রোগ প্রতিরোধ বাড়াতে পারে কোন কোন আসন। ছবি: সংগৃহীত
আমাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রতঙ্গগুলো ঘিরে থাকে মাংসপেশি। সেগুলি আদপে স্পঞ্জের মতো। শরীর যদি অত্যাধিক স্ট্রেসে থাকে, মাংসপেশিগুলিও তাই শুষে নেবে। তাই মাঝে মাঝে স্ট্রেচ করা প্রয়োজন। তবেই আপনার শরীর আরও নমনীয় হবে। আর চাই রক্তনালীতে পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন। যাতে শরীর সুস্থ থাকবে এবং রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়বে। এই দুটি কাজেই সাহায্য করতে পারে যোগা এবং প্রাণায়াম। কোন আসনগুলি করলে এই উপকারিতা পাবেন, জেনে নিন।
শিশুআসন
পা পিছন দিকে মুড়ে গোঁড়ালির উপর ভর দিয়ে বসুন। সামনে ঝুঁকে কপাল মাটিতে ঠেকান। হাত দু’টো মাটিতে রাখুন শরীর বরাবর। তালু উপর দিকে থাকবে। উরুর উপর বুকের ভার দিন আলতো ভাবে। এভাবে কিছুক্ষণ থেকে আবার উঠে পড়ুন ধীরে ধীরে।
ভুজাঙ্গাসন
পেটের উপর ভর দিয়ে শুয়ে পড়ুন। কপাল মাটিতে ঠেকবে। পায়ের আঙুল থাকবে বাইরের দিকে। গোঁড়ালি দু’টো কাছাকাছি রাখুন। ধীরে ধীরে হাত তুলুন। তালু মাটিতে রাখুন কাঁধ বরাবর। কনুই শরীরের কাছাকাছি থাকবে। একটা বড় নিঃশ্বাস নিয়ে নাভি মাটিতে রেখে শরীরের উপর অংশ তুলুন। দুই তালুতে সমান ভার দিয়ে উপরে অংশের শরীরের ভার সামলে নিন। স্বাভাবিক ভাবে নিঃশ্বাস নিতে নিতে শরীর পিছনে দিকে বেকিয়ে দিন। যাতে শিরদাঁড়ার এক্সারসাইজ হয়। নিঃশ্বাস ছাড়া কালীন আবার শুয়ে পড়ুন। হাত সোজা হচ্ছে কিনা এবং পা মাটিতেই থাকছে কিনা এগুলি খেয়াল করতে হবে।
ধনুরাসন
পেটের উপর ভর দিয়ে শুয়ে পড়ুন। হাত থাকবে শরীরের দু’পাশে এবং দু’পায়ের মধ্যে দূরত্ব থাকবে। হাঁটু মুড়ে গোড়ালি দু’টো ধরুন। বড় নিঃশ্বাস টেনে শরীর উচু করুন, গোড়ালিও উচু করুন। সামনাসামনি দেখার চেষ্টা করুন। শরীরের আকার ধনুকের মতো হবে। এ ভাবে কিছুক্ষণ ধরে রেখে নিঃশ্বাস নিন। ধীরে ধীরে শরীর শুরুর মতো করে নিন। লম্বা লম্বা নিঃশ্বাস নেবেন। একদম শেষে রিল্যাক্স করুন।