শরীর ছাড়াও অতিমারি চাপ ফেলেছে মনে।
৭ এপ্রিল। বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস। প্রতি বছর এই দিনটি পালন করা হয়ে বিভিন্ন দেশে। তবে অতিমারির সময়ে দিনটির গুরুত্ব আরও বেশি। অতিমারিতে শরীর খারাপ হচ্ছে যত বেশি মানুষের, মানসিক অবস্থাতেও পড়ছে তার প্রভাব। শুধু যে অসুস্থ হচ্ছে, তার মনের উপরেই নয়, চাপ পড়ছে আশপাশের মানুষের মনেও। সংক্রমণের হার বাড়তে শুরু করায় বেড়েছে ভয়। তার উপরে সামাজিক মেলামেশায় নিয়ন্ত্রণও প্রভাব ফেলছে মনে। এমন সময়ে নিজের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন।
সুস্থ, সুরক্ষিত থাকা যাবে কী ভাবে? তার জন্য রইল ৪টি পরামর্শ।
কাজ করতেই হবে
সংক্রমণের ভয়ে কাজ বন্ধ করে বসে থাকলে চলবে না। সুরক্ষা-বিধি মেনে কী ভাব কাজ চালিয়ে যাওয়া যায়, তার ব্যবস্থা করে ফেলা দরকার। মন কাজে ব্যস্ত হলে ভয় নিয়ন্ত্রণে থাকবে। বাড়ি থেকে যদি সব কাজ না করা যায়, তা নিয়েও ভাবতে হবে। যতটা সম্ভব ভিড় এড়িয়ে কাজ চালিয়ে যাওয়ার ভাবনা ভাবা যাক।
শরীরচর্চা
বাড়িতে থাকছেন মানেই সোফায় বসে দিন কাটবে, এমন নয়। বাইরে কোথাও না গিয়েও ব্যায়ামের অভ্যাস বজায় রাখা যায়। সাধারণ কিছু ব্যায়াম বা আসন বাড়ির ভিতরেই করা যায়। একটানা সময় না হলে ভাগ ভাগ করে শরীরচর্চা হতে পারে। কিছুটা সকালে, খানিকটা সন্ধ্যায়। কিছুটা আবার রাতে শোয়ার আগে।
প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো
প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেই হবে। খাওয়াদাওয়ায় নজর দেওয়া যাক। শাক-সব্জি, ফল নিয়ম করে খেতে হবে রোজ। প্রতি বাড়িতেই কি নিজস্ব টোটকা থাকে। যেমন প্রতিদিন সকালে উঠে কাঁচা হলুদ খাওয়া। এমন কিছু নিয়ম পালন করলেও ক্ষতি নেই। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যত বাড়বে, সংক্রমণ ততটাই দূরে রাখা যাবে।
যোগাযোগ রাখুন
মানসিক স্বাস্থ্য কম জরুরি নয়। চারদিকে ভয়ের পরিবেশের সঙ্গে লড়াই করতে মন শক্ত রাখা দরকার। তা করা সম্ভব নিজের পছন্দের মানুষদের সাহায্যে। এই সময়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বলা হচ্ছে বারবার। তবে দেখা না করলেও যে করাও সঙ্গে কথা বলা যায় না, তেমন তো নয়। নিয়মিত ফোন, ভিডিয়ো কলে যোগাযোগ থাকুক প্রিয়জনেদের সঙ্গে।