মধ্যাহ্নভোজের সঠিক সময় কখন? ছবি: সংগৃহীত।
সুস্থ থাকতে শরীরচর্চা যেমন করেন, তেমন মেনে চলেন ডায়েটও। কিন্তু তার প্রভাব শরীরে পড়ছে না কেন, তা খুঁজতে গিয়েই এক দিন জানতে পারলেন সময়ের গুরুত্ব। অর্থাৎ, নিয়মিত জিম বা ডায়েট করলেও চট করে মেদ ঝরাতে পারবেন না, যদি না ঘড়ির কাঁটা ধরে খাবার খান। স্বাস্থ্যের জন্য সকালের জলখাবার গুরুত্বপূর্ণ হলেও মধ্যাহ্নভোজের গুরুত্বও কম নয়। চিকিৎসকেরা বার বারই বলেন, একটি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে খাওয়াদাওয়া করা উচিত। সঠিক সময়ে খাওয়ার অভ্যাস মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ক্যানসার-সহ অন্যান্য রোগের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে।
সঠিক সময়ে খাওয়ার অভ্যাস মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। ছবি: সংগৃহীত।
পুষ্টিবিদেরা বলছেন, খাবার হজম করতে পাচনতন্ত্রের প্রায় ৪ ঘণ্টা মতো সময় লাগে। তাই সকালের খাবার খাওয়ার অন্তত ৪ ঘণ্টা পরে দুপুরের খাবার খাওয়া উচিত। প্রাতরাশ এবং দুপুরের খাবারের মধ্যে অন্তত সময়ের এই ব্যবধান না থাকলে বদহজম, অম্বলের মতো সমস্যা হতে পারে। তা ছাড়া, খাবার খাওয়ার পর রক্তে শর্করার পরিমাণ কতটা বাড়বে বা কমবে তার অনেকটাই নির্ভর করে দুপুরের খাবার সময়ের উপর। যদিও কে কোন সময়ে দুপুরের খাবার খাবেন, তা অনেকটাই নির্ভর করে ওই ব্যক্তির ব্যক্তিগত রুচি, পছন্দ এবং জীবনযাপনের উপর। সাধারণ ভাবে সকলকেই ১২টা থেকে ১টার মধ্যে দুপুরের খাবার খেয়ে নিতে বলেন পুষ্টিবিদেরা। তবে কাজের ধরন, কর্মক্ষেত্রের সুবিধা-অসুবিধা অনুযায়ী সময়ের হেরফের হতে পারে। কিন্তু কোনও ব্যক্তি যদি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার সঙ্কল্প নিয়ে ডায়েট করেন, সে ক্ষেত্রে সময়ের গুরুত্ব বুঝতে হবে।