প্রতীকী চিত্র।
বিমানে চড়ে বেড়াতে যাবেন কিন্তু বিমা নেবেন না, এটা তো হয় না। আপনি খেয়াল করে দেখুন, যে ভাবেই ভ্রমণ করুন না কেন, কিছু না কিছু বিমা কিন্তু আপনার সঙ্গেই ঘোরে। আজকে আমরা দেখে নিই, বিমানে চড়লে কী ভাবে বিমা কিনব। কী জাতীয় বিমাই বা আমি কিনতে পারি।
বাজারে বিমা সংস্থাগুলি নানান বিমা বিক্রি করে থাকে আপনার প্রয়োজন মেটাতে। কিন্তু যে ভাবেই তা বিক্রি হোক, ভ্রমণের জন্য মোটামুটি ৮ রকম ঝুঁকি সামলাতে বিমা বিক্রি হয়ে থাকে। জেনে নেওয়া যাক সেই ঝুঁকিগুলো কী।
• স্বাস্থ্য বিমা। বেড়াতে গিয়ে বিশেষ করে বিদেশে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে যা খরচ তা সামলানো সহজ কথা নয়। এই বিমা না থাকলে ভিসাও মেলে না। এই বিমা সাধারণ ভাবে ক্যাশলেসই হয়ে থাকে।
• দুর্ঘটনা।
• স্যুটকেস যদি দেরিতে পৌঁছয়, তখন তো জামা-কাপড় কেনা ছাড়া উপায় থাকবে না আপনার। তাই এই ঝুঁকি সামলাতেও বিমা কেনা যায়।
• স্যুটকেস হারিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি সামলাতেও কেনা যায় বিমা।
• পাসপোর্ট হারালে আপতকালীন পাসপোর্ট করাতে হয়। তারও খরচ আছে। বিদেশের মাটিতে সে খরচ কিন্তু কম নয়। তাই ভ্রমণ বিমায় এই ঝুঁকি সামলানোও জরুরি।
• আপনার বিমান কোনও কারণে দেরি করল। তাতে হয়ত আপনি ভাঙা যাত্রায় পরের বিমানটি ধরতে পারলেন না। সেই ঝুঁকি সামলানোর জন্যও কিন্তু বিমা কিনতে পারেন।
• বিদেশে গিয়ে কোনও ঝামেলায় আপনাকে দেশে ফেরাতে বিশেষ ব্যবস্থা করতে হতে পারে। তারও খরচ আছে। যেমন ভুগেছেন লকডাউনে আটকে যাওয়া অনেক যাত্রী। এই ঝুঁকি সামলানোর বিমাও পাওয়া যায়।
• বেড়াতে গিয়ে মৃত্যু এবং দেহ ফেরানোর ঝুঁকি সামলানোর বিমাও আছে।
এই সব বিমা একই সঙ্গে বা আলাদা কেনার ব্যবস্থা আছে। বিভিন্ন সংস্থা বিভিন্ন ভাবে এই সব বিমা বিক্রি করে থাকে। বেড়াতে যাওয়ার আগে তাই প্রয়োজন মতো বিমা কিনে ভ্রমণ করাই ভাল। তাতে আর্থিক ঝুঁকি কমে। বিমা কেনার আগে অবশ্যই দেখে নেবেন শর্তগুলি। বিদেশে যেতে হলে দেশের ভিতরেও বিমান পরিবর্তন করতে হতে পারে। দেখে নিন আপনার বিমার শর্ত দেশের ভিতর ভ্রমণের ঝুঁকিও সামলাচ্ছে কি না।
তথ্যসূত্র আই আর ডি এ