বাবা, দাদাদের গোঁফ দেখে মাঝেমাঝেই গোঁফ রাখার শখ হত। ছবি: সংগৃহীত
নারীর বাহ্যিক সৌন্দর্য নিয়ে প্রচলিত কিছু ধারণা রয়েছে। সেই ধারণা ভেঙে লক্ষণরেখা পার করলেই নানা সমস্যার জন্ম নেয়। কিছু ক্ষেত্রে সেই প্রতিরোধ আসে একেবারে বাড়ি থেকেই। তাতেও সব সময় দমিয়ে রাখা সম্ভব হয় না। ছক ভেঙে বেরিয়ে আসেন কেউ কেউ। তেমনই এক জন ৩০ বছর বয়সি ডাকোটা কুক। অনেক দিন থেকেই হালকা গোঁফের রেখা দেখা যেত তাঁর মুখে। কিন্তু কয়েক বছর আগে থেকে সেই গোঁফের রেখা ক্রমশ পুরু হতে থাকে। প্রথম প্রথম স্বেচ্ছায় এবং কিছুটা বাড়ির চাপেই গোঁফ কামাতেন ডাকোটা। কিন্তু বাবা, দাদাদের গোঁফ দেখে মাঝেমাঝেই গোঁফ রাখার শখ হত। বাড়ির বাকিদের কথা ভেবে, সেই ইচ্ছা আর বাস্তবে পরিণত করতে পারেননি ডাকোটা। কিন্তু বেশি দিন নিজের মনের বিরুদ্ধে হাঁটতে পারেননি।
২০১৫ সাল থেকেই পরিবারে গোঁফ রাখতে শুরু করেন ডাকোটা। তার আগে গোঁফের রেখা দেখা দিলেও তা কাটতেন না। এ নিয়ে পরিজনদের রোষের মুখেও পড়তে হয়েছে। সেই সঙ্গে পাড়া-প্রতিবেশীর ভ্রুকুটি তো ছিলই। কিন্তু কোনও কিছুই আটকাতে পারেনি ডাকোটাকে। ছোট থেকেই মডেল হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন। কিন্তু তাঁর চেহারা স্বপ্নের সঙ্গ দিত না। ডাকোটা একটি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ছোট থেকে নিজের চেহারা নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলেন না তিনি। বিশেষ করে তাঁর গোঁফের রেখা তাঁকে বারে বারে লজ্জায় ফেলত। আত্মীয়স্বজন তাঁকে বাঁকা চোখে দেখতেন। আত্মবিশ্বাস তলানিতে এসে ঠেকেছিল। কিন্তু এক দিন বন্ধুর কথায় গোঁফ নিয়েই একটি সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন। সেখানে শীর্ষস্থান অধিকার না করতে পারলেও তাঁর সাহসকে কুর্নিশ জানিয়েছিলেন সকলে। তার পর থেকেই আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠেন ডাকোটা। তাঁর উপলব্ধি হয়, বাইরের সৌন্দর্য দিয়ে কোনও মানুষকে বিচার করা যায় না। আসল সৌন্দর্য লুকিয়ে থাকে মনে।