—প্রতীকী ছবি।
দু’দিন পরেই গণেশ চতুর্থী। বছর পাঁচেক আগেও কলকাতায় গণেশপুজো নিয়ে তেমন উন্মাদনা চোখে পড়ত না। তবে এখন অবশ্য গোটা শহরের ভোলই বদলে গিয়েছে। বারো মাসে তেরোর সঙ্গে এখন আর এক পার্বণ যোগ হয়েছে। পাড়ায় পাড়ায় এখনই গণেশপুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। ঘরে ঘরে বাপ্পাকে নিয়ে আসার তোড়জোড় তুঙ্গে। বাপ্পা আসবেন আর বাড়িতে মোদক আসবে না, তাই কখনও হয়! মোদকপ্রিয়ের ভোগে মোদক তো দিতেই হবে। শহরের কোন ৫ বিপণিতে ভাল মোদকের খোঁজ পাবেন, রইল হদিস।
—প্রতীকী ছবি।
ভিখারাম চাঁদমল রাজুজি: উত্তর ও মধ্য কলকাতায় আপনার বাড়ি হলে ভাল মোদকের খোঁজ পেতে পারেন ভিখারাম চাঁদমল রাজুজিতে। কাজু মোদক, চকোলেট মোদক, বেসনের মোদক, বুন্দির মোদক, ক্ষীরের মোদক, আটার মোদক— হরেক ধরনের মোদক পেয়ে যাবেন এই দোকানে। এখানে ছোট থেকে বড়, নানা আকারের মোদক সাজানো থাকে সারি সারি। পিস হিসাবেই হোক বা ওজন দরে— আপনি আপনার প্রয়োজন মতো মোদক কিনে ফেলতে পারেন। এক পিস মোদকের দাম ২৫ টাকা থেকে শুরু করে ১৫০ টাকা পর্যন্তও হয়। এখানে পেয়ে যাবেন মোদক প্ল্যাটারও। দাম পড়বে ৪৫১ টাকা।
বলরাম মল্লিক অ্যান্ড রাধারমণ মল্লিক: ফিউশন মিষ্টি কিনতে হলে অনেকেই ঢুঁ মারেন এই দোকানে। তবে এখানে কিন্তু ভাল মোদকেরও খোঁজ পেতে পারেন। গণেশপুজো উপলক্ষে এই দোকানে পেয়ে যাবেন নানা ধরনের মোদক। কাজু মোদকের দাম ৫০ টাকা। কাজু-আঞ্জির মোদকের দাম ২৫ টাকা। ক্ষীর মোদকের দাম ৩৫ টাকা, কেশর মোদকের দাম ৩৫ টাকা। ইচ্ছে মতো মোদক কিনে বাপ্পার ভোগের থালায় পরিবেশন করুন তাঁর প্রিয় খাবার।
গুপ্তা ব্রাদার্স: সিদ্ধিদাতার প্রিয় মিঠাইয়ের খোঁজ পেতে এই দোকানেও ঢুঁ মারতেই পারেন। বেসন মোদক, লাড্ডু মোদক, এমনকি সন্দেশ মোদকও পেয়ে যাবেন এখানে। সবেরই দাম পড়বে ৪০ টাকা।
হল্দিরামস্: ভাল কাজু বরফি থেকে গুলাবজামুন খেতে এই দোকানে ঢুঁ মারেন নিশ্চয়ই। তবে ভাল মোদকও বিক্রি হয় এই ঠিকানায়। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে হল্দিরামসের শাখা রয়েছে। প্রতিটি শাখায় পেয়ে যাবেন কাজু ও এবং ক্ষীরের মোদক। ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকার মধ্যেই থাকছে দাম। তবে বড় মাপের মোদক চাইলে তা-ও পেয়ে যাবেন এই দোকানে।
বাঞ্ছারামস্: এই দোকানে গেলেও মোদকের খোঁজ পেতে পারেন আপনি। ২০ টাকাতেই মিলবে মোদক। স্বাদেও ভাল আর পকেটসইও বটে। শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণে বিভিন্ন প্রান্তে এই দোকানের একাধিক শাখা রয়েছে। সব জায়গাতেই পাওয়া যাচ্ছে মোদক।