বিশ্বকাপ আবহে তামিলনাড়ু থেকে ডিম গিয়েছে কাতারে। ফাইল চিত্র।
কাতারে শুরু হয়েছে ফুটবল বিশ্বকাপের মহারণ। গোটা বিশ্বের ফুটবলপ্রেমীরা নিজের নিজের দেশের হয়ে গলা ফাটাতে জড়ো হয়েছেন সেখানে। স্বাভাবিক ভাবেই চাহিদা বেড়েছে বিভিন্ন খাবারের। সেই তালিকায় বাদ যায়নি ডিমও। আর ডিমের জোগান পর্যাপ্ত রাখতে তামিলনাড়ুর নামাক্কল থেকে প্রায় তিন কোটি ডিম গেল কাতারে।
বিশ্বে যে দেশগুলি সবচেয়ে বেশি ডিম উৎপাদন করে, সেই তালিকার প্রথম আর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইউক্রেন এবং তুরস্ক। কিছু দিন আগে পর্যন্ত এই দু’টি দেশ থেকেই ডিম আমদানি করত কাতার। কিন্তু রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনের ডিমের উৎপাদন প্রায় তলানিতে এসে ঠেকেছে।। অন্য দেশে ডিম সরবরাহ করা তো দূরের কথা, নিজেদেরই ডিমের জোগান পর্যাপ্ত নেই। আর সেই কারণেই ভারতের দ্বারস্থ হয়েছে কাতার। বিশ্বকাপ ফুটবলের ধারেকাছে নেই ভারত। অদূর ভবিষ্যতে বিশ্বকাপের ময়দানে ভারতের খেলার সুযোগ কোনও দিন হবে কি না, তা-ও অনেক দূরের কথা। অথচ ভারতের সঙ্গে কাতার-যোগ যেন অবিচ্ছিন্ন। এর আগেও উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হরিণঘাটা থেকে পাঁঠার মাংস গিয়েছে কাতারে। এ বার সেই তালিকায় যোগ হল ডিম।
ভারতের সঙ্গে কাতার-যোগ যেন অবিচ্ছিন্ন। ফাইল চিত্র।
যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে না হয় ডিম উৎপাদন বন্ধ। কিন্তু তুরষ্ক কী দোষ করল? সেখান থেকে কেন কাতারে গেল না ডিম? ফুটবল বিশ্বকাপের আবহে এই প্রশ্নও উঠছে। সূত্রের খবর, কাতারের তুরষ্ক থেকে ডিম আমদানি না করার কিছু কারণ রয়েছে। তুরষ্কের তুলনায় ভারতে উৎপাদিত ডিমের গুণগত মান অনেক ভাল। সেই সঙ্গে ভারতে উৎপাদিত ডিমের দামও অনেক কম। প্রতিটি বাক্সে ডিম থাকে ৩৬০ টি। তুরষ্কে এই এক একটি বাক্স ডিমের দাম ৩৪ ডলার। যার ভারতীয় মূল্য প্রায় ২৭০০ টাকা। সেখানে তামিলনাড়ু থেকে যে ডিম কাতারে গিয়েছে প্রতিটি বাক্সের দাম পড়েছে ৩২ ডলার। ভারতীয় টাকায় প্রায় ২৫০০ টাকা। তবে উল্লেখ্য, বিশ্বকাপ শুরু হয়েছে বলে নয়, এর আগেও বেশ কয়েক বার তামিলনাড়ু থেকে ডিম গিয়েছে কাতারে। এ বারে আমদানি করা ডিমের পরিমাণ অনেকটা বেড়েছে।