প্রিয় বন্ধু নয়, পছন্দের পুরুষকে বিয়ে করার কথা বলছেন মনোবিদরা।
এ যেন কে হাসবে শেষ হাসি? মা না বউমা?
কার গলায় মালাটি পরাবেন আজকের ললনা? যার সঙ্গে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আড্ডা দেওয়া যায়, মনের কথা বলা যায়— এমন কেউ কি? না কি সে, যাঁকে দেখলেই মনে হবে ‘দিল ধক ধক করনে লগা’?
প্রশ্নটা আজকের নয়। তবে উত্তরটা বদলাতে শুরু করেছে। বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে।
এক কালে প্রিয় বন্ধুকে বিয়ে করার দিকেই উপদেশের পাল্লা ছিল ভারী। বন্ধুত্বই আসল ভালবাসা, ‘প্যার দোস্তি হ্যায়’ এই সব উপদেশ দেওয়া হত। কথায় কথায় মনে করানো হত, এমন কোনও পুরুষের সঙ্গেই মেয়েদের থাকা উচিত, যে কি না তাকে দেখে রাখবে। প্রয়োজনে তার সঙ্গে দু’টো কথা বলবে। অর্থাৎ, প্রিয় বন্ধুকে বিয়ে করলেই ভাল বলে মনে করা হত। এখন বরং উল্টো কথাই বলছেন দেশ-বিদেশের মনোবিদেরা।
প্রিয় বন্ধুকে বিয়ে করে ফেলে দু’টো সম্পর্কের জায়গায় একটা নিয়ে বসে থাকার মানে কী? প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। বরং মনের কথা বলুন না বন্ধুর সঙ্গে। আর বিয়ে থাকুক নিজের স্থানে। মনোবিদদের বক্তব্য, এখনকার মেয়েরা অনেক বেশি স্বনির্ভর। শুধু শুধু বন্ধুত্বের সঙ্গে প্রেমটা গুলিয়ে ফেলবে কেন তারা? বরং যাকে আকর্ষণীয় মনে হয়, সেই মানুষটাকেই বিয়ে করা ভাল। তাতে দাম্পত্য জীবন অনেক বেশি সুস্থ থাকে।
এ শহরের মনোবিদ অনুত্তমা বন্দ্যোপাধ্যায়ও এ বিষয়ে একমত। তাঁর বক্তব্য, এক কালে এ সব নিয়ে ভাবতেন লোকে। দিন দিন মেয়েরা যখন স্বনির্ভর হচ্ছে, ততই এই সব ধারণা সেকেলে মনে হচ্ছে। যার সঙ্গে সত্যি থাকতে ইচ্ছে করবে, তার সঙ্গেই থাকবে। এমন ভাবনাটা ভাবার সাহস হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘বন্ধুত্বের সঙ্গে দাম্পত্যের রসায়নটা গুলিয়ে ফেলার মানে হয় না। বন্ধুকে বিয়ে করে মনের কথা বলা যাবেই, এমনটা ভাবা আসলে কিছুটা অর্থহীন। বিবাহিত সম্পর্কের নিজের কিছু দাবি থাকে। সে সব দিক পূরণ হচ্ছে কি না, তা খেয়াল রাখা দরকার।’’ শেষে বিয়ে করে ফেলে বন্ধুত্বের জায়গাটা না নষ্ট হয়ে যায়, মনে রাখতে বলছেন বিশেষজ্ঞেরা।