এই দাগ ম্লান হতে কয়েক মাস, কখনও আবার কয়েক বছরও লেগে যায়। প্রতীকী ছবি।
ত্বকের একটি বহুলপরিচিত সমস্যা ব্রণ। পুরুষ এবং নারী নির্বিশেষে এই সমস্যায় ভুগে থাকেন। বিশেষ করে যাঁদের ত্বক তৈলাক্ত, ব্রণর সমস্যা যেন আরও জাঁকিয়ে বসে। অনেক চেষ্টা করার পর ব্রণ দূর হলেও যে সমস্যা একবারে মিটে গেল, তা কিন্তু একেবারেই নয়। ব্রণর জন্য যে দাগ রয়ে যায়, তা সৌন্দর্য নষ্ট করে। ব্রণর দাগ সহজে যেতে চায় না। এই দাগ ম্লান হতে কয়েক মাস, কখনও আবার কয়েক বছরও লেগে যায়। অনেক চেষ্টা করেও পুরোপুরি চলে যায়নি, এমন উদাহরণও রয়েছে।
চর্মরোগ চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, আসলে অনেকেই বুঝতে পারেন না কোনটা ব্রণ-পরবর্তী দাগ আর কোনটা ব্রণর চিহ্ন। লাল বা বাদামি রঙের কোনও দাগ আসলে ব্রণ-পরবর্তী প্রদাহের ফল। ব্রণ কমে গেলেও অনেকের ত্বকে কালো দাগছোপে ভরে যায়। যেটি আসলে ‘হাইপারপিগমেন্টেশন’ নামে পরিচিত। ব্রণর থেকেও এই দাগগুলি নিয়ে যেন বেশি চিন্তিত থাকেন অনেকে। একটা ভয় কাজ করে মনের মধ্যে— আদৌ ত্বকের লাবণ্য ফিরে আসবে তো? এই ধরনের দাগ দূর করতে বাজারে অনেক প্রসাধনী পাওয়া যায়। তবে সবগুলি যে ফলদায়ক হবে এমন নয়। কেনার আগে কয়েকটি জিনিস যাচাই করে নিতে হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল প্রসাধনীর উপকরণ। কোজ়িক অ্যাসিড, গ্লাইকোলিক অ্যাসিড, অ্যাজেলাইক অ্যাসিড, আরবুটিন, ভিটামিন সি, হাইড্রোকুইনাইনের মতো উপাদান দিয়ে তৈরি প্রসাধন সামগ্রী অনেক বেশি কার্যকর। এই উপাদান-সমৃদ্ধ প্রসাধনী ত্বকের দাগছোপ দূর করতে পারে।
চর্মরোগ চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, আসলে অনেকেই বুঝতে পারেন না কোনটা ব্রণ-পরবর্তী দাগ আর কোনটা ব্রণর চিহ্ন। প্রতীকী ছবি।
ব্রণ কমে গিয়েছে মানেই, ত্বকের পরিচর্যায় ইতি টানলে চলবে না। ব্রণ কমে যাওয়ার পর ত্বকের যত্ন নিয়ে যেতে হবে নিয়ম করে। বিশেষ করে স্ক্রাবিং করা বন্ধ করলে চলবে না। স্ক্রাব করার ফলে ত্বকের মৃত কোষ দূর হয়। রোমকূপে জমে থাকা ময়লা বাইরে বেরিয়ে যায়। দাগছোপ তৈরি হওয়ারও অবকাশ কম থাকে এর ফলে।
ব্রণর ফলে তৈরি হওয়া দাগছোপ দূর করতে লেজার চিকিৎসাও করতে পারেন। তবে এ ক্ষেত্রে ৬-৯ মাস সময় লাগতে পারে। বিভিন্ন ধাপে এটি করতে হবে। অন্তত ৩-৪ টি ধাপে লেজার করা প্রয়োজন। প্রতিটি লেজারের মধ্যে অন্তত ৬ সপ্তাহের ব্যবধান থাকা প্রয়োজন। তবে লেজার করলেও যে একশো শতাংশ উপকার পাবেন, তা নয়। তাই বেশি প্রত্যাশা না করাই শ্রেয়। এই লেজার পদ্ধতিতে ত্বকের দাগছোপ দূর করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অতি অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে নেবেন। এ বিষয়ে নিজের ভাবনা না প্রয়োগ করাই ভাল।