হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির মাশুল গুনতে হয় নাজমা খানমকে। ছবি: সংগৃহীত
সন্তান জন্ম দেওয়ার তিন বছর পর কঠিন আইনি লড়াইয়ের শেষে ছেলেকে ফিরে পেলেন অসামের বরপেটা জেলার এক মহিলা। ২০১৯ সালের মে মাসে দুই অন্তঃসত্ত্বা মহিলা বরপেটা থেকে নাজমা খানম ও গসাইগাও জেলার নাজমা খাতুনকে বরপেটার সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৩ মে দুই মহিলাই সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন। তবে নাজমা খাতুন মৃত সন্তানের জন্ম দেন।
দুই মায়ের নামে মিল থাকার কারণে অদলবদল হয়ে যায় শিশুরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এই গাফিলতির মাশুল গুনতে হয় নাজমা খানমকে। মৃত শিশুকে নাজমা খানমের হাতে তুলে দেওয়া হয়।নাজমা খানমের বাড়ির লোক থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁদের দাবি ছিল, নাজমা সুস্থ-সবল সন্তানের জন্ম দেয়।
একই নামের দুই অন্তঃসত্ত্বা একই সময় সন্তানের জন্ম দেওয়ায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে নিশ্চয়ই কোনও গোলমাল করা হয়েছে বলে তাঁরা পুলিশকে জানান। পুলিশ তদন্ত শুরু করলে সেই মামলা আদালতে ওঠে।
অবশেষে বছর তিনেক পর আদালতের হস্তক্ষেপে ডিএনএ পরীক্ষা করানো হয় মা ও সন্তানের। তার পরেই সত্যি সামনে আসে। ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফল আসা মাত্রই শিশুটিকে তাঁর আসল মায়ের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।