ ঘুরিয়ে থাকেন। শেয়ার নিয়ে মনে চেপে বসেছে সেই মানুষের সংখ্যাটা বিনিয়োগকারী প্রবীণদের মধ্যে কম নয়।
একবার দেখে নেওয়া যাক এই ধারণা কতটা সত্যি এবং এই ভয় তাড়ানোর কোনও মন্ত্র রয়েছে কি না। ইক্যুইটি অতীব ঝুঁকিপূর্ণ ঠিকই। তবে কিনা যেমন, ‘কানু বিনে গীত নাই’, তেমনই ইক্যুইটি ছাড়া পোর্টফোলিও কিন্তু কানা।
প্রথমে বলি বাছাই করে, নিজে যাচাই করে ভাল কোম্পানির স্টক কিনুন। অন্তত আপনার ডিভিডেন্ড ইনকাম তাতে আশানুরূপ হতে পারে। যে কোম্পানির নাম ব্যবহারিক জীবনে চারদিকে দেখছেন, সেইটি আগে পরখ করে নিন।
ইন্টারনেটের কল্যাণে বাজারে লিস্টেড কোম্পানিগুলির বহু তথ্য চটজলদি হাতের কাছে পাওয়া যায়। একটু কষ্ট করে সেগুলি খুঁজে নিন। খবরে চোখ রাখুন। কোনও কোনও জরুরি কর্পোরেট নিলাম হয়েছে কি? কোনও সংযুক্তিকরণের আভাস পাচ্ছেন? কোনও রাইটস ইস্যুর কথা ভাবছেন কি কর্তৃপক্ষ? তা হলে শেয়ারের জন্য তা প্রাসঙ্গিক হতে পারে। নতুন সুযোগ এনে দিতে পারে।
তাৎক্ষণিক সুযোগের অভাবে কিঞ্চিৎ ধীরগতিতে চলুন, ভাল শেয়ার অল্প-অল্প করে নিন। এক সঙ্গে সমস্ত নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বেন না। প্রতি পদে, বিশেষত যখন স্টকটির দাম পড়েছে, কিছুটা করে কিনুন। দেখবেন হয়ত কয়েক বছরেই আপনার হাতে বড়সড় সংখ্যক শেয়ার জমে গিয়েছে। তবে নিজের পোর্টফোলিওটিকে বিকেন্দ্রীকরণ করুন। বেশ কয়েকটি সেক্টরে যেন আপনার অর্থ ছড়িয়ে-ছিটিয়ে বিনিযোগ করা থাকে।
পরিশেষে বলি, যদি সময়ের অভাব থাকে, যদি মনে শঙ্কা থাকে, যদি সরাসরি মার্কেটে পদক্ষেপ করতে দ্বিধাবোধ করেন, তা হলে মিউচুয়াল ফান্ডে ঝুঁকুন। ভাল কিছু ইক্যুইটি ফান্ড কিনুন। আপনার পরামর্শদাতার কথা শুনে কিনুন। ফান্ড আপনাকে একসঙ্গে অনেকগুলি স্টকে নিয়োজিত রাখতে পারবে অতি সামান্য খরচে। মনে রাখুন ফান্ডগুলিও যেন নানা ধরনের হয়। প্রতিটি ফান্ডই যেন একই রাস্তায় হাঁটার না হয়। যেমন যে দুটো ফান্ড কিনলেন সেই দুটোই দেখা গেল একই ধরনের শিল্পে বিনিয়োগ করে। মাথায় রাখবেন দুটো ফান্ড মানেই যে তাদের বিনিয়োগের নজর আলাদা তা নাও হতে পারে। যাচাই না করেই কিনলেন দেখলেন দুটো ফান্ডই হয়ত ওষুধ তৈরি সংস্থায় লগ্লি করে। তাই কোনও কারণে ওষুধ শিল্পে মন্দা এলে আপনার গোটা লগ্লিই সমস্যায় থাকবে। কাজেই সাবধানে বেছে নিন।