প্রতীকী চিত্র।
এমনিতে বিমা কেনার ব্যাপারে বা বিমা নিয়ে জানার ব্যাপারে আগ্রহের অঙ্কে আমরা বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বহু পিছনে। তার মধ্যে আবার ভ্রমণের আগে বিমা কেনা নিয়ে আমাদের আগ্রহ তলানিতে। তাতে যে কী ঝামেলা হয় তা লকডাউনের সময়েই বোঝা গিয়েছে। বিদেশে গিয়ে আটকে পড়ে দেশে ফিরতে অনেকেরই প্রায় ঘটি-বাটি বেচার অবস্থা! তার উপর রয়েছে দেশের বিমার বাজারে ভ্রমণ সংক্রান্ত কোনও সাধারণ বিমার অভাব। বিভিন্ন সংস্থা নানান ভাবে ভ্রমণ বিমা বিক্রি করে। সাধারণ মানুষ কোনটা কিনবে তা বুঝেই উঠতে পারে না।
এই সমস্যা সামলাতে বিমা নিয়ন্ত্রক সংস্থা চলতি বছরের ১ এপ্রিল থেকে সব বিমা সংস্থাকে বলেছে বিমার শর্তকে সহজ করে লিখে বিক্রি করতে। এই বিমার জন্য কোনও ন্যূনতম বয়স থাকবে না। তবে যিনি কিনবেন তাঁর বয়স যেন অন্তত ১৮ হয়। ৫ রকম ভ্রমণের জন্য এই বিমা কেনা যাবে।
১) শহরের মধ্যে যে কোনও গণপরিবহণে ভ্রমণের জন্য।
২) শহরের বাইরে যাওয়ার জন্য যে কোনও গণপরিবহণে ভ্রমণ।
৩) ট্রেন ভ্রমণ।
৪) দেশের ভিতরে জল-পথ, স্থল, বায়ু আর ট্রেন।
আবার বিদেশ ভ্রমণের জন্য আরও চারটে ভাগ।
১) স্বল্পমেয়াদী ভ্রমণ (জল, স্থল, ট্রেন এবং বিমান একই বিমায়)।
২) দীর্ঘমেয়াদী ভ্রমণ (ছাত্রদের জন্য)।
৩) বিমার মেয়াদ কালে একাধিক ভ্রমণ (যেমন প্রয়োজন হয় ব্যবসার কাজে)।
৪) শুধুই যাতায়াতে ঝুঁকির বিমা।
এই বিমা পরিবারের জন্য বা একক যাত্রীর জন্য বিক্রি হবে। দামের ক্ষেত্রে দেশের কোন অঞ্চল থেকে যাত্রা শুরু হচ্ছে তার ভিত্তিতে কোনও ফারাক থাকবে না। সব সংস্থাকেই সাধারণ ভ্রমণ বিমার দাম এক রাখতে হবে এবং শর্ত এমন ভাবে লিখতে হবে যাতে সাধারণের বুঝতে অসুবিধা না হয়।
বিমা নিয়ন্ত্রক সংস্থার যুক্তি এত দিন পর্যন্ত বিমা সংস্থাগুলি যে বিমা করত তাতে সাধারণের চাহিদা মিটত না। তাই নির্দিষ্ট এই শ্রেণি বিভাগের জন্য সাধারণ মানুষ তাঁদের ভ্রমণের চাহিদা অনুযায়ী বিমা কিনতে পারবেন। এবং যেহেতু সব সংস্থাই একই সাধারণ ভ্রমণ বিমা বিক্রি করবে একই দামে, যাত্রীদের আর অন্তত সাধারণ ভ্রমণ বিমার জন্য কোন সংস্থা কী জাতীয় বিমা বিক্রি করছে তার যাচাইয়ের ঝামেলায় যেতে হবে না।