সংশয় কাটিয়ে একেবারে যমজ সন্তানের মা হয়েছেন তরুণী। ছবি: সংগৃহীত
বয়স তখন ১৭। সময়টা ২০১৪ সাল। চিকিৎসার জন্য ব্রিটেনের নটিংহ্যাম ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে ভর্তি হন জ়েড বাকিংহাম। তখনই দেখা যায়, বিরল একটি অবস্থার শিকার তিনি। একই সঙ্গে দু’টি যোনিপথ রয়েছে তাঁর। বিজ্ঞানের ভাষায় এমন ঘটনাকে বলে ‘ইউটেরাস ডাইডেলফিস’। বিষয়টি এতই বিরল যে, চিকিৎসকেরা জানান, পাঁচ কোটি মহিলার মধ্যে মাত্র এক জনের দেহে এমন অবস্থা দেখা যায়।
দুই সন্তানের মধ্যে যে বিষয়টি নজর কাড়ছে, তা হল গায়ের রঙের ফারাক। ছবি: সংগৃহীত
এমন ঘটনা ঘটলে সন্তানধারণে সমস্যা তৈরি হতে পারে। তাই জ়েড কোনও দিন মা হতে পারবেন কি না, তা নিয়েই তৈরি হয়েছিল সংশয়। শেষ পর্যন্ত সংশয় কাটিয়ে একেবারে যমজ সন্তানের মা হয়েছেন তরুণী। দুই কন্যার নাম রেখেছেন, লেনে ও লভেল। দুই সন্তানের মধ্যে যে বিষয়টি নজর কাড়ছে, তা হল গায়ের রঙের ফারাক। লভেল ফরসা, সেখানে লেনের গায়ের রং একটু চাপা। চুলের রংও আলাদা।
চিকিৎসকদের একাংশের বক্তব্য, জ়েডের যোনিপথ একটি পর্দা দ্বারা দু’টি নালিতে বিভক্ত। তাই দু’টি আলাদা ভ্রূণ নিষিক্ত হয়েছে একই সঙ্গে। অমরাও ছিল আলাদা। এই ধরনের অবস্থা থাকলে গর্ভপাতের আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাই দুই সপ্তাহ অন্তর স্ক্যান করতে হত তাঁর। কিন্তু অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার বাইশ সপ্তাহের মাথায় দেখা দেয় জটিলতা। চিকিৎসকেরা জানান, লেনের বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। শেষ পর্যন্ত নির্দিষ্ট সময়ের ৬ সপ্তাহ আগে দুই সন্তানের জন্ম দেন জ়েড।