অনলাইনে জিনিস কিনছেন? মাথায় রাখবেন কী কী? ছবি: সংগৃহীত
করোনা সংক্রমণ মারাত্মক ভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। তার মধ্যে এমন বহু মানুষ রয়েছেন, যাঁরা সংক্রমিত হওয়ার পরেও উপসর্গহীন। তাঁদের নিয়ে সমস্যা বেশি। কারণ নিজেদের অজান্তেই তাঁরা সংক্রমিত করছেন অনেককে।
এই অবস্থায় কমেছে বাড়ি থেকে বেরোনো। অনলাইনে জিনিস কেনার পরিমাণও বেড়েছে। কিন্তু যে জিনিসগুলি বাড়িতে আসছে, সেগুলির সঙ্গেও আসতে পারে করোনার জীবাণু। এ রকম অবস্থায় কী করবেন নিরাপদ থাকতে?
অনলাইনেই টাকা দিন: জিনিস বাড়িতে আসার সময় টাকা দেওয়ার বন্দোবস্ত রাখবেন না। তাতে সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়ে। বিশ্বাসযোগ্য ওয়েবসাইট হলে, আগে থেকেই টাকা দিয়ে রাখুন।
কাছে যাবেন না: যিনি জিনিস পৌঁছে দিতে আসছেন, তাঁকে বলুন, দূর থেকে নামিয়ে দিয়ে যেতে। দস্তানা পরে জিনিসগুলি সংগ্রহ করুন।
জীবাণুমুক্ত করা: জিনিসগুলি প্লাস্টিকের প্যাকেটে এলে, সেগুলিকে স্যানিটাইজার দিয়ে জীবাণুমুক্ত করে ফেলুন।
দু’দিন ছোঁবেন না: পারলে দু’দিন জিনিসগুলি স্পর্শ করবেন না। যেমন ভাবে এসেছে, সে ভাবেই বাড়ির এমন একটা কোথাও রেখে দিন, যেখানে যাতায়াত কম।
হাত ধুয়ে নিন: দু’দিন পরে প্যাকেট বা বাক্স খুলে জিনিসগুলি বের করার পরে, হাত ভাল করে ধুয়ে ফেলুন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে সাবান দিয়ে ভাল করে ধোবেন হাত।
কিন্তু এ ক্ষেত্রে আরও একটি কথা মনে রাখা দরকার। অনলাইনে যদি খাবার কিছু কেনেন, তা হলে তা দু’দিন ওই ভাবে ফেলে রাখতে পারবেন না। সে ক্ষেত্রে বেশি সাবধান হতে হবে। যদি বিস্কুট বা ওই জাতীয় শুকনো কোনও খাবার আসে, তা হলে, তা তার বাক্সের মুখ খুলে বাড়ির পাত্রে ঢেলে নিন। বাক্স ফেলে দিন। বিস্কুট সহ পাত্রটি এমন জায়গায় রাখুন, যাতে ১ বা ২ দিন ব্যবহার না করলেও অসুবিধা হয় না। আর যদি রান্না করা খাবার আসে, তা হলে সেটি তার বাক্স বা প্যাকেট থেকে বের করে ভাল করে গরম করে নিন। মাইক্রোওয়েভে গরম করে নিলেও হবে। আর এই গোটা কাজটিই করবেন দস্তানা এবং মাস্ক পরে।